নিজের ভাষায় জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া (পর্ব ২)

Indian National Anthem. Screenshot from YouTube Video

ভারতীয় জাতীয় সঙ্গীত এর ইংরেজি অনুবাদ। ভোকাল ন্যাশনাল অ্যান্থেম এর ইউটিউব ভিডিও থেকে নেয়া স্ক্রিনশট।

পূর্ববর্তী একটি পোস্টে আদিবাসী বা স্বল্প কথিত ভাষায় গীত জাতীয় সঙ্গীতের ভিডিওর মতো নাগরিক মাধ্যমের উদাহরণ তুলে ধরা হয়েছে।

জাতীয় সঙ্গীত সাধারণত রাষ্ট্রের সরকারি বা সর্বাধিক ব্যবহৃত ভাষায় লেখা হয়। ভারতের জাতীয় সঙ্গীত জন গণ মন, যা ১০০ বছরের পুরনো, সংস্কৃত ঘেঁষা বাংলায় রচিত। এই উভয় ভাষাই ভারতের ২২টি সরকারি ভাষার মধ্যে অন্যতম। এখানে সংস্কৃত সংস্করণ এবং বাংলা সংস্করণ দেওয়া হল। কিন্তু আপনি যা দেখে চমকে উঠবেন তা হল নীরব ভারতীয় জাতীয় সঙ্গীত সাংকেতিক ভাষায়:

অনেক দেশেই রাষ্ট্রীয় ভাষা(গুলি) ব্যতীত জাতীয় সংগীত গাওয়া আইনত নিষিদ্ধ। লুপাং হিনিরাং (প্রিয় দেশ) − ফিলিপাইনের জাতীয় সঙ্গীত, ১৮৯৮ সালে জুলিয়ান ফেলিপ প্রথম তা রচনা করেন, যার লিরিক ছিল স্প্যানিশ। সঙ্গীতটি পরে তাগালগে অনূদিত হয়। ফিলিপাইনের ফ্ল্যাগ এন্ড হেরাল্ডিক কোড (১৯৯৮) উল্লেখ করে, “দেশাভ্যন্তরে বা দেশান্তরে জাতীয় সঙ্গীত সর্বদা রাষ্ট্রীয় ভাষায় গাইতে হবে”, এবং লঙ্ঘনকারীর আর্থিক জরিমানা ও কারাদণ্ড বিধেয়।

১৯৮৭ সালের ফিলিপাইনের সংবিধান অনুযায়ী সরকারি ভাষা ফিলিপিনো ও ইংরেজি হলেও, ফিলিপাইনের অন্যান্য ভাষায় গীত জাতীয় সঙ্গীতের সংস্করণ আমরা ইন্টারনেটে দেখতে পাই। এখানে ফিলিপাইনের জাতীয় সঙ্গীত এসকায়ান ভাষায় গীত হয়েছে:

ফিলিপাইনের জাতীয় সঙ্গীত বুতুয়ানন ভাষায়:

আপনি ইন্টারনেটে আরও উদাহরণের সন্ধান পেতে পারেন।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .