জাপানে ভেন্ডিং মেশিনে এবার মিলছে পিৎজা আর প্যানকেক!

vending machines in japan

জাপানের সুরুগার হনমাচি এন্টারটেইনমেন্ট ডিস্ট্রিকের ভেন্ডিং মেশিন। ছবি তুলেছেন নেভিন থমসন।

জাপানে ভেন্ডিং মেশিনে কত কিছুই যে বেচা হয়, তার ঠিকঠিকানা নেই। ফুল, ছাতা, এমনকি টাইও মেলে! তাই টেকআউট পোর্টে দাঁড়িয়ে ভেন্ডিং মেশিন থেকে কি বের হয়, সেটা দেখে সত্যি অবাক হয়ে যেতে পারেন আপনি। উল্লেখ্য, জাপানে প্রতি ২৩ জনে ১টি করে ভেন্ডিং মেশিন রয়েছে। আর বার্ষিক বিক্রির পরিমাণ ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার

সিনিগার্ল নামের একজন ব্যবহারকারী জাপানিজ কিউরেশন সাইট হিসেবে পরিচিত নাভার মেটম-এ জাপানের তিনটি ভিন্ন ভিন্ন শহরের তিনটি অনন্য ভেন্ডিং মেশিনের গল্প তুলে ধরেছেন, যা টুইটারে সবাইকে অভিভূত করেছে।

জাপানে প্রথমবার এসেছেন? এটা দেখে কী মনে হচ্ছে আপনার… এটা ফ্রেশ বেকড পিৎজা ভেন্ডিং মেশিন! (হাহাহা)

আমি বাজি ধরে বলতে পারি, মেশিনের ভিতরে নিশ্চয়ই কোনো বুড়ো আছে, যে পিৎজা বেকড করে।

হিরোশিমা শহরের বাসিন্দারা ভেন্ডিং মেশিন দেখে অভ্যস্ত। শহরে আড্ডার প্রাণকেন্দ্রে সুতায়া নামের সরকারি বই বিপণিতে একটি ভেন্ডিং মেশিন রয়েছে। এই ভেন্ডিং মেশিনে দুই ধরনের পিৎজা পাওয়া যায়। একটি হলো মার্গারিটা। এর দাম ১০ মার্কিন ডলার। আরেকটি ফোর চিজ পিৎজা, যার দাম ১৩ মার্কিন ডলার। অর্ডার করার মাত্র তিন মিনিটেই মিলবে এই পিৎজা দু’টি। সুতায়ার মূল প্রতিষ্ঠান আশা করছে, জাপানজুড়ে অন্যান্য বইয়ের বিপণিতে এই মেশিনগুলো থাকবে।

যদিও এরই মধ্যে শহরের বাসিন্দারা মেশিনে বেকড করা পিৎজা খেয়ে বিমোহিত হয়েছেন। তারা ভেবে পাচ্ছেন না মেশিনে এরকম সুস্বাদু পিৎজা কীভাবে হয়!

এ ধরনের ঘটনা জাপানে এটাই প্রথম! ফ্রেশ বেকড পিৎজা ভেন্ডিং মেশিন!

এটা আমার অফিসের কাছেই। আশা করেছিলাম একদিন যাবো, গিয়ে খাওয়ার চেষ্টা করবো। কিন্তু দুর্ভাগ্য, আমার সেই সুযোগটুকু মিলছে না। তবে, পরে নিশ্চয়ই যাওয়ার সুযোগ মিলবে।

ইনাশিকি শহরটির অবস্থান ইবারাকি এলাকায়। এটা টোকিও থেকে উত্তরপূর্বে ট্রেনে মাত্র ১ ঘণ্টা দূরে অবস্থিত। এখানে একটি পুরোনো রেস্টুরেন্ট রয়েছে। আর এই রেস্টুরেন্টে ১৯৬০ সাল থেকে শুরু করে বেশকিছু পুরোনো ভেন্ডিং মেশিন রয়েছে। তবে মেশিনগুলো এখনো সচল

জাতীয় হাইওয়ের পাশে একটি পুরোনো বাস স্টপে নস্টালজিক করে দেয়া পুরোনো ভেন্ডিং মেশিনের সাক্ষাৎ পাবেন। যেখানে আপনি বেনতো বক্সগুলো কিনতে পারবেন। ভেন্ডিং মেশিনের স্টোর থেকে বেনতো কিনতে আপনার খরচ হবে ৩০০ ইয়েন বা ৩ মার্কিন ডলার।

দর্শনার্থীরা এখানে এসে ৩০০ ইয়েন দিয়ে ভাত আর মাংসের বেনতো বক্স কিনতে পারেন।সাথে চপস্টিকও থাকে। এখানকার ভেন্ডিং মেশিনে তিন ধরনের খাবার পাওয়া যায়। ফ্রায়েড চিকেন, পর্ক কাটলেট এবং গ্রিল মাংস। এর মধ্যে গ্রিল মাংস দর্শনার্থীদের কাছে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়।

গ্রিল মাংসের বেনতো ভেন্ডিং মেশিনের জনপ্রিয়তা নিয়ে টেলিভিশনে সংবাদ প্রচারিত হয়েছে।

এবার আসা যাক কিউশু দ্বীপের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলের শহর কাগোশিমার প্যাককেকের ভেন্ডিং মেশিনের কথায়। কাগোশিমার তেনমনকান শপিং ডিস্ট্রিকের নিকটবর্তী বাস স্টপের কাছে এই ভেন্ডিং মেশিনের অবস্থান। তবে একটু ভিতরের দিকে হওয়ায় সাধারণের পক্ষে খুঁজে পাওয়া কঠিন।

সৌভাগ্যক্রমে যারা অন্যরকম এই ভেন্ডিং মেশিন খুঁজে পান, তারা ২০০ ইয়েন বা ২ ডলারে প্যাককেকের অতুলনীয় স্বাদ নিতে পারেন।

কাগোশিমার লুকোনো মুক্তা: প্যানকেক ভেন্ডিং মেশিন।

ভেন্ডিং মেশিনে হরেক রকম স্বাদের প্যানকেক পাওয়া যায়। এরমধ্যে চকলেট ক্রিম, ক্যারামেল, স্ট্রবেরি ক্রিম এবং চিজ অন্যতম। আর এই প্যাককেকগুলো গ্লাসের বোতলে দেয়া হয়। তবে খাওয়ার পর ক্রেতাদের কাছ থেকে বোতলগুলো ফেরত নেয়া হয়।

কিছু কিছু ব্যবহারকারীর কাছে এই ভেন্ডিং মেশিনগুলো এক ধরনের জনপ্রিয়। অন্যান্য এলাকায় যদি এমন নিজস্ব ধরনের ভেন্ডিং মেশিন থাকে, তাহলে তারা আশ্চর্য হবেন:

কাগোশিমার ভেন্ডিং মেশিন। কিন্তু অন্য কারো এলাকায় কি এই ধরনের ভেন্ডিং মেশিন আছে?
না, আমরা জানি না। তোমরা খুবই ভাগ্যবান…

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .