- Global Voices বাংলা ভার্সন - https://bn.globalvoices.org -

নেটনাগরিক প্রতিবেদন: নির্বাচনের প্রাক্কালে বাংলাদেশীদের চারিদিকে নজরদারী

বিষয়বস্তু: দক্ষিণ এশিয়া, বাংলাদেশ, নাগরিক মাধ্যম, জিভি এডভোকেসী
[1]

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ২০১৪ সালের একটি নির্বাচনী পোস্টার। ফ্লিকারের মাধ্যমে অ্যাডাম জোনসের ছবি (সিসি বাই-এসএ ২.০)

অ্যাডভক্স নেট-নাগরিক প্রতিবেদন বিশ্বজুড়ে ইন্টারনেট অধিকারগুলির ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা, সমস্যা থেকে উত্তরণ এবং উদীয়মান প্রবণতাগুলির একটি আন্তর্জাতিক আলোকপাত উপস্থাপন করে। এই প্রতিবেদনটিতে ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসের ৪ থেকে ২১ তারিখের ঘটনাগুলো অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮ তারিখের সাধারণ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে নিতে বাংলাদেশীরা রাস্তায় ও অনলাইন উভয়ক্ষেত্রে ব্যপক রাজনৈতিক উত্তেজনা অনুভব করছে।

আগে যেভাবে নির্বাচনে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী ও বিরোধীদলীয় সদস্যকে গ্রেপ্তার ও বিচার করা হচ্ছে [2] তা ডান ঝুঁকে পড়া ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ [3]কে ক্ষমতা থেকে অপসারণ করতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা প্রধান বিরোধী দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এর ১৪১ সদস্যের প্রার্থীতার আবেদন বাতিল করা [4] নির্বাচন কমিশনের পক্ষপাতহীনতা নিয়ে প্রশ্ন করেছেন। প্রাথমিকভাবে প্রত্যাখ্যাতগুলির মধ্যে বেশিরভাগেরই আপিলে অনুমোদন [5] পাওয়া ক্ষমতাসীন দলের বিরুদ্ধে তাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতার উচ্চমূল্য প্রদান সম্পর্কে একটি স্পষ্ট সংকেত দিয়েছে।

১৩ ডিসেম্বর তারিখের একটি বিবৃতিতে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (মানবাধিকার পর্যবেক্ষক) [6] এশিয়ার পরিচালক ব্র্যাড অ্যাডামস গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার উপর দমনাভিযান এবং এসবের প্রভাবের জন্যে আওয়ামী লীগকে তীব্র ভর্ৎসনা করেছিলেন। তিনি বলেন,”ক্ষমতাসীন দল যেন সম্পূর্ণ রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণে কোন বাধা না পায় সেটা নিশ্চিত করার জন্যে আওয়ামী লীগ সরকার স্বাধীন ও বিরোধী কণ্ঠের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।”

অনলাইনে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড এবং সংবাদও লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে। গত সপ্তাহে বিএনপির আনুষ্ঠানিক ওয়েবসাইটটি ব্লক করা হয়েছে, ফলে ভোটাররা দলীয় প্রার্থী এবং মঞ্চটি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যে প্রবেশ করতে পারছে না। প্রাথমিকভাবে ব্লকটি সম্পর্কে না জানার কথা বললেও পরে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি) ওয়েবসাইটটি আইন-শৃঙ্খলার ক্ষতি করতে পারার মতো “বিরক্তিকর [7]” বিষয়বস্তু উপস্থাপনের দাবি করেছে। আদালতের অনুমোদন না নিয়েই জাতীয় নিরাপত্তার অজুহাতে ওয়েবসাইটগুলিকে একতরফাভাবে ব্লক করার ক্ষমতা আছে বিটিআরসি'র।

একইভাবে,২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে মাসে কার্যকর হওয়া বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ৫ জন বিরোধী প্রার্থীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছিল [8]। ডিসেম্বরের ১০ তারিখে জাতীয় নিরাপত্তার অজুহাতে এগুলোর মধ্যে “ভূয়া এবং ভিত্তিহীন সংবাদ প্রতিবেদন” রয়েছে বলে যুক্তি দেখিয়ে [9]  বিটিআরসি সাময়িকভাবে ৫৮টি ওয়েবসাইট ব্লক করে দেয় [10]। ব্লক করা ওয়েবসাইটগুলির তালিকায় (ঢাকা ট্রিবিউন [10] একটি সম্পূর্ণ তালিকা প্রকাশ করেছে) সংঘাতের বীজ বপনের উদ্দেশ্যে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে দেয়ার মতো এমন কিছু অন্তর্ভুক্ত থাকলেও বাকিগুলি ছিল বৈধ সংবাদ এবং রাজনৈতিক ভাষ্যের অথবা বিএনপি সংশ্লিষ্ট সাইট।

বাংলাদেশের অনলাইনে মিথ্যা তথ্যের প্রচারণা হ্রাস করার প্রচেষ্টা অংশ হিসেবে সামাজিক প্রচার মাধ্যমগুলিও ওয়েব থেকে কিছু উপাদান সরিয়ে দেয়। ডিসেম্বরের ২০ তারিখে ফেসবুক জানায় [11] “সমন্বিত অবিশ্বস্ত আচরণ” প্রদর্শন করায় তারা প্রায় ১২,০০০ অনুসারীর নয়টি পাতা সরিয়ে নিয়েছে। কারণ হিসেবে কোম্পানিটি বলেছে যে এরা বাংলাদেশী সরকারের সাথে যুক্ত ছিল। এগুলোর মধ্যে বিবিসি বাংলা [12] এর অনুকরণে “বিবিসি-বাংলা” এবং গ্লোবাল ভয়েসেসের সাবেক অংশীদার একটি বৈধ স্থানীয় সংবাদ সাইট বিডিনিউজ২৪ [13] এর অনুকরণে “বিডিএসনিউজ২৪” রয়েছে। টুইটারের নিরাপত্তা একাউন্ট [14]ও অনুরূপ ভিত্তিতে ১৫টি অ্যাকাউন্ট স্থগিত করার কথা জানিয়েছে।

উভয় সংস্থাই এমন সম্ভাব্য ক্ষতিকর অ্যাকাউন্ট সনাক্ত এবং দূর করার ক্ষেত্রে কোন স্বাধীন তত্ত্বাবধান বা স্বচ্ছতার প্রক্রিয়ায় পরিচালিত হয় না এমন প্রক্রিয়া গ্রহণ করেছে।

সুদানের টেলিযোগাযোগ কোম্পানিগুলো ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, টুইটার ব্লক করছে

মানুষ সুদানের বেশ কয়েকট শহরে জ্বালানী ও রুটি বাড়ানোর খরচ বৃদ্ধি এবং ক্ষমতাসীন সরকারের প্রতি সামগ্রিক অসন্তোষ প্রকাশ করতে জনগণ রাস্তায় নেমেছে [15]। সহিংস বিক্ষোভে দাঙ্গা পুলিশের সাথে সংঘর্ষে আটজন বিক্ষোভকারী মারা গেছে। নেট ব্লকের প্রযুক্তিগত পরীক্ষা নামের  ইন্টারনেট সেন্সরশিপের প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণের সমন্বয়কারী একটি নাগরিক সমাজের দল ডিসেম্বরের ২১ তারিখ পর্যন্ত অনেক ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদানকারীর একাধিক স্থানীয় ওয়েবসাইট এবং ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, টুইটার ব্লক [16] করার কথা জানিয়েছে।

ইরানে না থাকা ইরানিদেরকেও স্ল্যাক থেকে বের করে দেয়া হচ্ছে

ব্রিটিশ কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞানী ১৯ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে জনপ্রিয় যৌথকর্মের মঞ্চ স্ল্যাক থেকে বের করে দেয়া হয়েছে [17] কারণ তার এই মঞ্চটির ব্যবহার ইরানের বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করেছে। মূলত ইরান থেকে এলেও আমির আবদী কানাডায় বসবাস এবং কাজ করেন। কিন্তু মার্কিন নিষেধাজ্ঞা [18]র কারণে ইরানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি প্রযুক্তি বিক্রি নিষিদ্ধ হওয়ায় সেখানে স্ল্যাক পাওয়া যায় না। ইরানের সাথে যুক্ত কিছু লোক [19]  জানায় যে এই  একই কারণে স্ল্যাক অ্যাকাউন্টগুলো মুছে দিয়েছে। হঠাৎ করে মঞ্চটি কেন তাকে দরজা দেখিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিলো? এর মানে কি এই নিষেধাজ্ঞাগুলো এখন বিচারব্যবস্থার চেয়ে বরং ব্যবহারকারীদের জাতীয় ভিত্তিতে প্রয়োগ করা হচ্ছে? সেটা বলার সময় অবশ্য এখনো হয়নি। গণমাধ্যমের তদন্তের প্রতিক্রিয়ায় স্ল্যাকের একজন মুখপাত্র শুধুমাত্র নিষেধাজ্ঞার বিধিবদ্ধ পাঠ্যটি প্রদান করার পর সুনির্দিষ্ট আর কোনকিছু জানায়নি।

ভারতে ‘সামাজিক মিডিয়ার শিকারদের’ কারাদণ্ড

দি মিন্ট এর [20] একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে দেখা গেছে ২০১৭ সালের শুরু থেকে ভারতে কমপক্ষে ৫০ জন ব্যক্তিকে তাদের সামাজিক মিডিয়া পোস্টের জন্যে গ্রেপ্তার করে জেলে রাখা হয়েছে। এইচটি মিডিয়া (যার মূল কোম্পানি হিন্দুস্তান টাইমস) এর মালিকানাধীন ব্যবসায়িক সংবাদ সাইট বহু অভিযুক্তের সাক্ষাৎকার নিয়ে জেনেছে যে যে গ্রেপ্তারকৃতদের বেশিরভাগই মুসলিম, নিম্ন উপার্জনকারী এবং ইন্টারনেট ব্যবহারে অপেক্ষাকৃত নতুন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তারা প্রধানমন্ত্রীর বা ক্ষমতাসীন দলের সমালোচনার জন্যে অভিযুক্ত। কর্তৃপক্ষ ভারত সরকারের তথ্যপ্রযুক্তি আইনে এবং রাষ্ট্রদ্রোহিতা ও অশ্লীলতার শাস্তিমূলক বিধানের আওতায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।

সিঙ্গাপুর কর্তৃপক্ষ অনলাইন নাগরিকদের পেছনে ছুটছে

সিঙ্গাপুরের স্বাধীন সংবাদ এবং ভাষ্য সাইট অনলাইন নাগরিক (টিওসি)শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তাদের দুর্নীতির অভিযোগে একটি চিঠি প্রকাশের জন্যে একটি ফৌজদারী মানহানি তদন্তের [21] সম্মুখীন। উইলি সাম নামের একজন সরকার সমালোচক এই চিঠিটি লিখেছিলেন। নভেম্বর মাসের ২০ তারিখে পুলিশ টিওসি'র প্রধান সম্পাদক টেরি জ্যু এর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে কম্পিউটার এবং অন্যান্য যন্ত্রপাতি জব্দ করে এবং সংবাদ ওয়েবসাইটটিকে প্রকাশনার একটি অন্তর্বর্তীকালীন বিরতি [22] ঘোষণায় বাধ্য করে। জ্যুকে পুলিশ আট ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ [23]  করে। সিঙ্গাপুর সরকারের একটি সংস্থা ইনফোকম মিডিয়া উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (আইএমডিএ) এর কাছ থেকে সরিয়ে নেওয়ার একটি নোটিশ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই টিওসি কথিত মানহানিকর চিঠিটি সরিয়ে নেয়।

জার্মান জনদরীদের এনজিও-স্বাধীন মিডিয়াকে সমর্থন দিতে নিষেধ করছে ইসরায়েল

জার্মান কর্মকর্তারা একটি স্বাধীন ওয়েব পত্রিকা +৯৭২সহ কয়েকটি ইজরায়েলি মানবাধিকার ও নাগরিক সমাজ সংগঠনকে সমর্থন বন্ধ করতে দুটি জনসেবা প্রতিষ্ঠান হেইনরিখল বোল স্টিফটাং (ফাউন্ডেশন) এবং রোজা লাক্সেমবুর্গ স্টিফুটংকে চাপ দেয়ার জন্যে ইজরায়েলি সরকারের কাছ থেকে একটি চিঠি পেয়েছে [24]। চিঠিটি সম্পর্কে জানার পর হেইনরিখ বোলের মুখপাত্র সাংবাদিকদের বলেন, “ইসরাইলের মতামতের বৈচিত্র প্রতিফলনকারী +৯৭২ এর মতো একটি সমালোচনামূলক পত্রিকার উপর আক্রমণ আসলে ইসরাইলের সুপরিচিত সাংবাদিকদের উপরেও একটি আক্রমণ।”

জার্মান সংবাদ সাইট ডি টাগেসজাইতুং (দৈনিক সংবাদপত্র) [25] এর মতে সাইটটির +৯২৭ এর লেখকরা “নিয়মিতভাবে ইসরায়েলকে বর্ণবাদের জন্যে দোষারোপ করতো” বলে চিঠিতে বিশেষভাবে +৯২৭ এর উল্লেখ করা হয়েছে।  ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনের লেখকদের একটি দলের মালিকানাধীন ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনের ভাগাভাগি করা দেশীয় টেলিফোন কোডের ভিত্তিতে নামকরণ করা স্বাধীন প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান +৯৭২ মাত্র ৯% তহবিল যোগাচ্ছে এই দুটি ফাউন্ডেশন ২০১৮ সাল থেকে। কর্মীরা “দখলদারিত্বের অবসান এবং ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মানবাধিকারসহ গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এগিয়ে নিতে স্বাধীন সাংবাদিকতা” চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছে [24]

#আলার১০০দিনকারাগারে থাকা মিশরীয় কর্মীর সময়মত মুক্তি চাইছে সমর্থকরা!

মিশরীয় ব্লগার এবং সক্রিয় কর্মী আলা আব্দ এল ফাত্তাহর পরিবার কারাগার থেকে ১৭ মার্চ, ২০১৯ তারিখে নির্ধারিত তার সময়মত মুক্তির জন্যে প্রচারণা চালিয়ে [26] মিশরীয় বিচার ব্যবস্থার চেয়ে এগিয়ে থাকছে। ২০১৩ সালের নভেম্বরে আলা'কে গ্রেপ্তার করে কারাগারে বন্দি করা হয়েছিল।  অবশেষে ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বিচারে একটি অননুমোদিত বিক্ষোভ [27] “সংগঠিত” করার অভিযোগে তাকে দোষী সাব্যস্ত করে পাঁচ বছর কারাদণ্ডে দন্ডিত করা হয়। সত্যিকারের অর্থে ২০১৩ সালের ২৬ নভেম্বর তারিখে বেসামরিক নাগরিকদের সামরিক বিচারের বিরুদ্ধে একটি প্রতিবাদে অংশ নিলে [28]ও এটি সংগঠিত করার ক্ষেত্রে আলা’র কোন ভূমিকা [29] ছিল না।

মার্চ মাসে আলা'র মুক্তির তারিখটি আলা’র কারাদণ্ডের পরিসমাপ্তি নয় বরং এটা তার শাস্তির চূড়ান্ত পর্যায়ে স্থানান্তর মাত্র। এখান থেকে মুক্তির পর আলা’কে অতিরিক্ত পাঁচ বছরের প্রতিটি রাত স্থানীয় থানায় কাটাতে হবে।

নতুন গবেষণা

নেট-নাগরিক প্রতিবেদনের গ্রাহক হোন [33]

আফেফ আব্রুজি [34], জোয়ি আইয়ুব [35]রোহিত জ্যোতিষ [36], তালাল রাজা [37]ওইওয়ান ল্যাম [38]এলিজাবেথ রিভেরা [39], তায়সা সাংজেরলা [40]আইভান সিগাল [41],  এবং সারাহ মায়ার্স ওয়েস্ট [42] এই প্রতিবেদনে অবদান রেখেছেন।

সংশোধনী [৩১ ডিসেম্বর, ২০১৮]: এই প্রতিবেদনটির আগের একটি সংস্করণ অবরুদ্ধ ওয়েবসাইট bdpolitico.com কে ব্রিটিশ সাংবাদিক ডেভিড বার্গম্যানের ব্লগ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। বাস্তবে বার্গম্যান ভিন্ন একটি সাইট bangladeshpolitico.blogspot.com এর লেখক। বার্গম্যানের সাইটটি দেশটির কিছু আইএসপি-তে অবরুদ্ধ হলেও এবারের অন্যান্য ওয়েবসাইটের সাথে অবরুদ্ধ হয় নি।