বসন্ত মানেই জাপানে চেরি ফোটার মৌসুম। আবার বসন্তেই ঘরে উঠে নতুন ফসল। একই সাথে এটা সর্দিজ্বরের মৌসুমও। তবে, আমরা একটা জিনিস জানি না, সেটা হলো বসন্তে আবাবিল পাখিদের ফিরে আসার মৌসুমও। এই সময়ে আপনি জাপানের রেল স্টেশনে, স্কুলে, শপিং সেন্টার-সহ যেখানেই যান, দেখবেন পরিযায়ী এই পাখিরা বাসা বেঁধে আছে। সেখান থেকেই তারা আপনাকে স্বাগত জানাবে।
প্রতিবছর এপ্রিল মাসে বসন্ত উদ্যাপন উপলক্ষ্যে জাপানের ফান্ডো নামের একটি ইন্টারনেট মিম সংগ্রাহক ওয়েবসাইট আবাবিল পাখিদের ফিরে আসা সংক্রান্ত বিভিন্ন ধরনের টুইট সংগ্রহ করেছে।
ツバメさんに巣作りして欲しくて、皿巣と張り紙したら本当に巣作りしてくれました!!
お店の入口近くに営巣していますので、ご来店の際はこっそり見てみて下さい! pic.twitter.com/n223rBwUIP— とりっぴー -小鳥用品専門店- (@bird_torippie) April 28, 2018
Sign: Welcome back, swallows!
Tweet: We wanted to the swallows to build a nest, and when we installed this nest and created this poster, sure enough, they decided to nest! The swallows are nesting right near the entrance to our store, so when you stop by, be sure to keep an eye out for them!
সাইন: আবারো সুস্বাগতম আবাবিল পাখি!
টুইট: আমরা আবাবিল পাখিদের জন্য বাসা নির্মাণ করে সেগুলো দোকানের কার্নিশে স্থাপন করেছি। একটা পোস্টারও বানিয়েছি। আমাদের বিশ্বাস, ওরা এখানে থাকতে আসবে। ওরা আমাদের দোকানে ঢোকার মুখে ডান পাশে বাসা করেছে। আপনি যখন দোকানে ঢুকবেন, তখন ওদের দিকে খেয়াল রাখবেন।
আবাবিল এক ধরনের পরিযায়ী পাখি। ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়াতে এপ্রিল মাসে যখন শীত পড়ে, সে সময়ে তারা জাপানে পাড়ি জমায়। তাই, এসময়ে যেসব মানুষজন বাইরে চলাফেরা করেন, তারা আবাবিল পাখিদের আসা দেখতে পান।
東武東上線の森林公園駅なう。
今年もツバメが一生懸命営巣してます? pic.twitter.com/WFBOivmSz2— jin_ishii@JK (@jin_ishiiJK) April 27, 2018
I'm at Tobu Tojo Shinrinkōen Station right now. Once again, the swallows are working all out to build their nests this year.?
আমি এখন তোবু তোজো শিনরিংকোয়েন স্টেশনে। আবাবিল পাখিরা আবারো ফিরে এসেছে। তারা এ বছরের জন্য নিজেদের বাসা বানাচ্ছে।
সারা জাপানজুড়েই আবাবিল পাখিদের আনাগোনা থাকে। তাই, চলাফেরার সময় একটু সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে, যাতে তারা বিষ্ঠা ত্যাগ করে বিরক্তির কারণ না হতে পারে।
【多摩市ニュース】 駅のツバメの巣の下にフン受け板を設置します – PR TIMES (プレスリリース) https://t.co/keIb4Crn9x pic.twitter.com/DYnnQdBJmt
— 多摩市ニュース (@tamacitynews) April 12, 2017
(Tama City News) A platform has been installed below a swallow's nest to catch dropping (at Keio Wakabadai Station).
কেয়িও ওয়াকাবাদাই স্টেশনে আবাবিল পাখির বাসার নিচে একটি ঠেক বানিয়ে দেয়া হয়েছে, যাতে তাদের বিষ্ঠা যাত্রীদের শরীরে না পড়ে।
(translation) From the resident swallows of Kori Station: “We will once again be in your care this year. While our droppings may be annoyance, we hope you will watch over us until we return back to our home islands in the south.”
[অনুবাদ] কোয়ি স্টেশনে বসবাসকারী আবাবিল পাখিদের পক্ষে: এ বছর আমরা আপনাদের যত্নআত্তি কামনা করছি। আমাদের বিষ্ঠা ত্যাগ আপনাদের বিরক্তির কারণ হতে পারে। তার পরেও আমরা আপনাদের সুদৃষ্টি কামনা করছি। যেন আমরা দক্ষিণে আমাদের দ্বীপে ভালোভাবে ফিরে যেতে পারি।
এই পাখিরা খুবই বন্ধুভাবাপন্ন। মানুষকে তারা তেমন একটা ভয়ডর করে না।
ツバメよ人間がこの位置にいるのになぜ逃げないww
人間に慣れすぎ?? pic.twitter.com/j5uA95HivM— マグナムSY (@SY11750198) April 19, 2018
Hey, swallows! There are humans here! Why aren't you running away, lol? You're too used to us humans! ??
হেই আবাবিল পাখি! দেখছো না এখানে মানুষজন আছে। তাহলে ক্যানো উড়ে যাচ্ছো না? হাহাহ! তোমরা মানুষের চারপাশে খুবই স্বাভাবিকভাবেই আছো।
আবাবিল পাখিদের জাপান বাসের সময় খুব কম। মে মাস শেষ হওয়ার আগেই তারা বাসা ফেলে নিজ দেশে চলে যায়।
もうツバメたちの鳴き声は聞こえません。
昨日の朝学校行く時に巣立ちの瞬間に遭遇しました。6羽無事巣立ちました!安心です。 pic.twitter.com/OKHlJrY0qw— オオハクチョウ@潮来 (@swallow_swan248) May 29, 2014
I can no longer hear the chirping of the swallows. Yesterday on the way to school I caught sight of the swallows leaving the nest. Six fledglings successfully flew away…what a relief!
আবাবিল পাখিদের কিচিরমিচির আমি আর শুনতে পাবো না। গতকাল স্কুলে যাওয়ার পথে দেখলাম, পাখিরা তাদের বাসা ফেলে চলে যাচ্ছে। ৬ জন চলে গেল। বাঁচলাম!
জাপানের অনেক মানুষ প্রতি বসন্তে আবাবিল পাখিদের ফিরে আসাকে দারুণ এক ব্যাপার বলে মনে করে। এটা তাদের কাছে চমৎকার এক অভিজ্ঞতা।
幸せを運んでくれる鳥です
大切にしたいですね?— あんこ (@benkyusinasaine) April 12, 2017
These birds bring with them great happiness. I want to take great care of them
এই পাখিগুলো আমাদের কাছে দারুণ এক আনন্দের উৎস। আমি তাদের প্রতি সবসময় যত্নশীল থাকার চেষ্টা করবো।