ভেনেজুয়েলার বহুমাত্রিক জাতীয় সঙ্কটের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হিসেবে দেশটিতে হাজার হাজার নাগরিক রাস্তায় নেমে এসেছে, কিন্তু সরকার বিরোধী আবেগ অনেক কম প্রচলিত সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়।
এ বছরের জুন ও জুলাই মাসে ডিজিটাল প্রোগ্রামার ও ডিজিটাল সংস্কৃতির প্রতি উৎসাহী একদল নাগরিক ভেনেজুয়েলার সঙ্কট নিয়ে এক যৌথ সিরিজ ভিডিও গেম নির্মাণের জন্য একত্রিত হয়েছিল। আর এভাবেই জন্ম নেয় #ভাজলাক্রাইসিসজ্যাম-এর। যেখানে অসাধারণ এক কম্পিউটার গেম নির্মাণ নিয়ে চিন্তা ভাবনার জন্য এক অধিবেশনের আয়োজন করা হয় যে গেম এই সঙ্কটের ধরনকে প্রতিফলিত করে।
২০০৯ সালে ভেনেজুয়েলার রাজধানী কারাকাসে প্রথম গেম জ্যাম (ভিডিও গেম নির্মাণের জন্য দীর্ঘ কার্যক্রমের অনুষ্ঠান) অনুষ্ঠিত হয়। একই ধরণের এক কর্মসূচির মাধ্যমে ৮০টি অনলাইন ভিডিও গেম তৈরি করা হয়েছিল।
এই রাজনৈতিক সঙ্কট বিষয় করে কাজ করা গেম জ্যামের সংগঠকেরা বলছে:
Cualquier plataforma es bienvenida, pero creo que por motivos de difusión la distribución debería ser fácil de llevar: juegos de desktop (ya sea Linux, Windows o Mac), juegos para navegador que usen html5. Juegos móviles no estaría mal si ya disponen de las facilidades para publicarlo en una store.
যে কোন ভিডিও গেম নির্মাতা সংগঠনকে (প্ল্যাটফর্মকে) স্বাগতম, কিন্তু আমি বিশ্বাস করি যে সবার কাছে গেমগুলোকে সহজে তুলে ধরার এমন এক মাধ্যম (প্লাটফর্ম) হতে হবে যেখানে সহজে যে কেউ প্রবেশ করতে পারে (লিনাক্স, উইন্ডোজ অথবা ম্যাক্সে-এর মত প্ল্যাটফর্ম), অথবা এইচটিএমএল-৫ এর মত গেম, মোবাইল গেমস খারাপ নয়, (ডেভলপার বা গেম নির্মাতার) সম্ভবনা রয়েছে সেটাকে একটা স্টোরে রাখার।
#ভেজলাক্রাইসিসজ্যাম-এর ভিডিও গেম, যেগুলো এখানে দেখা যাবে সেগুলোর সৃষ্টিকর্তাদের মতে, এর মধ্যে রয়েছে “গুয়াইরার মুখ”(কারাকাস-এর পাশ দিয়ে গুইয়ারা নদী বয়ে যায়) নামক গেম, এটির প্রেক্ষাপট ” ১৯ এপ্রিল” নামক প্রতিবাদ দিবস, যা ফ্রান্সিস্কো ফাজারদো মহাসড়কে অনুষ্ঠিত হয়, সেদিন টিয়ার গ্যাসের হামলা থেকে বাঁচার জন্য বিক্ষোভকারীদের নদীতে ঝাঁপ দেওয়ার কারণে বিখ্যাত হয়েছিল।
এই গেম জ্যামে আরেকটি গেম সৃষ্টি করা হয় যার নাম “ আরেপা বিষয়ক এক অর্থনীতি”, আরেপা হচ্ছে ভেনেজুয়েলার এক প্রচলিত খাবার। এই গেমে খেলোয়াড়রা এক ভার্চুয়াল রেস্তোরাঁর চালু করতে পারবে এবং দ্রুত পণ্যের দাম বাড়তে থাকা (মূলত মুদ্রাস্ফীতির কারণে যা ঘটেছে) মোকাবেলা করা এবং এই সকল পণ্য খুঁজে পাওয়াকে মোকাবেলা করতে হবে। “রিয়েলিটি রিভেলড” এবং “ভাজলা ২০১৭” এই দুটি গেম বিক্ষোভ এবং দমনের কারণে পুনরায় নির্মাণ করা হয়েছে, আর সবশেষে উল্লেখ করা হয়েছে “ফেরিয়া নামক ভিডিওর গেম-এর” যার কেন্দ্রে রয়েছে এক সৈনিক, গেমটিতে এই সৈনিক একদল নাগরিকের মাঝে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনবে যারা খাবার ও ওষুধ-এর দাবী জানাচ্ছে:
এই গেমের প্রাথমিক যে রূপ (প্রটোটাইপ) সেখানে খেলোয়াড় সামরিক বাহিনীর এক সদস্য, যাকে অবশ্যই মৌলিক কিছু পণ্য জনসাধারণের মাঝে বিতরণ করতে হবে। কিন্তু সেখানে এমন কিছু সামগ্রী রয়েছে যা সে বিতরণ করতে পারবে না। এতে মাউস দিয়ে সৈনিকের উপর ক্লিক করতে হবে এবং এই সকল পণ্য বিতরণ করতে চান সেগুলো টেনে সৈনিকের মাঝে আনতে হবে। পণ্য সমূহ বিতরণ করার জন্য একের পর এক পণ্যের ডানদিকে ক্লিক করতে হবে আর ক্ষতি এড়াতে সারিতে ক্লিক করতে হবে।
সব মিলিয়ে এই গেম জ্যাম ১৫টি ব্লুপ্রিন্ট তৈরি করেছে, যার মধ্যে ছয়টি অনলাইনে খেলা যাবে এবং নয়টি গেম উইনডোজে ডাউনলোড করা এবং খেলা যাবে। এর লক্ষ্য হচ্ছে এমন এক সঙ্কটকে ভিন্ন ভাবে দেখার সুযোগ করে দেওয়া যা বিভিন্ন ভাবে একটি জনগোষ্ঠীকে আক্রান্ত করেছে যে সঙ্কটের বিভিন্ন অংশ সব সময় উপলব্ধি করা হয় না।
এই প্রকল্পের অন্যতম এক প্রবর্তকের মতে:
En este momento estamos enfocados en darle difusión a los juegos y tener colaboraciones. En función de los comentarios y de la retroalimentación que obtengamos de la comunidad en general podremos decidir si repetiremos la experiencia. Invito a las personas a que prueben al menos uno de los juegos, el que más llame su atención, y compartan su opinión en la misma página
এই মূহূর্তে আমদের লক্ষ্য অনেকের কাছে পৌঁছানোর জন্য এক সাথে কাজ করা। যদি এই বিষয়ে মন্তব্য এবং প্রতিক্রিয়া সাধারণত ইতিবাচক হয়, তাহলে আমরা এই আমাদের এই কাজ চালিয়ে যেতে থাকব। আমি নাগরিকদের অন্তত একটি খেলা খেলার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি, যে খেলাটি তাদের সবচেয়ে মনোযোগ আকর্ষণ করেছে এবং এই বিষয়ে যেন তারা এর পাতায় একটা মন্তব্য করে।
এই পোস্টটি প্রথম রাফায়েল উজকাটেগুইর ব্লগে প্রথম প্রকাশ হয়েছে এবং তাঁর অনুমতিক্রমে গ্লোবাল ভয়েসেস পুনরায় প্রকাশ করা হয়েছে ।