- Global Voices বাংলা ভার্সন - https://bn.globalvoices.org -

ছবিঃ ফিলিপাইনসের সেনাদের সাথে সন্দেহভাজন আইএসআইএস সমর্থিত দলের সংঘর্ষে ৭০,০০০-এর বেশী নাগরিক বাস্তুচ্যুত

বিষয়বস্তু: পূর্ব এশিয়া, ফিলিপাইনস, নাগরিক মাধ্যম, মানবতামূলক কার্যক্রম, মানবাধিকার, যুদ্ধ এবং সংঘর্ষ, রাজনীতি
[1]

একটি বহুমুখী হলকে এক অস্থায়ী আশ্রয় কেন্দ্রে পরিণত করা হয়েছে সেই সমস্ত বাসিন্দাদের জন্য, যারা মারাউয়ি এলাকায় সেনা বনাম গোষ্ঠী গত দ্বন্দ্বে বাস্তুহারা হয়ে পড়ে। ছবি সমাজ কল্যাণ ও উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের কর্মচারী ইনা আলেকো রোল ডান সিলভেরিওর সৌজন্যে। অনুমতিক্রমে ব্যবহার করা হয়েছে।

আইএসআইএস-এর সাথে সম্পর্ক আছে সন্দেহে স্থানীয় এক দলের বিরুদ্ধে চালানো ফিলিপাইন সরকারের সেনা অভিযানের কারণে মারাউয়ি সিটি শহরের হাজার হাজার নাগরিককে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যেতে হয়েছে, যে শহরটির অবস্থান মিন্দানাও-এর দক্ষিণ দ্বীপপুঞ্জে।

২৩ মে তারিখে, প্রাপ্ত সংবাদ অনুসারে মাওয়ুতে দলের সশস্ত্র যোদ্ধার মারাউয়ি সিটির বেশ কয়েকটি ভবনে হামলা চালিয়ে [2] সেগুলো দখল করে নেয়। যেহেতু এই দলের বিরুদ্ধে অভিযোগ যে দলটির সাথে আইএসআইএস-এর যোগাযোগ রয়েছে, সেই কারণে ফিলিপাইনের রাষ্ট্রপতি মিন্দানাও-এ সামরিক আইন জারি করেছে [3] এবং উগ্রপন্থা ছড়ানো বন্ধে সামরিক বাহিনীকে আদেশ প্রদান করেছে এই দলের সদস্যদের গ্রেফতার করতে।

মিন্দানাও-এ উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মুসলমানদের বাস। এখানে বেশ কয়েকটি দল স্বায়ত্বশাসনের জন্য লড়াই করছে যা এখন চলমান শান্তি আলোচনার এক বিষয়, কিন্তু মাওয়ুতেদের এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে [4] শান্তি আলোচনায় অংশগ্রহণকারী মুসলমান দলগুলো।

যদিও মাওয়ুতে দলের বিরুদ্ধে সরাসরি সামরিক আইন জারী করা হয়েছে, কিন্তু এর ফলে মারাওয়ি-এর বাসিন্দাদের ব্যাপক সংখ্যায় এলাকা ছেড়ে [5] আশেপাশের শহরে চলে যেতে হচ্ছে। দুই পক্ষের গোলাগুলির মাঝে [6] পড়ে যাওয়ার ভয়ে হাজার হাজার পরিবার তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছে।

৩০ মে, ২০১৭ তারিখের সকাল বেলা পর্যন্ত সরকার জানিয়েছেন মারাউয়ির এই সশস্ত্র সংঘাতে এখন পর্যন্ত ৭১,১১৫ জন নাগরিকের মধ্যে ১৪,৩১৩ জন আক্রান্ত হয়েছে [7]। সরকার বলছে যে এখন পর্যন্ত ২০টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে যেখানে ২,২৬১ টি পরিবার অথবা ১০,৮০৯ জন ব্যক্তি আশ্রয় গ্রহণ করেছে। কিন্তু বিভিন্ন সুবিধাদির অভাবের কারণে, হাজার হাজার নাগরিক অন্য শহরে গিয়ে আশ্রয় অনুসন্ধান করেছে। নিজেদের যথা সর্বস্ব নিয়ে এখানে কাউকে কাউকে রাস্তায় হাঁটতে দেখা যায়।

সামরিক আইন জারির এক সপ্তাহ পরে, সরকার দাবী করে ইতোমধ্যে মারাউয়ি তার নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে। কিন্তু বাড়িঘর ছেড়ে শহরে এসে আশ্রয় গ্রহণ করা নাগরিকদের অবস্থার উন্নতি এখন স্থানীয় নেতাদের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ, যারা সামরিক আইন জারি এবং মাওয়ুতে দলের হামলার বিষয়টির মূল্যায়ন করছে।

গতকাল আমরা মারাউয়ির বারাংগাইয়াস-এর যে সমস্ত এলাকায় পৌঁছানো কঠিন সে সমস্ত এলাকার পরিবারকে খাবারের প্যাকেট বিতরণ করতে সমর্থ হয়েছি।

নীচে কিছু ছবি প্রদর্শন করেছে যে নাগরিকেরা মারাওয়ি থেকে পালিয়ে যাচ্ছে, আশ্রয় কেন্দ্রের ভেতরের অবস্থা এবং সামরিক বাহিনী নিয়ন্ত্রিত শহরের পরিস্থিতি তুলে ধরছে:

[10]

সামরিক আইন জারীর পর মারাউয়ি সিটিতে সেনাদের টহল। সুত্রঃ কাথা ইয়ামজান-এর ফেসবুক পাতা। অনুমতিক্রমে ব্যবহার করা হয়েছে।

[11]

মারাউয়ি থেকে পালিয়ে আসার সময় কিছু কিছু কৃষক তাদের গবাদি পশুকে পরিত্যাগ করতে পারেনি। সুত্রঃ কাথা ইয়ামজান-এর ফেসবুক পাতা। অনুমতিক্রমে ব্যবহার করা হয়েছে।

[12]

মারাউয়ি নগরে কারফিউ জারি জারী হওয়ার কারণে শহর থেকে পালানোর জন্য হাজার হাজার নাগরিক গাড়ির অনুসন্ধান করছিল। সুত্রঃ কাথা ইয়ামজান-এর ফেসবুক পাতা। অনুমতিক্রমে ব্যবহার করা হয়েছে।

[13]

লানাও দেল সুর-এর সাগুইরানা শহরে বাস্তুহারাদের জন্য এক “আশ্রয়কেন্দ্র”। সুত্রঃ কাথা ইয়ামজান-এর ফেসবুক পাতা। অনুমতিক্রমে ব্যবহার করা হয়েছে।

[14]

সরকারি সুবিধাদি সহ এক গতানুগতিক সরকারি আশ্রয় কেন্দ্র। ছবি ইনা আলেকো রালডান-এর ফেসবুক পাতা থেকে, যিনি ফিলিপাইনসের সমাজ কল্যাণ এবং উন্নয়ন বিভাগের একজন কর্মচারী।