আয়ু উন্নত হচ্ছে, কিন্তু স্বাস্থ্য নয়

সম্ভবত যেমনটা আশা করা হয়েছিল, দক্ষিণ আমেরিকায় খারাপ স্বাস্থ্যের যে পরিবর্তন তার এক ইনফোগ্রাফিক্স, অনুমতিক্রমে প্রকাশ করা হয়েছে

মেডিগো হচ্ছে স্বাস্থ্য বিষয়ে বিশেষজ্ঞ প্রতিষ্ঠান যা বিশ্বে রোগী ও চিকিৎসকদের মাঝে যোগাযোগ ঘটিয়ে থাকে, এই প্রতিষ্ঠান মানুষের বেঁচে থাকার গড় আয়ু নিয়ে বিশ্ব জুড়ে এক তুলনামূলক গবেষণা করেছে

পৃথিবীর মানুষের গড় বেঁচে থাকার হার এখন এখন আগের যে কোন সময়ের চেয়ে বেশী। ২১ শতকের শুরুতে পৃথিবীর প্রায় সকল রাষ্ট্রে মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৫ সালে পৃথিবীর মানুষের গড় আয়ু ছিল ৭১.৪ বছর। তবে বিভিন্ন জাতির মাঝে এর পার্থক্য ব্যাপক। ইউরোপ এবং উত্তর আমেরিকার নাগরিকদের গড় আয়ু ৭৩ বছর, ওশেনিয়া (অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড) মহাদেশের নাগরিকদের গড় আয়ু ৭১ বছর, ল্যাটিন আমেরিকার নাগরিকদের গড় আয়ু ৭০ বছর, এশিয়ার নাগরিকদের তা ৬১ বছর এবং আফ্রিকার মানুষদের গড় আয়ু সবচেয়ে কম, মাত্র ৫৫ বছর।

তবে, মেডিগো এই বিষয়ে আরো খানিকটা বিশ্লেষণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে এবং এই প্রশ্নটি জিজ্ঞেস করেছে:

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু নিশ্চিত করেছে যে এখন আমরা অনেক দীর্ঘ সময় পর্যন্ত বেঁচে থাকছি, কিন্তু আমরা কি এই দীর্ঘ সময় স্বাস্থ্যসম্মত ভাবে বেঁচে থাকি?

সুস্বাস্থ্য নিয়ে দীর্ঘ সময় বেঁচে থাকাকে ইংরেজিতে বলে “হালে”, মূলত এটি দিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা পরিমাপ করে থাকে স্বাস্থ্য সম্মত ভাবে জীবন যাপন করা একজন ব্যক্তি ঠিক কত বছর বেঁচে থাকতে ইচ্ছুক? এখানে যে সমস্ত উপাদানগুলো একে প্রভাবিত করে সেগুলো হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা, স্বাস্থ্যবিধি, যুদ্ধ এবং আরো অনেক কিছু, তবে “হালে” এখনো সংঘর্ষ কিংবা হানাহানিতে সংঘঠিত নির্মম মৃত্যুকে উপাদান হিসেবে গ্রহণ করে না। এই রেটিং সাম্প্রতিক বছরগুলোয় গড় আয়ুর উন্নতির বিষয়টি নির্দেশ করছে

২০০০ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে মানুষের গড় আয়ু পাচ বছর বৃদ্ধি পেয়েছে, ১৯৬০-এর দশকের পর এ সময়ে সবচেয়ে দ্রুত গতিতে আয়ুর বৃদ্ধির ঘটেছে। ১৯৯০-এর দশকে যখন মানুষের গড় আয়ু দ্রুত কমে আসছিল তার বিপরীতে এই দশকে এই বৃদ্ধি ঘটে। ৯০-এর দশকে মানুষের গড় আয়ু কমে আসার কারণ ছিল সে সময় আফ্রিকায় মহামারি আকারে এইডসের ছড়িয়ে পড়া এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর পূর্ব ইউরোপের জীবনযাত্রার মানে পতন ঘটা।

ইনফোগ্রাফিক ব্যবহারের মাধ্যমে বিশ্বের নাগরিকদের স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে মেডিগো এক বিকল্প পরিমাপ পদ্ধতি ব্যবহার করছে যাকে বলা হচ্ছে “খারাপ স্বাস্থ্যের বছর”, ২০০০ সাল থেকে বিশ্বজুড়ে স্বাস্থ্যের পতনের বিষয়টি এর মাধ্যমে তুলে ধরা হচ্ছে।

যেমনটা বিশ্ব জুড়ে আশা করা হচ্ছিল, খারাপ স্বাস্থ্যের বছরগুলোয় যে সমস্ত পরিবর্তন ঘটেছে তার ইনফোগ্রাফিক্স, অনুমতিক্রমে প্রকাশিত।

গ্লোবাল ভয়েসেস-এর সাথে এক বিস্তারিত আলোচনায় মেডিগো-এর অনলাইন মার্কেটিং ম্যানেজার গিউলিয়া গুয়েত্তেরের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রচলিত পরিমাপ পদ্ধতি এবং মেডিগো প্রস্তাবিত “খারাপ স্বাস্থ্য” পরিমাপ পদ্ধতির মধ্যে পার্থক্য ব্যাখ্যা করেছে:

একজন মানুষ সর্বমোট কত বছর বেঁচে থাকতে পারে মূলত আমার সে বিষয়টিকে গ্রহণ করেছি, এটা হচ্ছে আমরা ঠিক কত বছর বাঁচব বলে আশা করি সে ধারণা, আর এই বিষয়টি নির্ধারিত হয় আমাদের জন্মের সময়। এই কাজটি করার পর আমরা দেখব একজন গড়ে কত বছর “খারাপ স্বাস্থ্যের বছরগুলোয়” বেঁচে থাকার আশা করছে। “খারাপ স্বাস্থ্যের বছর” হচ্ছে এমন বছর যে সময় রোগ এবং শারীরিক অকর্মণ্যতা নিয়ে একজন বেঁচে থাকে।

আপনারা মেডিগোর ওয়েবসাইটে গিয়ে এর সকল ইনফোগ্রাফিক্স দেখতে পারেন।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .