১৯৮৬ সালের ২৬ এপ্রিলের ঘটনা। তখন রাত। আনুমানিক দেড়টা বাজে। সেই সময় যেন কিয়ামত নেমে এসেছিল উত্তর ইউক্রেনের চেরনোবিল এলাকায়! ওইদিন চেরনোবিল পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে রিঅ্যাক্টর বিস্ফোরণ ঘটে। যার ফলে পারমাণবিক বিকিরণ ছড়িয়ে পড়ে চারপাশে। এতে করে ইউক্রেইন, বেলারুশ, রাশিয়া এবং পূর্ব ইউরোপের অনেক অঞ্চলের বিপুল সংখ্যক মানুষ তেজস্ক্রিয়তার শিকার হন।
চেরনোবিল বিপর্যয়ের কারণে সবচে’ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশ বেলারুশ। দেশটির প্রায় ৫ লাখ মানুষ এখনো থাইরয়েড সমস্যায় ভুগছেন। তাছাড়া সীমান্ত অঞ্চলে বসবাসকারী ২০ লাখ মানুষও উচ্চ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন।
গেল সপ্তাহে চেরনোবিল বিপর্যয়ের ৩১তম বার্ষিকী পালন উপলক্ষে একদল পোলিশ অভিযাত্রী চেরনোবিলের খুব কাছে প্রিপইয়াট শহরের বৈদ্যুতিক বাতিগুলো জ্বালানোর উদ্যোগ নেয়। উল্লেখ্য, শহরটি চেরনোবিল পারমাণবিক কেন্দ্র থেকে মাত্র ৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এতদিন এটি ভূতুড়ে শহর ছিল। দুর্ঘটনার এতো বছর পরেও বিকিরণের ভয়ে সেখানে কেউ যাওয়ার সাহস পেত না।
পোলিশ অভিযাত্রীরা জেনারেটর ব্যবহার করে শহরের কয়েকটি ভবনে আলো জ্বালাতে সক্ষম হন। আর এর মধ্যে দিয়ে ৩ যুগ পরে ভূতুড়ে শহরটি বৈদ্যুতের আলোতে ঝলমল করে উঠলো। পোলিশ অভিযাত্রীরা তাদের তোলা ছবিগুলো ফেইসবুকে নাপ্রোমেইনিয়োওয়ানি ডট পিএল পেইজে পোস্ট করেছেন।