- Global Voices বাংলা ভার্সন - https://bn.globalvoices.org -

নেটিজেন প্রতিবেদন: ইউটিউব কেন আপনার ভিডিও সেন্সর করে? কারণ জানা নেই।

বিষয়বস্তু: আইন, ডিজিটাল অ্যাক্টিভিজম, নাগরিক মাধ্যম, নির্বাচন, প্রতিবাদ, প্রযুক্তি, বাক স্বাধীনতা, মানবাধিকার, সেন্সরশিপ, জিভি এডভোকেসী

ডিজিটাল অধিকার ক্রমের কর্পোরেট দায়বদ্ধতা সূচক ২০১৭ – কোম্পানীগুলোর সামগ্রিক অর্জন।

গ্লোবাল ভয়েসেস এডভোকেসি’র নেটিজেন প্রতিবেদনে বিশ্বজুড়ে ইন্টারনেটের অধিকারের চ্যালেঞ্জ, বিজয় এবং উঠতি প্রবণতাগুলো নিয়ে একটি সংক্ষিপ্ত আন্তর্জাতিক আলোকপাত করা হয়েছে।

মধ্য মার্চে গুজরাট রাজ্যের জন-অস্থিরতা ও সহিংসতা নিয়ে চলচ্চিত্র তৈরীর জন্যে পরিচিত ভারতীয় তথ্যচিত্র নির্মাণকারী রাকেশ শর্মা [1] তার ইউটিউব চ্যানেলকে অবরুদ্ধ [2] পেয়েছেন। তিনি কোম্পানি থেকে যে বার্তাটি পেয়েছেন তাতে লেখা:

এই অ্যাকাউন্টটি স্প্যাম, প্রতারণার চর্চা এবং বিভ্রান্তিকর বিষযবস্তু অথবা অন্যান্য পরিষেবা লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে ইউটিউবের একাধিক অথবা গুরুতর নীতি ভঙ্গের কারণে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

২০১৪ সাল থেকে চালু থাকা চ্যানেলটিতে প্রধানত: তার ভারত, ইউরোপ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যথেষ্ট মনোযোগ আকর্ষণ করা তথ্যচিত্রের টুকরোগুলো প্রদর্শিত হয়ে থাকে। এর দুই দিন পরে কোনরকম ব্যাখ্যা ছাড়াই চ্যানেলটি আবার চালু হয় [2]। শর্মা ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সমালোচনামূলক মতামতের জন্যে পরিচিত। এটা তার চলচ্চিত্রগুলোতে সুস্পষ্ট। কিন্তু এই অবরোধের সঙ্গে এর সম্পর্ক প্রতিপন্ন করার কোন সাক্ষ্যপ্রমাণ নেই।

প্রকৃতপক্ষে – ইউটিউবে ভিডিও নামিয়ে ফেলার বিধিবদ্ধ লেখনীর বাইরে – আকস্মিক অবরোধ এবং একইভাবে চ্যানেলের আকস্মিক পুনরাবির্ভাবের  প্রণোদিত উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করার মতো কোন তথ্য নেই।

শর্মা একাই নয়। ইউটিউবের নিয়ম লঙ্ঘনের নিরীক্ষণ পদ্ধতির মধ্যে – (বিশেষ করে কট্টরপন্থী বিষয়বস্তু [3]র প্রতি নজর রাখার জন্যে)  এবং বিজ্ঞাপনদাতাদের সুনজরে থাকতে চাওয়ার জন্যে [4] – একটি আপাত পরিবর্তনের মাঝে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে এক ঝাঁক ইউটিউব ব্যবহারকারী তাদের কাজগুলোকে হয় অবরুদ্ধ নয়তো “সীমাবদ্ধ” রূপে পেয়েছে।

সমলিঙ্গ সম্পর্ক এবং এলজিবিটি (লেসবিয়ান, সমকামী, দ্বিকামী, বহুকামী) গ্রহণযোগ্যতা [5] এবং অধিকারের বিষয়বস্তু নিয়ে কাজ করা ইউটিউবের বিভিন্ন ভিডিও ব্লগারদের ইউটিউবের ভিডিওগুলো হঠাৎ করে লাপাত্তা হয়ে [6] শিশু এবং স্কুল গবেষণাগারের কম্পিউটারের সংস্করণের জন্যে উদ্দীষ্ট “সীমাবদ্ধ” মোডে চলে গিয়েছে। #ইউটিউবপার্টিদেরনিয়েব্যস্ত [7] হ্যাশট্যাগের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা টুইটারে অবরোধের উদাহরণগুলো পোস্ট করে তাদের উদ্বেগকে ভাষা দিচ্ছে।

এই অবরোধগুলো ভিডিওগুলোর ইউটিউবের শর্ত লঙ্ঘন বা এগুলোকে অল্প বয়েসী দর্শকদের জন্যে অনুপযুক্ত বিবেচনা করার জন্যে ব্যবহৃত আংশিক কারিগরি এবং আংশিক মানবচালিত প্রক্রিয়া নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্থাপন করেছে। কিছু কিছু বিষযবস্তু – যেমন পরিষ্কারভাবে পর্নোগ্রাফিক উদ্দেশ্যের ভিডিওগুলো – চিহ্নিত এবং অপসারণ করা সহজ হলেও, অন্যগুলো ততটা নয়। আর অনেক ক্ষেত্রেই প্রক্রিয়াটি ইউটিউবের ব্যবহারকারীদের থেকে শুরু হয় যখন তারা নিয়ম ভঙ্গ করছে বলে মনে করে নিজেরাই কোন বিষয়বস্তু নিয়ে স্বাধীনভাবে অভিযোগ করে [8]। কোম্পানীটির বিষয়বস্তু সরানোর অগ্রগণ্যতা নির্ধারণ করার ক্ষেত্রে এই প্রক্রিয়াটি একটি শক্তিশালী ভূমিকা পালন করে – এবং এটা কখনো কখনো যাদের সঙ্গে তারা দ্বিমত করে তাদেরকে চুপ করিয়ে দেয়ার জন্যেও অপব্যবহৃত হয়ে থাকে।

এই উদাহরণগুলো ব্যক্তিগত এবং প্ল্যাটফর্মটি ব্যপ্ত করে উভয় ধরনের ক্ষেত্রে বিষয়বস্তু সরিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়ে কর্পোরেট স্বচ্ছতার গুরুত্ব চিত্রিত করে। ডিজিটাল জগতে বিদ্যমান আন্তর্জাতিক মানবাধিকার মানের একটি সার্বিক সেটের বিপরীতে পরিমিত ২০১৭ সালের ডিজিটাল অধিকার ক্রমের সূচকে [9] (এই সপ্তাহে প্রকাশিত) এই বিষয়টিকে জোর দেয়া হয়েছে।

নির্বাচনের প্রাক্কালে ইরানীদের কথাবার্তার প্রতি নতুন হুমকি

ইরানীরা ২০১৭ সালের মে মাসে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগ পর্যন্ত গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও ডিজিটাল অভিব্যক্তির উপর কঠোর ব্যবস্থা চালানো প্রত্যক্ষ করছে। ইরানের সর্বোচ্চ নেতার অধীনে চলা সশস্ত্র বাহিনীর কট্টর শাখা বিপ্লবী রক্ষী বাহিনী ইরানের রাজনৈতিক সংস্কারবাদী উপদলের পাশাপাশি মধ্যপন্থী প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানিকে সমর্থন করা বার্তাবাহী অ্যাপ্লিকেশন টেলিগ্রামের বিভিন্ন চ্যানেলের ১২ জন প্রশাসককে আটক করেছে [10]

টেলিগ্রাম ২০১৬ সালের সংসদীয় নির্বাচনের প্রাক্কালে ইরানী ব্যবহারকারীদের একটি উল্লেখযোগ্য ভিত্তি তৈরি করেছে এবং এটা সংসদের সংস্কারমূলক ও মধ্যপন্থী সদস্যদের সুবিধা লাভে সাহায্য করেছে [11]  বলে অনেকে মনে করে। ইরানী কর্তৃপক্ষ গ্রেপ্তার এবং টেলিগ্রামের মাধ্যমে সংবাদ বিতরণ করার জন্যে সংবাদমাধ্যম প্রতিষ্ঠান এবং সাংবাদিকদের সরকারি লাইসেন্সের নেয়ার একটি নতুন আইন [12]  এই উভয়ের মাধ্যমে টেলিগ্রামের মাধ্যমে তথ্যের অবাধ প্রবাহকে দমন করতে চেষ্টা করছে।

সর্বোপরি, এহসান মাজান্দারানি এবং হেঙ্গামেহ শাহিদি নামের দুইজন সাংবাদিককে কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি গ্রেপ্তার করেছে [13] যাদের উভয়ই স্বাধীন ও সমালোচনামূলক প্রতিবেদনের জন্যে সুপরিচিত।

সামাজিক গণযোগাযোগ মাধ্যমের প্রচারণা কৌশলের জন্যে জ্যামাইকার নারী অধিকার কর্মী গ্রেপ্তার

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কথিত যৌন নির্যাতনের অপরাধীদেরকে প্রকাশ্যে চিহ্নিত করার কারণে জ্যামাইকার অ্যাক্টিভিস্ট লাটোয়া নিউজেন্টকে গত সপ্তাহে গ্রেপ্তার করে [14]  তার বিরুদ্ধে সাইবার আইনের [15] আওতায় “বিদ্বেষপরায়ণ যোগাযোগের উদ্দেশ্যে কম্পিউটার ব্যবহার” এর অভিযোগ আনা হয়েছে। নিউজেন্ট যৌন সহিংসতা থেকে যারা বেঁচে গিয়েছেন তাদের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে খোলাখুলিভাবে অনলাইন এবং প্রকাশ্যে উভয় ভাবে কথা বলার নারী নেতৃত্বাধীন একটি নতুন আন্দোলন তাম্বুরিন বাহিনী [16]র সহ-প্রতিষ্ঠাতা। জ্যামাইকা গ্লিনারের জন্যে দেয়া একটি সম্পাদকীয়তে [17] আইনী পণ্ডিত তেনেশা মাইরি সাইবার অপরাধ আইনের এই ধারাটিকে “পেছনের দরজা দিয়ে মানহানিকে একটি অপরাধ বানানোর প্রয়াস” বলে অফলাইনে উল্লেখ করেছেন। জ্যামাইকাতে মানহানিকে ফৌজদারি নয়, দেওয়ানী বিষয় গণ্য করা হয়।

গুয়াতেমালায় অগ্নিকাণ্ড থেকে বেঁচে যাওয়াদের সাক্ষাৎকার প্রকাশ করার পর  সংবাদ সাইট আক্রান্ত

একটি বাড়িতে আগুন গত ৮ মার্চ গুয়াতেমালা সিটির উপকণ্ঠে একটি আশ্রমে ৪০ জন তরুণী [18] নিহত হলে সেটা সেই অঞ্চল এবং তার বাইরের যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর যথেষ্ট মনোযোগ আকর্ষণ করে। কিন্তু কাহিনীটির কভারেজের কারণে স্থানীয় যোগাযোগ মাধ্যমগুলো শাস্তি না পেয়ে থাকেনি। গুয়াতেমালার স্বাধীন সংবাদ সাইট নোমাদাজিটি [19] আগুন থেকে বেঁচে যাওয়া দুই তরুণীর রেকর্ডকৃত সাক্ষ্য-প্রমাণাদি [20] প্রকাশ করার পর সাইটটিকে কয়েক ঘন্টার জন্যে অফলাইনে রাখা একটি ডিডিওএস (বিতরণকৃত পরিষেবা অস্বীকার) আক্রমণ [21] ভোগ করে [22]

আরব আমিরাতে “মিথ্যা তথ্য প্রকাশ”-এর জন্যে অ্যাক্টিভিস্ট গ্রেপ্তার

২০ মার্চ তারিখে সংযুক্ত আরব আমিরাত কর্তৃপক্ষ আহমেদ মানসুর [23] নামের মানবাধিকার সুরক্ষা কর্মীদের সমর্থন করা ২০১৫ সালের মার্টিন এনালস ফাউন্ডেশনের পুরস্কার বিজয়ী [24] একজন সম্মানিত মানবাধিকার সুরক্ষা কর্মী [23]কে আটক করেছে। মনসুরকে “মিথ্যা তথ্য ও গুজব প্রকাশ করার পাশাপাশি একটি সাম্প্রদায়িক ও ঘৃণা-প্রণোদিত এজেন্ডা তুলে ধরার জন্যে” সামাজিক গণযোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের দায়ে অভিযুক্ত করা হয়েছে [25]

১৫ মার্চ তারিখে আবু-ধাবির একটি আদালত সামাজিক গণযোগাযোগ মাধ্যম “রাষ্ট্রের প্রতীককে অসম্মান” করার জর্দানীয় সাংবাদিক তায়সির আল-নাজ্জার [26]কে দোষী সাব্যস্ত করেছে, যা ২০১২ সালের সংযুক্ত আরব আমিরাতের সাইবার অপরাধ [27] আইন অনুযায়ী একটি অপরাধ। আল-নাজ্জারের বিরুদ্ধের মামলাটি প্রাথমিকভাবে গাজার যুদ্ধে আমিরাতের অবস্থান নিয়ে সমালোচনা করে দেয়া একটি ফেসবুক পোস্টকে ঘিরে যেটা তিনি ২০১৪ সালে জর্দানে থাকার সময় করেছিলেন।

ব্রাজিলীয় ব্লগারকে কেন্দ্রীয় বিচারকের কাছে উৎস প্রকাশ করতে বাধ্য করা হয়েছে

ব্রাজিলের গোপনীয় দুর্নীতিবিরোধী একটি তদন্ত সম্পর্কে গুরুত্বপুর্ণ তথ্য প্রকাশ করায় এদুয়ার্দো গিমারেস নামে একজন বামপন্থী ব্রাজিলীয় ব্লগারের একটি ল্যাপটপ এবং দুইটি ফোন জব্দ করা হয়েছে [28]। দুর্নীতির কেলেংকারী অপারেসোয়া লাভা যাতো (গাড়ি ধোয়া অপারেশন) [29] থেকে কথিতভাবে ফাঁস হওয়া তথ্যটি সাবেক প্রেসিডেন্ট লুলার সমর্থক এবং বামপন্থী অ্যাক্টিভিস্ট ও রাজনীতিবিদদের মধ্যেকার একজন নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিত্ব গিমারেসের প্রকাশ করেছেন। ব্লগার আরো বলেছেন তাকে উৎস জানাতে বলায় উৎসের সুরক্ষা বিষয়ে প্রধান প্রধান মিডিয়া প্রতিষ্ঠানগুলো [30]র প্রতিবেদন এবং (ডানপন্থী ব্লগাররা [31]সহ) ব্লগমণ্ডলে অনলাইন প্রতিবাদের একটি ঢেউ [32] সৃষ্টি করেছে। সীমানাবিহীন প্রতিবেদকরা বিবিসিতে বলেছে [33] এটা ব্রাজিলের গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর একটি ‘মারাত্মক আঘাত।”

আদালত বলেছে মার্কিন নাগরিক তার কম্পিউটারে গোয়েন্দা সফটওয়্যার রাখার জন্যে ইথিওপীয় সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারবে না

যুক্তরাষ্ট্রের একটি আপিল আদালত রায় দিয়েছে যে কিদানে ছদ্মনামের একজন মার্কিন নাগরিক গোয়েন্দা সফটওয়্যার ফিনস্পাই ব্যবহার করে তার কম্পিউটার হ্যাক করার জন্যে ইথিওপীয় সরকারকে মামলা করতে পারবেন না [34]। যেখানে হ্যাকিং ঘটেছে সে বিষয়ে আদালতের ব্যাখ্যার উপর সিদ্ধান্তটি  নির্ভর করে: আদালত রায় দিয়েছে যে ইথিওপীয় বংশোদ্ভূত হলেও কিদানে সংক্রমিত ইমেইল সংযুক্তিটি যুক্তরাষ্ট্রে খুলেছেন। কিন্তু ভাইরাস বসানোর ঘটনাটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে থেকে শুরু হয়েছিল।

কিদানের আইনজীবী ইলেক্ট্রনিক সীমান্ত ফাউন্ডেশন (ইএফএফ)-এর স্টাফ অ্যাটর্নি নেট কার্দোজো এই ব্যাখ্যার ক্ষেত্রে আদালত একেবারেই ভুল [35] বলে একে “সাইবার নিরাপত্তা জন্যে অত্যন্ত বিপজ্জনক” আখ্যা দিয়েছেন। ইএফএফ বলেছে আদালতের রায়টির বিরুদ্ধে তারা তাদের আপিল আবেদনের সুযোগের মূল্যায়ন করছেন।

তিউনিশীয় কমিশনে কথা বলার জন্যে ইন্টারনেট স্বাধীনতার অ্যাক্টিভিস্ট বেন আলী শাসকগোষ্ঠীর লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত

বিদ্রুপাত্মক অনলাইন ফোরাম তিউনিজিনে প্রতিষ্ঠাতা তিউনিশীয় ব্লগার জুহাইর ইয়াহিয়াওয়ে [36] ২০০১ সালে “মিথ্যা সংবাদ” প্রকাশনার দায়ে কারাদণ্ডে দণ্ডিত এবং নির্যাতিত। এখন ২০১১ সালে উৎখাত হওয়া পর্যন্ত তিউনিশিয়ায় ২৩ বছর ধরে চলা জিনে এল-আবেদিন বেন আলীর একনায়কত্বের আমলে মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রকাশ্য শুনানি [37]র একটা ধারাবাহিকের অংশ তার গল্পটি হিসেবে সামনে আনা হয়েছে।

ব্লগার, অ্যাক্টিভিস্ট এবং বেন আলীর শাসকগোষ্ঠীর লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত ব্যক্তিদের আত্মীয়-স্বজনরা তিউনিশিয়ার সত্য ও মর্যাদার কমিশনের অনলাইন অধিকার লঙ্ঘন বিষয়ের উপর নিবেদিত একটি বিশেষ অধিবেশনে সাক্ষ্যপ্রমাণ দিচ্ছেন। তিউনিশিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন বিচার প্রক্রিয়া ভবিষ্যত ইন্টারনেট নীতিকে কেমন করে এবং কিভাবে প্রভাবিত করবে সেটা এখনো অস্পষ্ট হলেও একসময়ের “ইন্টারনেট শত্রু’ হিসেবে বর্ণিত দেশটি সংস্কারের দিকে একটি অপরিহার্য প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে তার অবমাননাকর অতীতকে স্বীকার করে নিচ্ছে।

নতুন গবেষণা

 

ইমেলের মাধ্যমে নেটিজেন প্রতিবেদন পাওয়ার জন্যে গ্রাহক হোন [41]