মিয়ানমারের একটি সতন্ত্র ওয়েবসাইট ইরাবতি’তে প্রকাশিত জাউ জাউ এর লেখা এই প্রবন্ধটি বিষয়বস্তু শেয়ারিং এর চুক্তি অনুযায়ী গ্লোবাল ভয়েসেসে পুনরায় প্রকাশিত হয়েছে।
মিয়ানমারের মান্দালয় এর পাথিয়েঞ্জি শহরতলীর ইরাবতী নদীর তীরে ডন কোন এবং থায়েট টাপিন নামের ছোট দুই গ্রামের কাছাকাছি ইটভাটায় দিন এনে দিন খাওয়া ধরণের জীবনধারনকারী ১০০ জনেরও বেশি শ্রমিক প্রতিদিন কাজ করে। এদের বেশিরভাগই মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ অভিবাসী।
সেখানে চারটি ইটভাটা রয়েছে এবং প্রতিটি জায়গায় ২০ টিরও বেশি চুল্লি রয়েছে। এই কর্মস্থলগুলোতে একটি বিষয়ে বেশ মিল পাওয়া যাবে। তা হচ্ছে, সেখানে শিশু বাদে সমগ্র পরিবার কাজ কাজ করছে।
কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায়, ৫ বছর বয়সি শিশুরাও মাঠে খেলাধুলা অথবা স্কুলে পড়তে যাবার পরিবর্তে পরিবারের সদস্যদের কাজে সহায়তা করছে।
নিজেদের তৈরি কুঁড়েঘরে বসবাসরত এই অভিবাসীরা জীবিকা অর্জনের জন্য মান্দালয় এর অন্য অংশ থেকে সেই নদীতীরে এসে আস্তানা গেড়েছে।
এইসব অধিকাংশ পরিবারের সামান্য বেতন এবং খাদ্যের উচ্চ খরচ এর অর্থ হল – সবাইকে কাজ করতে হয়। তাঁদের উৎপাদন লক্ষ্য পূরণ এবং নিজেদের রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনে আয়ের অন্য কোন উপায় নেই।
কিছু ক্ষেত্রে, যখন প্রাপ্তবয়স্ক শ্রমিকরা অসুস্থ হয়ে পড়েন, তখন তারা তাদের নিয়োগকর্তার কাছে অগ্রিম মজুরির জন্য আবেদন করেন এবং যতক্ষণ না তারা সেটা শোধ করতে না পারেন ততক্ষণ কাজ করে যান। অতঃপর যখন তারা দ্রুত টাকা পরিশোধ করতে পারেন না, তখন তাদের সন্তানদের কাজে লাগিয়ে দেন।
অভিবাসী পরিবারের সদস্যরা বর্ষাকাল আসার পূর্ব পর্যন্ত ইরাবতী নদীর তীরে ইট সেকার কাজ করেন। বর্ষা এলে জল ভরে ওঠে এবং কাদামাটি আর সহজলভ্য হয় না। তারপর তারা তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে একই মালিকের অধিন মাদাওয়া শহরতলীর অন্য ইটভাটায় কাজ করতে চলে যান এবং এভাবেই এই দুষ্টচক্র অব্যাহত থাকে।
নীচে মাটির ঝুড়ি বহনরত এবং ডন কোন এবং থায়েট টাপিন গ্রামের কাছাকাছি একটি ইটভাটার মধ্যে সমাপ্ত ব্লক স্ট্যাকগুলি টেনে আনা শ্রমিকদের আরো কিছু ছবি রয়েছেঃ