২৫ ফেব্রুয়ারি প্রেসিডেন্ট পেত্রো পোরোশেংকো স্বাক্ষরিত দেশটির নতুন তথ্য নিরাপত্তা মতবাদ সমুন্নত রাখার একটি প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ইউক্রেনের তথ্যনীতি মন্ত্রণালয় “ইউক্রেনীয় সার্বভৌমত্ব খর্বকারী” ওয়েবসাইটগুলোর একটি তালিকা প্রস্তুত করছে [1]।
২ মার্চ একটি সংবাদ সম্মেলনে তথ্যনীতি মন্ত্রী ইউরি স্তেৎস বলেছেন [2] যে “আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে আমি চাই [উপ-প্রধানমন্ত্রী দিমিত্রি জুলোতুখিন] যেন মিডিয়া বিশেষজ্ঞ ও সরকারি কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত তথ্যনীতি মন্ত্রণালয়ের একটি বিশেষজ্ঞ পর্ষদের কাছে ব্লক করে দেয়ার মতো সাইটগুলোর একটি তালিকা উপস্থাপন করেন।”
আপাতদৃষ্টিতে নীতিটির লক্ষ্যবস্তু মনে হচ্ছে বিচ্ছিন্নতাবাদ পন্থী এবং রুশপন্থী তথ্যের প্রচার: রাষ্ট্রপতির প্রশাসনের দেয়া বিবৃতি [3] অনুসারে “ছড়িয়ে পড়া হাইব্রিড (শঙ্কর) যুদ্ধের পরিস্থিতিতে মূলত: রাশিয়ার ধ্বংসাত্মক তথ্যের প্রভাব মোকাবেলা করার উদ্দেশ্যে” এই নীতিটি চালু করা হয়েছে।
স্তেৎস বলেছেন যে ২০১৪ সালের বসন্তে ইউক্রেনে সূত্রপাত ঘটা এবং পূর্ব ও দক্ষিণ ইউক্রেনে একটি কাল্পনিক বিচ্ছিন্নতাবাদী রাষ্ট্র নিয়ে রুশপন্থী আন্দোলনের সঙ্গে সংযুক্ত যথাক্রমে রুশ বসন্ত এবং নভোরোসশে (নতুন রাশিয়া)-এর মতো ওয়েবসাইটগুলো তার মন্ত্রণালয়ের কালো তালিকায় যোগ করা হবে।
তবে ওয়েবসাইটগুলো ব্লক করার জন্যে তথ্য নীতি মন্ত্রণালয় এককভাবে দায়ী হবে না। স্তেৎস বলেছেন বর্তমানে কোন প্রোটোকল না থাকলেও ইউক্রেনের নিরাপত্তা পরিষেবা (এসবিইউ) এবং একটি বিশেষজ্ঞ পর্ষদ তার মন্ত্রণালয়ের পরামর্শগুলো বিশ্লেষণ করবে। “অদূর ভবিষ্যতেই এদের ব্লক করে দেয়ার জন্যে আমরা একটি পদ্ধতি খুঁজছি,” বলেছেন স্তেৎস।
স্তেৎস বিশেষজ্ঞ পর্ষদের ব্লক করে দেয়ার মতো সাইটগুলোর পর্যালোচনাটি একটি রাষ্ট্রীয় সেন্সরের মতো কাজ না করার উপর জোর দিয়ে এই ধারণা দিয়েছেন যে তার মন্ত্রণালয় যে সব সাইট ব্লক করা উচিৎ সেগুলো সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করে একটা আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্তের জন্যে আদালতে পাঠিয়ে দেবে।
ইউক্রেনের নতুন [4] তথ্য নিরাপত্তা মতবাদটি তথ্যনীতি মন্ত্রণালয়কে ইউক্রেনের জাতীয় নিরাপত্তার জন্যে হুমকিসহ ইউক্রেনে অবৈধ বলে মনে করা গণমাধ্যম এবং ইন্টারনেট তথ্য সনাক্ত করার ক্ষমতা দেয়।