- Global Voices বাংলা ভার্সন - https://bn.globalvoices.org -

মিয়ানমারে কামানের গোলা থেকে পালিয়ে কাচিন জনগণের ঠাণ্ডার সঙ্গে লড়াই

বিষয়বস্তু: পূর্ব এশিয়া, মায়ানমার (বার্মা), নাগরিক মাধ্যম, মানবতামূলক কার্যক্রম, মানবাধিকার, যুদ্ধ এবং সংঘর্ষ, রাজনীতি, লিঙ্গ ও নারী, শরণার্থী
[1]

কাচিন স্বাধীনতা সেনাবাহিনী ও মিয়ানমার সেনাবাহিনীর মধ্যে নতুন করে শুরু হওয়া যুদ্ধ থেকে বাঁচতে কাচিন বেসামরিক জনগণ
চীন-মিয়ানমার সীমান্তে আস্তানা গেঁড়েছে। ছবি: মিয়ো মিন সোয়ে/ ইরাবতী (সংবাদ ওয়েবসাইট)

মিয়ানমারের একটি স্বাধীন সংবাদ ওয়েবসাইট ইরাবতী’র মিয়ো মিন সোয়ে এবং ন্যানা উইন্নে হ্না পুইন্ত এই নিবন্ধ [1] লিখেছেন এবং একটি বিষয়বস্তু ভাগাভাগি চুক্তির অংশ হিসেবে গ্লোবাল ভয়েসেস এটা পুনরায় প্রকাশ করেছে।

লেখাটি মিয়ানমার সরকারের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে কাচিন স্বাধীনতা সেনাবাহিনীর স্থানীয় যুদ্ধকে বুঝিয়েছে। গত বছর ক্ষমতায় আসা সরকারের শুরু করা চলমান শান্তি প্রক্রিয়াটি সত্ত্বেও মিয়ানমার জুড়ে বিভিন্ন সশস্ত্র জাতিগোষ্ঠী এখনো জাতীয় সরকারের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র সংঘাতে লিপ্ত। এই যুদ্ধগুলো একটি শরণার্থী [2]  তৈরি করেছে। নিচের নিবন্ধটি বেসামরিক জনগণের উপর এসব যুদ্ধের প্রভাব [3]টি তুলে ধরেছে।

২১ জানুয়ারি, ২০১৭ তারিখে প্রায় ২,০০০ অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত মানুষ (আইডিপি) কাচিন স্বাধীনতা সেনাবাহিনী (কেআইএ) নিয়ন্ত্রিত একটি এলাকা লাইজা জেলার শায়িত ইয়াং গ্রামে এসেছে। এই বাস্তুচ্যুত মানুষেরা এসেছে ওয়াইংম’ শহরতলীর যাই অং এবং হকাউ সাউ ক্যাম্প থেকে।

১৯ জানুয়ারি তারিখে মিয়ানমার সেনাবাহিনী এবং কেআইএ-এর মধ্যে একটি যুদ্ধে তাদের চারপাশে বৃষ্টির মতো আর্টিলারি গোলা নেমে আসতে থাকলে ক্যাম্পগুলো থেকে তাদেরকে পালিয়ে আসতে হয়েছে। এসব বেসামরিক জনগণ মিয়ানমার-চীন সীমান্তে অবস্থিত শিয়াত ইয়াং গ্রামে ছুটে যায়। তারা আশা করেছিল যে চীন এবং কেআইএ-এর মধ্যে সীমান্তের বেশি কাছাকাছি এলাকায় কোন সেনা মোতায়েন না করা একটি চুক্তির কারণে কোন সৈন্য না থাকায় শিয়াত ইয়াং হয়তো নিরাপদ হবে। একটি আইডিপি এবং শরণার্থী ত্রাণ কমিটি নতুন করে আসাদের সাহায্য করতে গিয়ে সংগ্রাম করছে।

আবহাওয়াও কোন সাহায্য করছে না। এটি মিয়ানমারের তুষারপাত প্রবণ এলাকাগুলোর একটি। রাতে তাপমাত্রা মাইনাস ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস (২৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট)  পর্যন্ত নেমে আসে। ইরাবতী শিবিরটি পরিদর্শনের সময় কিছু বাসিন্দার তীব্র ঠান্ডা থেকে নিজেদের রক্ষা করার মতো যথেষ্ট গরম জামা-কাপড় ছিল না। কেউ কেউ উষ্ণ থাকার জন্যে আগুন জ্বালিয়েছিল।

“আমার পা আমাকে শেষ করে ফেলছে। ঠান্ডা কারণে ওগুলো অসাড় হয়ে পড়েছে,” বলেছেন শুধু পুরোনো একটি জীর্ণ নীল সোয়েটার পরিহিত ৬০-বছর বয়সী লাফাই যাউ রা। তিনি বলেন যে জীবন নিয়ে জাই অং-এর কামানের গোলা থেকে দূরে পালানোর সময় তার কাছে অন্য জামাকাপড় নেয়ার মতো কোন সময় ছিল না।

আরেকজন আইডিপি (অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত মানুষ) কাওত মাই বলেন তিনি রাতের বেলার ভয় করেন কারণ তাপমাত্রা চরম হয়ে উঠছিল।

“আমার জীবনে কখনো এই ধরনের ঠান্ডার অভিজ্ঞতা হয় নাই,” তিনি বলেন। “আমি যখন দিন বের হওয়ার জন্যে অপেক্ষা করছিলাম তখন খুব দীর্ঘ মনে হয়েছিল।”

[1]

শরণার্থী শিবিরটি মিয়ানমারের কয়েকটি তুষারপাতপ্রবণ এলাকার একটিতে অবস্থিত। ছবি: মিয়ো মিন সোয়ে/ ইরাবতী (সংবাদ ওয়েবসাইট)

[1]

একজন কাচিন শরণার্থী  ক্যাম্পে উষ্ণতা পেতে চেষ্টা করছে। ছবি: মিয়ো মিন সোয়ে/ ইরাবতী (সংবাদ ওয়েবসাইট)

[1]

কাচিন বেসামরিক জনগণ তীব্র ঠান্ডা তাপমাত্রা থেকে বাঁচার জন্যে জ্বালানী কাঠ একত্রিত করছে। ছবি: মিয়ো মিন সোয়ে/ ইরাবতী (সংবাদ ওয়েবসাইট)

[1]

শিশুরা  তাদের পরিবারগুলোকে ক্যাম্পের চারপাশ থেকে জ্বালানী কাঠ সংগ্রহে সাহায্য করছে। ছবি: মিয়ো মিন সোয়ে/ ইরাবতী (সংবাদ ওয়েবসাইট)

[1]

কাচিন স্বাধীনতা সেনাবাহিনী এবং মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর মধ্যে সাম্প্রতিক সংঘর্ষগুলোর পর  প্রায় ২,০০০ জন তাদের গ্রাম থেকে পালিয়েছে। ছবি: মিয়ো মিন সোয়ে/ ইরাবতী (সংবাদ ওয়েবসাইট)

[1]

ক্যাম্পে কাচিন শিশুরা খেলছে। ছবি: মিয়ো মিন সোয়ে/ ইরাবতী (সংবাদ ওয়েবসাইট)

[1]

কামানের হামলা থেকে পালানো কাচিন বেসামরিক জনগণ এখন লাইজা জেলার শাইত ইয়াং-এর একটি আইডিপি ক্যাম্পে তীব্র ঠান্ডা তাপমাত্রার সঙ্গে লড়াই করছে। ছবি: মিয়ো মিন সোয়ে/ ইরাবতী (সংবাদ ওয়েবসাইট)

[1]

ছবি: মিয়ো মিন সোয়ে/ ইরাবতী (সংবাদ ওয়েবসাইট)