- Global Voices বাংলা ভার্সন - https://bn.globalvoices.org -

রুশ সরকারি সেন্সর প্রতিষ্ঠানের বেসরকারি মাসকট কামুক এনাইম চরিত্র

বিষয়বস্তু: পূর্ব ও মধ্য ইউরোপ, রাশিয়া, কৌতুক, নাগরিক মাধ্যম, সেন্সরশিপ, রুনেট ইকো
[1]

“আরকেএন-চ্যান” ফ্লিক দ্যা থিফ (চোরকে ঝেড়ে ফেলুন) / ভিকন্টাক্টে

কেন্দ্রীয় একটি সরকারি সংস্থার নামানুসারে রাখা এবং উত্তেজক অনলাইন কমিকসে তার ভূমিকার জন্যে পরিচিত কামুক কমিক চরিত্র “রস্কোমনাজোর-চ্যান” কিভাবে যেন রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সেন্সর সংস্থার বেসরকারি মাসকট হয়ে গেছে।

একটি রুশ আদালতে একটি গাড়ি থেকে একটি সাপ বেরিয়ে আসার একটি ভিডিও – সম্ভবত: নিজেকে কিভাবে হত্যা করতে হয় এমন নির্দেশাবলী যুক্ত – নিষিদ্ধ হওয়ার পর চরিত্রটি সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে রস্কোমনাজোরের শেয়ার করা একটি সংক্ষিপ্ত কার্টুনে হাজির হয়েছিল বলে জানিয়েছে [2]  সংবাদ সাইট টি-জার্নাল।

রু্লিংটি এমনকি রস্কোমনাজোরে কর্মরত কর্মকর্তাদেরও দৃশ্যত: বিস্মিত করে ফেলে। তারা বলেছেন যে রায়টি শোনার পর তারা আঘাত পেয়ে “অসাড়তায়” পর্যবসিত হন। সংস্থাটি আদালতের যুক্তি সম্পর্কে সন্দিহান হয়ে নিজেকে একজন বিভ্রান্ত রস্কোমনাজোর-চ্যান হিসাবে চিত্রিত করে ভিকন্টাক্টে-তে একটি কমিক পোস্ট [3] করে।

সংস্থাটির মুখপাত্র ভাদিম অ্যাম্পেলনস্কি টি-জার্নালকে নিশ্চিত করেছেন যে রস্কোমনাজোর সচেতনভাবেই নিজেকে জনপ্রিয় কমিক চরিত্র হিসাবে চিত্রিত করেছিল।

সেন্সর সংস্থাটির মেমে গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত অনেক রুশ ইন্টারনেট ব্যবহারকারীকেই বিস্মিত করেছে, যারা প্রায়শ:ই চরিত্রটিকে সংক্ষেপে “আরকেএন-চ্যান” বলে ডাকে। একটি কেন্দ্রীয় সংস্থা  যৌনাবেদনময় কার্টুন সৃষ্টিকে আশ্রয় করাকে অনেক ভিকন্টাক্টে (ফেসবুকের মত প্লাটফরম) ব্যবহারকারীদের বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়েছে।

কামুক-ধরনের চিত্র মূলত: শিল্পী দিমিত্রি সেরেব্রাইয়াকভের যিনি তার শিল্পকর্ম “চোরকে ঝেড়ে ফেলুন [4]” নামে প্রকাশ করে থাকেন। তিনি তার কমিক টুকরোগুলোতে রস্কোমনাজোর-চ্যানকে সাধারণত: ক্যামেরার নিচু এঙ্গেল থেকে ফুটিয়ে তোলা হয় – যার কাছে মাঝে মাঝে একটা পাতলা চাবুক থাকে। গুচ্ছ করে বেঁধে রাখা তার চুলগুলো রস্কোমনাজোর লোগো সম্বলিত। মেশিনের মধ্যে থাকা একটা ভুতের মতো সে কম্পিউটারের পর্দার বাইরে ঘন ঘন দৃষ্টিপাত করে। প্রায়শ:ই সে একটি সুপারহিরো হিসেবে আবির্ভূত হয়।

[5]

ফ্লিক দ্যা থিফ (চোরকে ঝেড়ে ফেলুন) / ভিকন্টাক্টে

সম্ভবত: কৌতুক করে সেরেব্রাইয়াকভ বলেছিলেন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মধ্যে সংস্থাটির জন ভাবমূর্তির উন্নয়ন ঘটাতেই তিনি আরকেএন-চ্যান সৃষ্টি করেছেন।

তিন বছর আগে ক্রিমিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল নাতালিয়া পাকলোনোস্কাইয়া সম্মানার্থে আবির্ভূত পরিবর্তনশীল এবং যৌন এনাইম চরিত্র “নাইয়াশ মাইয়াশ [6]”  নামে পরিচিত একটি এনাইম মিমের আদলে আরকেএন-চ্যান তৈরি করা হয়েছে। বাস্তবে, ফ্লিক দ্যা থিফ এমনকি একটি সমম্বিত পর্ব [7]ও চিত্রিত করেছে।

নাইয়াশ মাইয়াশ এর মতো আরকেএন-চ্যান ভক্তি ও ভয় প্রদর্শনকারী উভয় ভঙ্গিতেই প্রদর্শিত।

[8]

ফ্লিক দ্যা থিফ (চোরকে ঝেড়ে ফেলুন) / ভিকন্টাক্টে

একটি ছবিতে আপনি তাকে হাতে এক জোড়া গোলাপী  হাতকড়া  নিয়ে আপনি তার মুখের ওপর বিজয়ীর একটি হাসি হেসে খেলাচ্ছলে বলতে দেখছেন, “Я ТУТАЧКИ” ( “আমি ভিন্নমতাদর্শী!”)।

আরেকটি কমিকে তাকে স্নেগিয়রুচকাকে (শীতকালীন ছুটির সময় যে কুমারী বনপিতাকে সাহায্যকারী করে) নিয়ে একটি কামুক স্বপ্ন [9] দেখতে দেখা গিয়েছে। সে তার পোশাক খুলতে খুলতে মোহাবিষ্টভাবে আরকেএন-চ্যানকে জিজ্ঞেস করে যে সে এবছর ভাল ছিল কিনা। উন্মুক্ত হলে আরকেএন-চ্যান-এর অন্তর্বাস গুলোতে রস্কোমনাজোর লোগো খচিত দেখা যায়।

অন্যান্য পর্বে তাকে যৌন খেলনা [10]  এবং বিভিন্ন প্রাপ্তবয়স্ক থিম সম্পর্কে কল্পনাবিলাসী হতে দেখা যায়  যা পরিষ্কারভাবেই ভিকন্টাক্টে-তে থাকা  ফ্লিক দ্যা থিফের ৮,২০০ গ্রাহকের প্রতি আবেদন সৃষ্টি করে।

সাম্প্রতিক মাসগুলোতে রাশিয়ার ইন্টারনেট কালোতালিকায় জনপ্রিয় কয়েকটি পর্নোগ্রাফি ওয়েবসাইট যোগ করার জন্যে রস্কোমনাজোর’কে উপহাস করা হয়েছে। তালিকাটিতে এখন পর্যন্ত PornHub (পর্ণহাব), YouPorn (ইউপর্ণ) এবং Brazzers (ব্রেজারস) এর মতো বিভিন্ন সাইট অন্তর্ভুক্ত।

আরকেএন-চ্যান সম্পর্কিত রসিকতার অংশটি হল যে সে মুখোশধারী গুণ্ডাদের একটি বাহিনীর নেতৃত্ব দিয়ে ইন্টারনেটের পর্নোগ্রাফি খুঁজে বের করে, অথচ সে নিজেই সুস্থ কিন্তু অনিচ্ছুক কাম শক্তিসম্পন্ন অত্যন্ত আকর্ষণীয় একজন নারী।