জাপানে শীতকাল এসে গেছে। ২৪ নভেম্বর রোজ বৃহস্পতিবার টোকিওতে গত চুয়ান্ন বছর পর নভেম্বরের শুরুতে তুষারপাত ঘটেছে। হতে পারে তুষারপাত অপ্রত্যাশিত। কেননা এটা জাপানে একটি অস্বস্তিকর মৌসুম তথা শীতকালের আগমনী বার্তা নিয়ে আসে।
উষ্ণ গ্রীষ্মকালকে সহনীয় করে তোলার জন্য সর্বত্র বিস্তৃত শীতাতপ নিয়ন্ত্রণকে ধন্যবাদ দেয়া যেতে পারে। যদিও জাপানের ঠাণ্ডা শীতকালে নিষ্ঠুর হয়ে ওঠে। কারণ অন্যান্য উন্নত দেশের মতো কেন্দ্রীয় উত্তাপ ব্যবস্থা জাপানে তেমন ব্যাপকভাবে বিস্তৃত নয়। নিজেদের উষ্ণ রাখতে এর পরিবর্তে অনেকেই সেখানে কেরোসিন চালিত হিটারের উপর নির্ভর করেন। পাশাপাশি কোতাতসু নামক একটি আসবাব ব্যবহৃত হয়। এটি একটি নিচু টেবিল, যার তলদেশে একটি ভারী কম্বল পেঁচান রয়েছে, এবং এর কাছে একটি হিটারের দ্বারা উত্তাপ তৈরি হয়।
কোতাতসু শব্দটি শুনলে সুখকর এবং উষ্ণতার একটি চিত্র মনের পর্দায় ভেসে ওঠে এবং তা শুধু মানুষের ক্ষেত্রে ঘটে তা নয়। বাড়ির পোষা বিড়ালটিও কোতাতসু ভালোবাসে। আর তাঁকে প্রায়ই টেবিলের নীচে, কম্বলের ভেতরে, বৈদ্যুতিক হিটারের খুব কাছে ঝিমাতে দেখা যায়।
জাপানিজ ব্লগ ফানডু, ইউটিউব ব্লগ কাগোনেকো (かご猫 Blog, “বাক্সের ভেতর বিড়াল” শিরোনামের ব্লগ) প্রতিবেদনে জাপানি শীতকালীন উষ্ণতা ও আরাম প্রকাশের এই দৃশ্য ধারণ করেছে। ব্লগটিতে নিয়মিতভাবে জাপানের বিড়ালগুলোর বিভিন্ন ভিডিও আপলোড করা হয়। বিশেষ করে কোতাতসুসের নিচে আলসেমিতে জড়ানো বিড়ালের ভিডিও।
এছাড়াও কেরোসিন হিটারের সামনের উষ্ণ জায়গাটিতে বিড়ালগুলো অধিকার দাবি করে। নেকোবাকো ব্লগটিতে] এই দৃশ্য বেশ নিপুণভাবে ধারণ করা হয়েছেঃ
নিয়মিত আপডেট পেতে নেকোকাগো ব্লগটি দেখতে ভুলবেন না যেন।