চারটি এ্যানিমেশন ভিডিও মায়ানমারে ধর্মীয় সহিষ্ণুতা ও শিশু শরণার্থীদের অধিকারের বিষয়গুলো তুলে ধরছে

Screenshot of a video warning about the negative social impact of religious discrimination and online hate speech. Source: YouTube

এক ভিডিওর স্ক্রিনশট যা ধর্মীয় বৈষম্য এবং অনলাইনে গালাগালি করার নেতিবাচক প্রভাবের বিষয়ে সতর্ক করে দিচ্ছে। সূত্র ইউটিউব।

গত বছর, গ্লোবাল ভয়েসেস ইকুয়ালিটি অফ মায়ানমারের কিছু কাজ তুলে ধরে। এটি একটি বেসরকারী সংগঠন যা মায়ানমারে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় বিভিন্ন রকমের মাল্টিমিডিয়া উপাদান তৈরি করে থাকে

আমরা সহজ কিন্তু সৃষ্টিশীল উপায়ে সম্প্রদায়ের মাঝে সংঘর্ষের প্রভাব উল্লেখ করতে গিয়ে পাঁচটি অ্যানিমেশন ভিডিও তুলে ধরেছি। একই সাথে এই সকল ভিডিও এই শিক্ষা প্রদানের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে যে কীভাবে নির্যাতনকে চ্যালেঞ্জ করতে হয় এবং সমাজের প্রান্তিক অবস্থানে থাকা খাতগুলোকে ক্ষমতাশালী করতে হয়।

আমরা আরো চারটি ভিডিও তুলে ধরছি যা মায়ানমারে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা ও বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তথ্য তুলে ধরার প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি উল্লেখ করেছে।

যখন মায়ানমার গণতন্ত্রের পথে উত্তরণের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, তখন সম্প্রতি বছরগুলোয় ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জাতিগত ঘৃণার পরিমাণ বিপজ্জনক ভাবে বেড়ে যাওয়ায় এই প্রক্রিয়া বাঁধাগ্রস্থ হচ্ছে ।

দেশটির বেশ কয়েকটি স্থানে সংখ্যাগরিষ্ঠ বৌদ্ধ জাতীয়তাবাদী ও সংখ্যালঘু মুসলমানদের মাঝে সব সময় সংঘর্ষ চলতে থাকে, বিশেষ করে পশ্চিমাংশে। হানাহানির এই ঘটনা ক্রমশ বাড়তে থাকার ঘটনায় হাজার হাজার মুসলমান এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নাগরিকদের বাস্তুচ্যুত করেছে। এদিকে স্যোশাল মিডিয়ায় গালাগালি, ঘৃণা এবং জাতি বিদ্বেষের আগুনে ঘি ঢালছে, সংখ্যালঘিষ্ঠরা যার শিকারে পরিণত হচ্ছে।

মায়ানমারের সুশীল সমাজ শান্তি, ন্যায় বিচার এবং সহনশীলতা স্থাপনে বেশ কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এমনকি নেট নাগরিকেরা গালাগালির বিরুদ্ধে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। সমাজে মানবাধিকারের ধারণাকে মূলে হিসেবে গুরুত্ব প্রদান করার জন্য অ্যানিমেশনের ব্যবহার একটা কার্যকরী পদ্ধতি হয়ে উঠতে পারে।

ইকুয়ালিটি মায়ানমারের এই সকল ভিডিও প্রাসঙ্গিক বিষয়ের প্রতিফলন ঘটায় যা সহজে দর্শকের বুঝতে পারে। যেমন, ভিন্নতা নিয়ে তৈরি করা এই ভিডিও আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে অনলাইনে ভুল তথ্যের ভূমিকার বিষয়টি, যা সমাজের মাঝে ঘৃণা ছড়াতে থাকে:

এই ভিডিও ভলান্টিয়ার গ্রুপ, যা বিভিন্ন ধর্মের সমন্বয়ে গড়ে উঠেছে তারা দেশটির বন্যায় আক্রান্তদের ত্রাণ ও সাহায্য করার জন্য একত্রিত হয়েছে। এটি খুব সহজ ও জোরালো ভাবে মনে করিয়ে দেওয়া যে ভিন্ন ভিন্ন ধর্মীয় বিশ্বাসের মানুষেরা সুন্দরভাবে একসাথে বাস ও কাজ করতে পারে:

এই ভিডিও ব্যাখ্যা করছে কী ভাবে বৈষম্য তরুণদের মুক্ত চিন্তা ও সৃষ্টিশীলতাকে বাধাগ্রস্থ করতে পারে:

এবং সবশেষে, এই ভিডিওটি বর্ণনা করছে শিশু অভিবাসীদের কথা, যারা তাদের বাসগৃহ থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। শরণার্থীদের দুর্দশা ও অভিবাসী শিশুদের মানব পাচারকারীদের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য রাষ্ট্রের হস্তক্ষেপের উপলব্ধির বিষয়টি এই ভিডিও উল্লেখ করছে:

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .