ক্ষতিকর নয় এমন কোন বার্ষিক উৎসবের আয়োজন, নাকি হীন পশ্চিমা কৌশল?
যেহেতু হ্যালোউইনকে নিয়ে দেশটিতে বিতর্ক রয়েছে, আর তাই ৩১ অক্টোবরের দিনটি যত ঘনিয়ে আসতে থাকে ততই এই অচেনা ছুটির দিনটাকে ঘিরে প্রাক্তন সোভিয়েত ইউনিয়নের এই অঞ্চলে প্রতি বছর নাগরিকদের কাছে উপরের এই প্রশ্নটি রাখা হয়।
এই অঞ্চলে তাজিকস্তানের সরকার সম্ভবত সবচেয়ে বেশি হ্যালোউইন উৎসবকে ঘৃণা করে (এই তালিকায় পুলিশী রাষ্ট্র তুর্কমেনিস্তান এবং উজবেকিস্তানকে যোগ করার দরকার নেই), এখানে ২০১৩ ও ২০১৪ সালে এই উৎসব উদযাপন করার জন্য তাজিক তরুণদের আটক করা হয় এবং পুলিশ অফিসাররা তাদের কড়া ভাবে বকে দেয়।
আর এ বছর কিরগিজস্তানে, যেখানে তুলনামূলক নাগরিক স্বাধীনতা রাষ্ট্রীয় স্তরে ঐতিহ্যবাহী মূল্যবোধের সাথে সংঘর্ষের মাধ্যমে অর্জিত হচ্ছে, সেখানে স্থানীয় এক জনপ্রিয় তারকা আসসোল মোলদোকমাতোভা সকল হ্যালোসের রাতের প্রকাশ্য সমালোচনায় যোগ দিয়েছে:
Я – против праздника Хэллоуин и запрещаю моим детям, родным и близким праздновать гвалт «восставших из ада». Дети, столь часто вовлеченные в эту вакханалию, нередко испытывают буйство эмоций, подавленность, одиночество, озлобленность и склонность к суициду
আমি হ্যালোউইন-এর বিরুদ্ধে। আর আমার সন্তান, পরিবারে সদস্য ও বন্ধুদের এই নরক গুলজার করা হল্লা উদযাপন করতে নিষেধ করছি। শিশুরা প্রায়শই এই সকল বেলাল্লাপনা যোগ দেয় যা পরে এক দাঙ্গায় পরিণত হয়, যার শেষে পরিণতি হতাশা, নিঃসঙ্গতা, ক্ষোভ ও আত্মহত্যা।
ভুতড়ে স্পুটনিক-এর দর্শন ছাড়া তাহলে এটা আদৌ হ্যালোউইন হবে না। স্পুটনিক হচ্ছে রাস্ট্র নিয়ন্ত্রিত একটি সংবাদপত্র, আজারবাইজান থেকে প্রকাশিত যার সংস্করণটি (আজারবাইজানীদের পক্ষে) এই প্রশ্নটি করেছে, কে সারা বিশ্বে এই বিশ্বাসঘাতকের (হ্যালোউইন উদযাপন)? জন্ম দিয়েছে
উত্তরঃ অবশ্যই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
এদিকে ভদ্রমহিলার যথেষ্ট সমর্থক রয়েহে, তারপরেও কিরগিজস্তানের মোলদকমাতোভা স্বদেশে হ্যালোউইন সাথে আত্মহত্যা সংক্রান্ত কোন সুস্পষ্ট প্রমাণ হাজির করতে পারেনি। আর এই দুটি ভিন্ন অবস্থান নিয়ে দ্রুত ফেসবুকে তীব্র এক বিতর্ক শুরু হয়।
আইনজীবী কেজি নামক এক ব্যবহারকারী ক্ষোভের সাথে ধারণা প্রদান করেছন যে “আসসোলকে নিষিদ্ধ” করাটা হবে “ভাল এক পরামর্শ”। এদিকে অন্য আরেক ব্যবহারকারী মোলদোকামতোভা প্রসঙ্গে (নীচে যার ছবি দেওয়া হয়েছে) নির্দয় ভাবে উল্লেখ করেছে, সে বাস্তব জীবনে এক মুখোশ পড়ে আছে।
বর্তমানে, অন্তত কিরগিজস্তানে, হ্যালোউইন নিয়ে বিতর্ক তরুণদের মাঝে এই উৎসবকে আরো জনপ্রিয় করে তুলেছে, যেমনটা তরুণদের দ্বারা পরিচালিত সংবাদ পত্রিকা ক্লপ.কেজির এই ভিডিও সংবাদ সে সাক্ষ্যই প্রদান করছে: