- Global Voices বাংলা ভার্সন - https://bn.globalvoices.org -

একটি মজার মীম ঘানার শিশুদের জন্য অর্থ সংগ্রহের প্রচারণায় সাহায্য করছে

বিষয়বস্তু: সাব সাহারান আফ্রিকা, ঘানা, ছবি তোলা, ডিজিটাল অ্যাক্টিভিজম, নাগরিক মাধ্যম, শিক্ষা, শিল্প ও সংস্কৃতি
ঘানার ইন্টারনেট আলোচনার বিষয়বস্তু জ্যাক আমু। ছবিটি তুলেছেন কার্লোস কর্টেজ এবং ইন্সটাগ্রামে প্রকাশ করেছেন সলোমন আফুদা।

ঘানার ইন্টারনেট আলোচনার বিষয়বস্তু জ্যাক আমু। ছবিটি তুলেছেন কার্লোস কর্টেজ এবং ইন্সটাগ্রামে প্রকাশ করেছেন সলোমন আফুদা।

এটি প্রথম শুরু হয়েছে একটি ছবির মাধ্যমে। ছবিতে, ঘানার আসিমপানায়ে গ্রামের জ্যাক আমু নামে একজন শিশু তার শ্রেণীকক্ষে অত্যন্ত মনোযোগের সাথে সৃজনশীল শিক্ষা ও শিল্প ক্লাসে একটি ছবি আঁকছেন। ক্লাসটি নিচ্ছিলেন সলোমন আদুফা নামে ঘানার একজন শিক্ষক যিনি যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করছেন। ছবিটি ২০১৫ সালের আগেস্টে তার বন্ধু কার্লোস কোর্টেজ [1] কর্তৃক ধারণ করা, যিনি আদুফার ঘানার জীবন সম্পর্কিত তথ্যচিত্র নিয়ে কাজ করছেন। আদুফা এবছর জানুয়ারিতে তার ইন্সটাগ্রাম একাউন্টে ছবিটি প্রকাশ [2] করেছিলেন।

পরবর্তিতে ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে স্ন্যাপশটটি ইন্টারনেটের জগৎ-এ আলোচনার সূত্রপাত ঘটিয়েছিল। মনে করা হয় এটি ঘটেছিল যখন দক্ষিণ আফ্রিকার একজন ইন্টারনেট ব্যবহারকারী [3] এই ছবির সংস্করণে একটি মজার মীম তৈরি করেছিল যার মধ্যে রয়েছে, এটা [4]এটা [5]

যখন তারা তোমাকে তোমার পূর্ববর্তী কাজের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে লিখতে বলে এবং তুমি ফেইসবুক পেইজ ও হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে তোমার অভিজ্ঞতা বর্ণনা শুরু কর [5]

“যখন তারা তোমাকে তোমার পূর্ববর্তী কাজের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে লিখতে বলে এবং তুমি ফেইসবুক পেইজ ও হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে তোমার অভিজ্ঞতা বর্ণনা শুরু কর”। স্ক্রিনশটটি “নো চিল ইন এমজান্সি” ফেইসবুক গ্রুপ থেকে নেওয়া।

সলোমন আদুফা এই সর্বজনবিদিত ছবিটি বর্তমানে অর্থসংগ্রহের [6] কাজে ব্যবহার করছেন যেটা থেকে প্রাপ্ত অর্থ শিশুটি ও ঘানার তারমত অন্য শিশুদের সাহায্য করতে ব্যবহৃত হবে। দান আহবানের ১২তম দিন শেষে ৫০০ দাতার কাছ থেকে আদুফা মোট $১২,০০০ ডলার তুলতে সক্ষম হয়েছেন।

আদুফা তার ক্যাম্পেইনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেন:

খবরটি শোনার পর, আয়ুবা ফোওক নামক ইনোভেশন ভিলেজ [7] লেখক উল্লেখ করেন [8], কিভাবে মেমের জনপ্রিয়তা ও অর্থসংগ্রহের প্রচারণায় আফ্রিকার একটি প্রবাদ “একটি শিশুকে শিক্ষিত করার জন্য একটি সম্প্রদায়ই যথেষ্ঠ” বেশ প্রভাব ফেলেছিল। ফোওকা লিখেছেন [8]:

এরকম অনেক গল্প শোনা যায় যে অর্থসংগ্রহ কিভাবে একজনের সমস্যা দূর করেছিল। কিন্তু এটি অত্যন্ত উত্তেজনাপূর্ণ ও আনন্দদায়ক যখন একটি নেতিবাচক মীমের মাধ্যমে ভালো কিছু হয়। উপরন্তু, এটা আরও ভাল হত মীমের দ্বারা যদি সামাজিক সমস্যা মিটিয়ে ফেলা যেত।

এটা তখন ঘটে যখন কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় সরকার তাদের দায়িত্ব ভুলে যায়। আফ্রিকা জুড়েই অনেক শিশু শিক্ষা থেকে বঞ্চিত ও যারা শিক্ষা গ্রহণ করছে তারাও জীর্ণ অবস্থার মধ্যে রয়েছে।
[…]

এটা মনে করার কোন কারণ নেই যে, আফ্রিকা ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জ্যাকের মীম ব্যবহার বন্ধ হবে। তবে, এটা নিশ্চিত যে, কুফুরিদোয়ার আসিমপানায়ে গ্রামের জ্যাক ও তার বন্ধুরা আরও ভালো পরিবেশে ও অত্যাধুনিক উপকরণের মাধ্যমে শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পাবে! দায়িত্বশীল, ও গোমড়া মুখের জ্যাক, সলোমন আফুদা ও কার্লোস কোর্টেজকে ধন্যবাদ।

জ্যাকের সম্পর্কে টুইট করতে গিয়ে ওলুথো থাথি এর প্রভাব সম্পর্কে বলেছেন:

জ্যাক আমু একজন কিংবদন্তী, আফ্রিকার মীম ও সামাজিক যোগাযোগ প্রজন্মের আইকন;