নীচের এই প্রবন্ধটি অংশীদার মূলক পোস্টের এক সংস্করণ যা প্রথম চাইখানা.অর্গে প্রকাশিত হয়েছে।
তিরজনিসি (একই সাথে যাকে ত্রিদজিনিসি নামে ডাকা হয়) প্রাক্তন সোভিয়েট ইউনিয়নের রাষ্ট্র জর্জিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া দক্ষিণ ওসেটিয়াকে আলাদা করা এক সীমান্তবর্তী গ্রাম।
এই ঘটনার পর যখন তারা আবার গ্রামে ফিরে আসে, তখন স্থানীয় এক বাসিন্দা মারিয়াম বুচুখুরি আবিস্কার করেন এই গ্রামীন সম্প্রদায়ের ঘিরে ধরছে এমন সব সামাজিক এবং অর্থনৈতিক সমস্যা যে সবের খুব অল্পই সমাধান রয়েছে, আর আশেপাশের প্রতিবেশীরাও একই বাস্তবতায় বাস করেছে।
তিনি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন যে সমমনাদের নিয়ে সমবেত হবেন এবং স্থানীয় নাগরিক, বিশেষ করে যে সমস্ত নারী এই সাংঘর্ষিক পরিস্থিতিতে এলোমোলো অবস্থায় পতিত নারীরা যে সমস্ত চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে তার এক সমাধান খোজা। প্রথমে তারা একে অন্যের বাড়িতে আলোচনা করত, পরবর্তীতে তারা একটা সংগঠন স্থাপন করে ও একটি অফিস ভাড়া নেয়।
সিদা কারটিল কমিউনিটি ফান্ড ফর পিস এন্ড ডেভলপমেন্ট–এর অফিস ত্রিদজিনিসির এবং দিতসির রাস্তার মাঝখানে অবস্থিত, আরেকটি শহর যার চারপাশে সীমান্তবর্তী অঞ্চল, যা মস্কোর কাছ থেকে জর্জিয়ার স্বাধীনতা লাভের কিছুদিনের মধ্যে এক সংঘর্ষপূর্ণ এলাকায় পরিণত হয়। মারিয়াম এবং সংগঠনের অন্যান্য মেয়েরা এখানে প্রতিদিন এসে মিলিত হয়।
প্রথমে স্থানীয়রা এই অফিসকে বলত “অবিবাহিতা নারীদের অফিস”, কারণ কমিউনিটি ফান্ড-এ কর্মরত নারীদের বেশীর ভাগ হচ্ছে অবিবাহিতা, আর অনেক গ্রামবাসী বিশ্বাস করে যে মেয়েদের বিয়ে হয় না, তারা আসলে কাজের না।
এখন উক্ত অফিসের নিজস্ব প্রকল্পের মাধ্যমে এবং নারীদের জটিলতা বিষয়ে স্থানীয় সরকারের সাথে কাজের ক্ষেত্রে মারিয়াম ও তার অফিস উক্ত সম্প্রদায়কে যে সাহায্য করে, গ্রামবাসীরা এখন তার স্বীকৃতি প্রদানে অনেক বেশী ইচ্ছুক।
নীচে, ইংরেজি এবং রুশ ভাষার সাবটাইটেল সহ কাহিনী তুলে ধরা হয়েছে :