
শ্রীলঙ্কান এয়ারলাইন্সের এক বিমান এয়ারবাস “এ ৩৩০-২৪৩, ৪আর-এএলজি লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরের রানওয়ে স্পর্শ করেছে, ছবি ফ্লিকারের মাইকেল গারনেট-এর। সিসি বাই-এনসি ২.০।
এই পোস্টটি প্রথম গ্রাউন্ডভিউজের প্রকাশিত হয়, যা শ্রীলঙ্কার এক পুরস্কার বিজয়ী নাগরিক সাংবাদিকতা বিষয়ক ওয়েবসাইট। লেখা বিনিময় চুক্তি অনুসারে নীচে এই প্রবন্ধের এক সম্পাদিত সংস্করণ প্রকাশ করা হল।
সম্প্রতি শ্রীলঙ্কা ঘোষণা করেছে যে দেশটি, বিমান ভাড়া দেওয়া সংস্থা এয়ারকেপ হোল্ডিংসকে ১৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (২৫ বিলিয়ন সমমানের লঙ্কান রূপি) পরিশোধ করবে। মূলত এ-৩৫০ নামক চারটি এয়ারক্রাফট বা বিমান ক্রয় চুক্তি বাতিল করার ক্ষতিপূরণ হিসেবে দেশটিকে এই অর্থ পরিশোধ করতে হচ্ছে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজাপাকসের সরকার ২০১৩ সালে এই বিমান ক্রয় চুক্তি করেছিল।
কর্মকর্তারা বলছেন মিহিন লঙ্কা নামক দেশটির সরকারি বিমান সংস্থার পুনর্বিন্যাস পরিকল্পনা অংশ হিসেবে এই চুক্তি বাতিল করা হয়েছে। একই সাথে শ্রীলঙ্কা দেশটির সরকারি বিমান সংস্থার বাজেট কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
বছরের পর বছর ধরে শ্রীলঙ্কার বিমান সংস্থা দেনার দায়ে ডুবে আছে। কোম্পানি সর্বশেষ যে বার লাভ করেছিল বলে সংবাদ পাওয়া গেছে সেটা হচ্ছে ২০০৯ সাল, যে বছর এমিরেট জাতীয় সংস্থার কাছে তার একটা অংশ বিক্রি করেছিল। সম্প্রতি শ্রীলঙ্কার সরকার ঘোষনা করে যে এই বছর সংস্থাটি মোট ১৬.৩৩ বিলিয়ন শ্রীলঙ্কান রূপি (১১২ মিলিয়ন ডলার) লোকসান প্রদান করেছে।
চারটি বিমান কেনা চুক্তি বাতিল করার জন্য সরকার যে অর্থ ব্যয় করল তা দিয়ে সরকার কি কি করতে পারত সেটি প্রদর্শনে গ্রাউন্ডভিউজ একটি ইনফোগ্রাফিক তৈরি করেছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের ২০১৫ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন থেকে নেওয়া পরিসংখ্যা দিয়ে এই চিত্রগুলো আঁকা হয়েছে।
২৫ বিলিয়ন রূপি বেশ উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ঘোষনা সম পরিমাণ ক্ষেভের সঞ্চার করে:
#lka #FlyingFolly @flysrilankan cancels four A350 aircraft, incurs USD98m (LKR 14b) penalty. We pay 4 MR profligacy!https://t.co/BMK6Nolsqg
— Nalaka Gunawardene (@NalakaG) October 4, 2016
এ ৩৫০ বিমান ক্রয় চুক্তি বাতিল, ৯৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের দায়বদ্ধতার শাস্তি। অপব্যয়ের জন্য এখন আমাদের প্রদান করতে হবে ৪ মিলিয়ন রূপি।
যেমনটা এই ইনফোগ্রাফিক প্রদর্শন করছে, এয়ারবাস কেনার চুক্তি বাতিলের জন্য ক্ষতিপূরণ বাবদ যে অর্থ প্রদান করতে হবে সেটা হয়ত দিতে হবে অবসরপ্রাপ্ত নাগরিকদের প্রদান করা পেনশন, সামাজিক কল্যাণ, চিকিৎসা, ওষুধ অথবা বিদ্যালয়ের জন্য সরবরাহ করা সামগ্রীর জন্য বরাদ্দ অর্থ থেকে। শ্রীলঙ্কান এয়ারলাইন বছরের পর বছর জুড়ে দেনার দায়ে ডুবে আছে ( হিসাব নিরীক্ষকেরা এর লাভ দেখেছিলেন সেই ২০০৯ সালে) আর এখনো সরকার এর জন্য বিমান কিনেই যাচ্ছে, লোকসানের পরিমাণ আরো বাড়িয়ে যাচ্ছে।
এখন, শ্রীলঙ্কাকে এর মূল্য চুকাতে হবে-মিলিয়ন ডলার সমপরিমাণ অর্থে।