তিউনিশিয়ার উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এক ছাত্র হয়ত বিজেরতে অবস্থিত তার স্কুলের নোংরা নিয়ে ফেসবুকে নিন্দা জানানোর কারণে তিনদিনের বহিষ্কারের মুখোমুখি হওয়ার মত শাস্তি পেতে যাচ্ছে। ৩০ সেপ্টেম্বর তারিখে হামজা বাত্তি চারটি ছবি প্রকাশ করেছে যেখানে দেখানে হয় বিদ্যালয়ের বাস্কেটবল খেলার মাঠে অসমাপ্ত নির্মাণ কাজ এবং প্রবেশ দ্বারের সামনে জমে থাকা আবর্জনার স্তূপ।
ছবির সাথে সে নীচের এই মন্তব্যটি পোস্ট করেছে :
এটাকে বিজেরতে–এর এক উন্নত “বিদ্যালয়” বলা যায়, যা এমন এক প্রতিষ্ঠান হওয়ার কথা যেখানে পড়ালেখার পরিবেশ হবে মানসম্মত এবং অসাধারণ সাফল্যের সবচেয়ে মৌলিক উপাদান সমূহ যেখানে হবে সহজলভ্য।
[…]
…দ্বিতীয় প্রবেশদ্বারের পাশে সবজায়গায় আবর্জনা ছড়িয়ে আছে যা আমাদের এই উন্নত স্কুলের এক অসাধারণ ছবি তুলে ধরছে…আরেক রূপে বিদ্যালয়ের ভেতরেও আবর্জনা দৃশ্যমান, যেমন ভেতরে সব জায়গা, বিশ্রাম কক্ষ (এমনকি আমি সেগুলোর বর্ণনাও দিতে চাই না), ভাঙ্গা জানালা এবং দরজা সবখানে ধুলার স্তর, আর দেওয়ালগুলো প্রতি চার বছরে একবার রং করা হয়।
[…]
যাইহোক, আপনি প্রতিদিন উন্নত এই বিদ্যালয়ে এই সকল এবং আরো অনেক কিছু আবিস্কার করবেন, যা উত্তর আফ্রিকার তিউনিশিয়ার বিজেরতের এক সাধারণ চিত্র।
এক বেসরকারি মালিকানাধীন রেডিও স্টেশনকে বাত্তি জানায় যে ৫ অক্টোবর তারিখে স্কুল কর্তৃপক্ষ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে, যারা অভিযোগ আনে হামজা স্কুলের বিরুদ্ধে নোংরা এবং বিকৃত প্রচারণা চালাচ্ছে”। রেডিও স্টেশনকে প্রদান করা এক সাক্ষাৎকারে হামজা তার উদ্দেশ্য পরিষ্কার করে:
আমি কেবল স্বাধীন ভাবে আমার মনোভাব প্রকাশ করেছি,আর বিদ্যালয়ের পরিস্থিতির উন্নতির জন্য এ সব ছবি পোস্ট করার অধিকার আমার রয়েছে। আর এটা ছিল আমার লক্ষ্য।