গত রোববার, ২ অক্টোবর তারিখে চারটি গৌরবজ্জ্বল ঘন্টা ছিল ব্রুনেই-এর রাজধানীর এ বছরের প্রথম গাড়ি মুক্ত [2] দিবস পালন করার সময়। এই নিরীক্ষাধর্মী উদ্যোগ ছিল সরকারের “বান্দারকু সেরিয়া [3]” (“আমার সুখী শহর”) নামক কর্মসূচির অংশ, যার উদ্দেশ্যে হচ্ছে রাজধানী বন্দর সেরি বেগাওয়ানকে কিছু সময়ের জন্য এক শহুরে পার্কে পরিণত করা [4]।
কর্মকর্তারা এই সময়টিতে শহরের কেন্দ্রস্থলকে এক বিশাল পার্কে পরিণত করেন যেখানে গাড়ির পরিবর্তে নাগরিকেরা সাইকেল ব্যবহার করেছে অথবা দৌড়িয়েছে। সরকার, শহরে বাস করা পরিবার সমূহকে উৎসাহিত করেছে যেন তারা ঘরের বাইরের যে সকল কর্মকাণ্ড, তাতে অংশ নেয়, এবং তারা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের আহ্বান জানিয়েছে, যেন তারা রাস্তায় জিনিষপত্র বিক্রি করে। এমনকি ২০১৬ সালের প্রথম গাড়ি মুক্ত দিবসে শিল্পীদের নিজেদের কাজ প্রদর্শন করতে দেখা যায়।
পর্যটন কর্মকর্তারা একই সাথে শহরের ঐতিহাসিক স্থাপনা সম্বন্ধে সচেতনতা তৈরির উদ্দেশ্য “হেরিটেজ সেলফি” বা ঐতিহ্যবাহী স্থানের সামনে দাঁড়িয়ে সেলফি তোলার জন্য হেটে পর্যটন করার সুযোগ প্রদান করেন।
বন্দর সেরি বাগাওয়ান পৌর কর্তৃপক্ষ ব্যাখ্যা করেছে [5] যে গাড়ি বিহীন দিবসের উদ্দেশ্য হচ্ছে “এক স্বাস্থ্য সম্মত জীবন যাপন এবং শহরের কার্বন ফুটপ্রিন্টের পরিমাণ কমিয়ে আনা”।
এই উদ্যোগের সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়ে কর্মকর্তারা বলছেন, এই শহরের আরো বাসিন্দা যাতে আরো এক স্বাস্থ্যকর এবং আরো পরিষ্কার জীবন যাপন বেছে নেয় তার জন্য তারা প্রতি সপ্তাহে এই কর্মসূচির পুনরাবৃত্তি ঘটাবেন।
সাপ্তাহিক এই কর্মসূচিকে পর্যবেক্ষণ করা যাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় #কারফ্রিসানডেবিএন এবং #বান্দারকুসেরিয়া নামক এই দুটি হ্যাশট্যাগ দিয়ে।
#carfree [6] #BandarkuCeria [7] pic.twitter.com/CC2pDaINAp [8]
— asp (@aiddisyafi) October 2, 2016 [9]
#কেয়ারফ্রি, #বান্দারকুসেরিয়া
Sunday Morning activity ! 💃🏻 #DiscoverBrunei [10] 🇧🇳 pic.twitter.com/8Z6WvoNdHR [11]
— ziäh (@haziahsn) October 2, 2016 [12]
রবিবার সকালের কর্মকাণ্ড
রোববারে গাড়ি বিহীন দিবসের রাজধানীর কয়েকটি দৃশ্য তুলে ধরা হয়েছে :