ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিমাঞ্চলে পাম তেলের গাছ পোড়ানো এবং জমি পরিষ্কারের ব্যাপ্তি একটি ড্রোন (ছোটো উড়ন্ত জান যাতে ক্যামেরা থাকে) ভিডিওতে ধারন করা হয়েছে। জমি পোড়ানোর এই ধোঁয়া প্রতি বছর সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া এবং ইন্দোনেশিয়াকে ধোঁয়াশায় আচ্ছন্ন করার কারণ হিসেবে বিশ্বাস করা হয়।
আইস অন দ্যা ফরেস্ট ইন্দোনেশিয়া (ইওএফ) এর একটি অনুসন্ধান মূলক কাজের অংশ হিসেবে ড্রোনটি চালু করা হয়। একই স্থানে বার বার দাবানল হওয়া নিয়ে গবেষণা করতে তিনটি পরিবেশবাদী দলের এই জোটটি ২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।
ইওএফ এর মতে, তিন হাজার হেক্টর জমির মালিক বৃক্ষরোপণ কোম্পানি আন্দিকা পারমাতা সায়িত লেসতারি (এপিএসএল) পাম তেলের ক্ষেত পুড়ে যাওয়ার যে অভিযোগ তুলেছে তা “ইচ্ছাকৃতভাবে পোড়ান” ছিল বলে ভিডিওতে প্রমাণ মিলেছে।
কোম্পানীটি জমি দখল এবং সঠিক লাইসেন্স ছাড়া কার্যক্রম পরিচালনার অভিযোগের সম্মুখীন হয়েছে। এক্ষেত্রে ভিডিওটি কোম্পানির বিরুদ্ধে একটি অতিরিক্ত প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।
সাম্প্রতিক কয়েক মাসে ইন্দোনেশিয়ার সরকার রিয়াউতে দাবানল থামাতে তাঁর প্রচেষ্টা জোরদার করেছে। কেননা এই স্থানটি কুয়াশা দূর্যোগের “উৎপত্তিস্থল”। এটি দাবানলের জন্য দায়ী কোম্পানিগুলোকে বিচারের মুখোমুখি করার অঙ্গীকার করেছে। ইন্দোনেশিয়াতে পাম তেলের গাছ চাষ সম্প্রসারণে অর্থায়ন করছে যেসব কোম্পানি, সেসব কোম্পানির বিরুদ্ধে তদন্তের জন্য দেশটির সরকার মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
সরকারের পরিবেশ মন্ত্রনালয়ের সাতজন কর্মকর্তা এই মাসের শুরুতে একটি অগ্নিকান্ডের ঘটনা সম্পর্কে অনুসন্ধান চালিয়েছেন। ঘটনাটি কয়েকজন ব্যক্তি জিম্মি করে ঘটিয়েছে, যারা একটি চাষাবাদ কোম্পানির কর্মচারী বলে ধারনা করা হয়। ঘটনাস্থলে তাঁরা যেসব তথ্য প্রমাণ পেয়েছেন সেসব ছবি এবং ভিডিও কেবলমাত্র মুছে ফেলার পর পুলিশের হস্তক্ষেপে তাঁদের ছাড়িয়ে নেওয়া হয়।
ইওএফ বলেছে, কর্মকর্তাদের তদন্তে যা বেড়িয়ে এসেছে তা ড্রোন ভিডিওটি নিশ্চিত করেছে।
একদিকে ইন্দোনেশিয়া এই বিষয়ে তদন্ত করছে, অন্যদিকে আবছায়া দেশটিকে এবং তাঁর প্রতিবেশীদের আচ্ছন্ন করে ফেলছে।
ইন্দোনেশিয়াতে জমি পোড়ানোর বিষয়ে প্রকাশ করে দেয়া এই ড্রোন ভিডিওটি দেখুনঃ