
এই সকল স্টিকার বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করছে অর্থের বিনিময়ে ওয়াইফাই ইন্টারনেট ব্যাবহার-এর সহজলভ্যতা, যা কোন একজন ব্যবহারকারীকে বেশ আশাবাদী করে তুলবে, কিন্তু এরপরে সে নিদারুন হতাশ হয়ে পড়বে। ফ্লিকার ব্যবহারকারী নিকোলাসনোভার মূল ছবি থেকে এই ছবিটি গ্রহণ করা হয়েছে (সিসি-বাই-এনসি ২.০)
জাপান সরকার সম্প্রতি দেশটির আধুনিক জীবনের অন্যতম এক জটিল সমস্যার বিষয়ে সমাধানের প্রতিশ্রুতি প্রদান করেছে, আর তা হচ্ছে পরিপূর্ণ উন্মুক্ত ওয়াইফাই (পাবলিক ওয়াইফাই জোন) বা বিনামূল্যে ইন্টারনেট (তারহীন) পাওয়া যায় এমন এলাকার অভাব। তবে দূর্ভাগ্যজনক ভাবে এটা জাপানের বাসিন্দাদের জন্য নয়, এটা কেবল পর্যটকদের জন্য। যদি আপনি জাপানে বাস করেন, তাহলে এখনো আপনি ভাগ্যবিড়ম্বিত, আর তার কারণ হচ্ছে এই যে যখন উন্মুক্ত ওয়াইফাই এলাকা কানাডা এবং যুক্তরাষ্ট্রের মত অনেক পশ্চিমা দেশে একেবারে সাধারণ বিষয়, সেখানে জাপান সম্প্রতি এটি চালু করেছে। জাপানে কফিশপ, মল এবং অন্যান্য উন্মুক্ত স্থানে ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক আগে থেকে বিদ্যমান, তবে তা মোবাইল ফোন কোম্পানির সাথে করা আগের কোন ইন্টারনেট প্রাপ্তির চুক্তির মাধ্যমে কেবল পাওয়া সম্ভব।
বিদেশী নাগরিক, যারা জাপানে আসে তারা প্রায় খুব কম সময়ে স্মার্ট ফোন সংক্রান্ত কোন পরিকল্পনা নিয়ে আসে, কাজে ওয়াইফাই এলাকা পাওয়া জাপানে একটা বড় চ্যালেঞ্জ। জাপান ভ্রমণের পরিকল্পনার সময়, কোথায় ওয়াই ফাই এলাকা পাওয়া যাবে সেটাই পর্যটকদের এক সাধারণ প্রশ্ন।
২০২০ সালে জাপানের টোকিওতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া অলিম্পিকের প্রস্তুতি হিসেবে জাপান সরকার সারা দেশে বিনামূল্যে ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক স্থাপনের কাজ শুরু করেছে। বর্তমানে বিনামূল্যে ওয়াইফাই এলাকা কেবল কয়েকটি স্থানের মধ্যে সীমাবদ্ধ, যেমন গুরুত্বপূর্ণ সব বিমানবন্দর এবং বিশাল নগর যেমন টোকিও ও ওসাকা, অথবা গুরুত্বপূর্ণ প্রধান সব পর্যটন কেন্দ্র, যেমন টোকিওর উপকেন্দ্র। তবে যদি আপনি জাপানের কোন অচেনা বা অজানা জায়গায় যেতে চান, সেখানে ওয়াইফাই জোন খুঁজে পাওয়া খুবই দুঃসাধ্য।
১৬ সেপ্টেম্বরে, জাপান সরকার ঘোষণা দেয় যে তারা সারা জাপান জুড়ে ওয়াইফাই এলাকা নির্মাণে জাপানে টেলিসেবা প্রদান কারি প্রতিষ্ঠান কেডিডির সাথে কাজ করবে।
無料Wi-Fiが全国で登録が簡単に使えるようになったら便利ですね。
海外遠征に行く国で日本程、Wi-Fiが不便な国に行った記憶がないです。
飲食店もWi-Fi完備は早急に!ウェブがあれば雑誌置かな…https://t.co/NBgEXsOZo5 #NewsPicks— shinya aoki 9月8日新刊発売 (@a_ok_i) September 15, 2016
এই বিষয়টি বেশ দারুণ হবে যে জাপানের পর্যটকেরা এখন ওয়াইফাই পাওয়ার জন্য সহজে সাইন আপ করতে এবং সেটা পেতে পারবে। এখন থেকে বিদেশী কেউ আর ইন্টারনেট সংযোগ পাওয়ার চেষ্টার ক্ষেত্রে বাজে কোন স্মৃতি নিয়ে ফিরে যাবে না। আরো অনেক রেস্তোরা এবং কফির দোকানে ওয়াইফাই জোন হবে, এই বিষয়টিতে আর তর সইছে না। এখন যদি আমি ওয়েবে প্রবেশ করতে পারি, তাহলে আগামীতে আর আমাকে পত্রিকা কিনতে হবে না।
তবে জাপানের টুইটার ব্যবহারকারীরা নিজেদের বঞ্চিত ভাবছে :
これはよいサービス。我々も使えるようにして欲しい!> 無料Wi-Fi 一度登録すれば全国的に利用可能へ | NHKニュース – https://t.co/Ty8rp960YQ
— KatsumasaShirai (@KatsumasaShirai) September 17, 2016
এটা একটা ভাল চিন্তা। তবে আমি চাই তারা যেন (জাপানের নাগরিকদের জন্য) এই সেবা সহজলভ্য করে! প্রবন্ধঃ নিবন্ধনের মাধ্যমে জাপানে মিলবে বিনামূল্যে ওয়াইফাই সেবা।
日本人も使えるようにしてください。テザリング使えるようになってからはかならましやけど、困ることある / 無料Wi-Fi 一度登録すれば全国的に利用可能へ (NHKニュース)https://t.co/3U3HWqkXJP #NewsPicks
— 先輩薬剤師 浦田優 (@usenpai1) September 15, 2016
জাপানের নাগরিকদের জন্যও তা সহজলভ্য করুন, আমি ধারণা করি আমার ফোন থেকে এই সেবা পেতে পারি কিন্ত কখনো কখনো তা যথেষ্ট নয়!
জাপান জুড়ে ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক বাড়ানোর এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হতে অনেক দীর্ঘ সময় লাগল। নিউজ পিকস-এর এক আলোচনা সভায় সবচেয়ে সেরা মন্তব্যকারী বলেন:
[…] 日本はかなり後進国という印象を受けます。広がるといいですね。
「オリンピック」というお題目が付いた途端、あらゆることが進む状況ってなかなか凄いなと、改めて思う次第。なんなら、毎年なんらかデカいイベントやればいいと感じてしまいます。
এখন পর্যন্ত ( বিনামূল্যের ওয়াইফাই জোন করার পূর্ব পর্যন্ত) জাপান এমন একটি রাষ্ট্র, মনে হচ্ছে যেন সে অতীতে বাস করছে। (সারা দেশ জুড়ে) বিনামূল্যের ওয়াইফাই এলাকা বাড়ানোর বিষয়টি দারুন। এর একমাত্র কারণ (ওয়াইফাই-এর মত বেশ কিছু বিষয়) নিয়ে কাজ করা হচ্ছে কেবল অলিম্পিকের জন্য। আমাদের প্রতিবছর অলিম্পিকের মত বিশাল মহাযজ্ঞে আয়োজন করা উচিত যাতে জাপানে যে কোন কিছুর উন্নতি ঘটে।
এখনো জাপানের অনেক পর্যটকদের জন্য, বিমানবন্দরে প্রাথমিক ভাবে দ্রুত গতির ওয়াই ফাই-এর জন্য চাহিদার জন্য প্রয়োজ্য:
Okay, I knew Japan was the first country in the world for internet, but their airport wifi is INSANELY FAST. <3 pic.twitter.com/WdvEhm7ehg
— All-in-one Mighty (@pb_ee1) September 10, 2016
ঠিক আছে, আমি জানি জাপান ছিলে বিশ্বের অন্যতম এক প্রথম রাষ্ট্র যারা ইন্টারনেট ব্যবহার করত, কিন্তু বিমানবন্দরে ওয়াইফাই মাথা খারাপ করে দেওয়ার মত গতিশীল।