দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার প্রতীক হিসেবে পরিচিত মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডা এবং গির্জা

দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় দারুণ নান্দনিক, উত্তেজনাকর স্থান যেমন ফুকেট এবং বালি ও আধুনিক শহর যেমন সিঙ্গাপুর এবং কুয়ালালামপুরের জন্য বিখ্যাত, কিন্তু এই এলাকার প্রখ্যাত ধর্মীয় ভবনসমূহ এর সুন্দর স্থাপত্যশৈলীর জন্য সুপরিচিত এবং বিশ্ব সংস্কৃতিতে এদের অবস্থান অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

শোয়েদাগন প্যাগোডা, ইয়াঙ্গুন, মায়ানমার

Shwedagon Pagoda. Photo by Michel Meynsbrughen. Flickr. CC License

শোয়েদাগন প্যাগোডা, ছবি মিশেল মেইয়েন্সব্রুঘেন-এর। ফ্লিকার থেকে নেওয়া, সিসি লাইসেন্স-এর মাধ্যমে পাওয়া।

শোয়েদাগন প্যাগোডা হচ্ছে মায়ানমারের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের প্রার্থনার সবচেয়ে পবিত্র স্থান। ১৮ শতকে এই প্যাগোডা তার সর্বোচ্চ চূড়ায় পৌছায়। আজ এটি দেশের প্রাক্তন রাজধানী ইয়াঙ্গুনে এক জাতীয় গৌরব হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। মায়ানমারের সংখ্যাগরিষ্ঠ নাগরিক বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী।

কুথোডাও মন্দির, মান্দালয়, মায়ানমার

Kuthodaw Temple. Photo by dany13. Flickr. CC License

কুথাদাও প্যাগোডা, ছবি তুলেছে ড্যানি১৩, ফ্লিকার থেকে নেওয়া, সিসি লাইসেন্স-এর মাধ্যমে প্রাপ্ত।

১৯ শতকের এই প্যাগোডার নামের অনুবাদ করলে তার অর্থ দাঁড়ায় রাজকীয় মেধা, যে বিষয়টি উল্লেখ করে রাজা মিন্দন-এর মেধার কথা। যই রাজা ত্রিপিটিকের (গৌতম বুদ্ধের বাণী, বৌদ্ধ ধর্ম গ্রন্থ) বাণী সম্বলিত ৭২৯টি পাথর খণ্ড এই প্যাগোডাকে দান করে। বর্তমানে এটি “বিশ্বের সবচেয়ে বড় বই” হিসেবে পরিচিত। এই প্যাগোডাটি মান্দালয়ে অবস্থিত, যার রাজধানী শহরটি নির্মাণ করেছিল মায়ানমারের সর্বশেষ রাজ পরিবার।

তাআল, বাতানাগাস, ফিলিপাইনস

Taal Basilica. Photo by Storm Crypt. Flickr. CC License

তাআল ব্যাসিলিকা, ছবি স্ট্রম ক্রিপ্ট-এর। ফ্লিকার থেকে নেওয়া, সিসি লাইসেন্স-এর মাধ্যমে পাওয়া।

টুরস এর সেন্ট মার্টিন–এর মাইনর ব্যাসিলিকা অথবা অতি পরিচিত তাআল ব্যাসিলিকাকে ফিলিপাইনস এবং এশিয়ার সবচেয়ে বড় ক্যাথলিক চার্চ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এটি বাতাঙ্গায় অবস্থিত, যা দেশটির রাজধানী ম্যানিলার দক্ষিণে অবস্থিত, এটি তিমুর লেস্টের (পূর্ব তিমুর) পাশে। ফিলিপাইনস হচ্ছে এশিয়ার একমাত্র ক্যাথলিক অধ্যুষিত রাষ্ট্র।

পাওয়াই চার্চ, ইয়োকস নর্টে, ফিলিপাইনস

Paoay Church. Photo by Ilocos Norte. Flickr. CC License

পাওয়াই, চার্চ, ছবি ইয়োকোস নর্টে-এর। ফ্লিকার থেকে নেওয়া। সিসি লাইসেন্স-এর মাধ্যমে প্রাপ্ত।

পাওয়াই চার্চকে সরকার ১৯৭৩ সালে জাতীয় সংস্কৃতিক সম্পদ হিসেবে ঘোষণা প্রদান করে এবং ১৯৯৩ সালে ইউনেস্কো একে বিশ্বের ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে ঘোষণা দেয়। এই সুসজ্জিত চার্চ উত্তরের প্রদেশ ইয়াকোস নর্টেতে অবস্থিত।

জামে, হাসানিল বোল মসজিদ, ব্রনেই

Jame' Asr Hassanil Bolkiah Mosque. Photo by MyBukit. Flickr. CC License

জামে’আসর হাসানিল বোলখিয়া মসজিদ, ছবি মাইবুকিত-এর। ফ্লিকার থেকে নেওয়া । সিসি লাইসেন্স-এর মাধ্যমে প্রাপ্ত।

রাজধানী বন্দর সেরি বেগায়ান-এ অবস্থিত এই মসজিদ ব্রুনেই-এর সবচেয়ে বড় মসজিদ। এই মসজিদে ২৯টি স্বর্ণ গম্বুজ রয়েছে।

ইস্তেকলাল মসজিদ, ইন্দোনেশিয়া।

Istiqlal Mosque. Photo by HKmPUA. Flickr. CC License

ইস্তিকলাল মসজিদ। ছবি এইচকেএমপুয়া-এর। ফ্লিকার থেকে নেওয়া। সিসি লাইসেন্স-এর মাধ্যমে প্রাপ্ত।

১৯৭৮ সালে জাকার্তায় খুলে দেওয়া এই মসজিদ দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সবচেয়ে বড় মসজিদ। এখানে এক সাথে ১০০, ০০০ জন ব্যক্তি নামাজ পড়তে পারে। আরবী ভাষায় ইস্তিকলাল মানে স্বাধীনতা। ইন্দোনেশিয়া বিশ্বের সর্ববৃহৎ মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্র।

মসজিদ নেগারা, মালয়েশিয়া

মসজিদ নেগারা হচ্ছে মালয়েশিয়ার জাতীয় মসজিদ। এটা হচ্ছে একমাত্র মসজিদ যার কোন গম্বুজ নেই। মালয়েশিয়ার প্রতীক হয়ে ওঠা এই মসজিদ সম্বন্ধে আরো জানতে এই ভিডিও দেখুন।

ওয়াট আরুন, ব্যাংকক, থাইল্যান্ড

Wat Arun. Photo by Trey Ratcliff. Flickr. CC License

ওয়াট আরুন, ছবি ট্রে র‍্যাটক্লিফ-এর। ফ্লিকার থেকে নেওয়া। সিসি লাইসেন্স-এর মাধ্যমে পাওয়া।

ওয়াট আরুন অথবা টেম্পল অফ ডন হচ্ছে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের অন্যতম এক জনপ্রিয় গন্তব্য। এই বৌদ্ধ মন্দির চাও পাহরা নদীর পশ্চিম তীরে অবস্থিত। থাইল্যান্ডের সংখ্যা গরিষ্ঠ নাগরিক বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী।

আঙ্কার ওয়াট, কম্বোডিয়া।

Angkor Wat. Photo by Juan Antonio F. Segal. Flickr. CC License

আঙ্কার ওয়াট । ছবি জুয়ান অ্যান্টোনিও এফ.সেগাল-এর। ফ্লিকার থেকে নেওয়া। সিসি লাইসেন্স-এর মাধ্যমে প্রাপ্ত।

আংকার ওয়াট হচ্ছে আঙ্কার নামক এক ধর্মীয় স্থানের সবচেয়ে জনপ্রিয় বৌদ্ধ মন্দির। একই সাথে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় এক ধর্মীয় স্থান। আংকার হচ্ছে খেমার নামক রাজ্যের রাজধানী।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .