গত ২৪ আগস্ট ২০১৬-এ মিয়ানমারে ৬.৮ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে। মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভূমিকম্পে ৩ জন মানুষের প্রাণহানির পাশাপাশি মান্দালয়ের ২২৮টির মতো মন্দির ক্ষতিগ্রস্ত [2] হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত মন্দিরগুলোর মধ্যে প্রাচীন রাজধানী হিসেবে খ্যাত বাগানের ১৮৭টি ইঁটের তৈরি মন্দির রয়েছে। প্রাচীন এই মন্দিরগুলোর কারণে মিয়ানমার সরকার বাগানকে ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে আবেদন [3] করেছিল। ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে পরিচিতি পাওয়া কঠিন হয়ে যাবে। দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাগান একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রত্মতাত্ত্বিক স্থাপনা। কম্বোডিয়ার আংগোর ওয়াট এবং ইন্দোনেশিয়ার বড়বুদুরের সাথে একে তুলনা করা হয়।
বাগান পর্যটকদের কাছেও আকর্ষণীয় গন্তব্য। এখানে প্রায় ৩ হাজারের মতো মন্দির রয়েছে। এর আগে ১৯৭৫ সালে ভূমিকম্পে এখানকার মন্দিরগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।
One dead, ancient pagodas damaged as powerful quake rocks #Myanmar [4] https://t.co/XurCMds8Z0 [5] pic.twitter.com/FncyVOozqx [6]
— Coconuts Yangon (@CoconutsYangon) August 24, 2016 [7]
শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়েছে। একজন মারা গেছেন। বহু মন্দির ধ্বংস হয়েছে।
শক্তিশালী এই ভূমিকম্প শুধু মিয়ানমারেই নয়। প্রতিবেশী বাংলাদেশ এবং থাইল্যান্ডেও অনুভূত [8]হয়েছে।
মিয়ানমার ইতোমধ্যে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনার ধ্বংসাবশেষ পরিষ্কার করে ফেলেছে। অনেকে অবশ্য ক্ষতিগ্রস্ত মন্দির দ্রুত পুনরুদ্ধার করতে বিক্ষোভ করেছেন। তবে কেউ কেউ ক্ষতিগ্রস্ত মন্দিরগুলোর কিছু অংশ সংরক্ষণ করতে বলেছেন, যা দেখে যেন সবাই প্রাকৃতিক বিপর্যয় সম্পর্কে সচেতন থাকে এবং প্রস্তুতি নিয়ে রাখে।
স্বাধীন সংবাদ সংস্থা এবং গ্লোবাল ভয়েসেস-এর অংশীদার ইরাবতী ভূমিকম্পে মান্দালয়ে কতটা ক্ষতি হয়েছে, তার চিত্র তুলে ধরেছে। নিচের ছবিগুলোতে মিয়ানমারের বাগানের মন্দিরগুলো কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেটা দেখা যাচ্ছে: