
প্রতিবেদনটির একটি স্ক্রিনশট।
অস্ট্রেলিয়ার আদিবাসী ভাষা সংরক্ষণ ও পুনরুজ্জীবিত করার জন্য ডিজিটাল সম্পদগুলো কিভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে? যেসব সম্প্রদায় এই ডিজিটাল সম্পদগুলো ব্যবহার করছে তাঁদের জন্য ঝুঁকি প্রশমিত করতে কি কি চ্যালেঞ্জ এবং কৌশল নিযুক্ত করা হচ্ছে? “এ্যাংকেটি মানচিত্র” শিরোনামে একটি নতুন প্রতিবেদনে এই প্রশ্নগুলো উঠে এসেছে। এ্যাংকেটি শব্দটি এসেছে এ্যানমাটিয়ার ভাষা থেকে, যার অর্থ “অনেক গল্প”।
ফার্স্ট ল্যাংগুয়েজেস অস্ট্রেলিয়া এমন একটি সংস্থা যা আদিবাসী এবং টরেস স্ট্রেইট দ্বীপের সম্প্রদায়ের ভাষার সকল দিক সংরক্ষণ এবং পুনরুজ্জীবিত করতে সমর্থন দিয়ে থাকে। সংস্থাটি ১৫ মাসের একটি প্রকল্পে পরপরই নিম্নলিখিত এই সারসংক্ষেপ প্রকাশ করে। যেসব ভাষা কর্মীরা ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাঁদের সম্প্রদায়ের জন্য শিক্ষা এবং পুনরুজ্জীবিত করতে সুযোগ প্রদানের অভিজ্ঞতা এতে সংগৃহীত হয়েছে।
গবেষক বেন ফোলে জরিপ করতে এবং সারা দেশে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন ভাষা ও প্রযুক্তি বিষয়ক অনুষ্ঠানের সময় সমর্থনকারীদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করতে ফার্স্ট ল্যাংগুয়েজেস অস্ট্রেলিয়া দলের সাথে ঘনিষ্টভাবে কাজ করেছেন। যেমন মেলবোর্নে অনুষ্ঠিত ন্যাশনাল ল্যাংগুয়েজেস এ্যান্ড টেকনোলজি কনফারেন্স পুলিমা এবং কেয়ার্ন্সে অনুষ্ঠিত কুইন্সল্যান্ড স্টেট ল্যাংগুয়েজেস কনফারেন্স এনগিরমা পুওয়াল পুকাং। যারা এসব অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেনি তাঁদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে একটি বৃহত্তর নেটওয়ার্ককে এই কার্যক্রমের আওতায় আনতে অনলাইন জরিপ চালান হয়। এছাড়া ভাষা সেন্টার, সফটওয়্যার ডেভেলপার, এবং স্থানীয় ভাষা প্রকল্প পরিচালনাকারী অন্যান্য কর্মীদের কাছ থেকে ফোন সাক্ষাৎকার গ্রহণের ব্যবস্থা করা হয়।
স্থানীয় সম্প্রদায়ের দ্বারা তৈরি করা সম্পদ এবং বিষয়বস্তু এই কথোপকথনে তুলে ধরা হয়েছে, যেমনঃ
- ভাষার দলিল রচনা, নিথভুক্ত করা, টীকা-রচনা, আকাইর্ভ প্রতিষ্ঠা করতে বিভিন্ন কম্পিউটার প্রোগ্রাম এবং এ্যাপ্লিকেশন।
- মোবাইল/ ট্যাবলেট এ্যাপ্লিকেশন (শব্দ তালিকা, শব্দকোষ, গান নিয়ে খেলা, শিক্ষামূলক খেলা, শিক্ষামূলক পরিবেশ)
- ইন্টারেক্টিভ হোয়াইটবোর্ড সম্পদ
- মাল্টিমিডিয়া সিডি-রোম অথবা ডিভিডি
- বিভিন্ন ওয়েবসাইট এবং ওয়েব এ্যাপ্লিকেশন ( যেমন ইউটিউব, শব্দকোষের ওয়েবসাইট, অনলাইন শিক্ষণ ওয়েবসাইট ইত্যাদি)
- ইন্টারেক্টিভ শব্দকোষ, শব্দ তালিকা, বাক্য গঠনের বই, ফ্ল্যাশকার্ড
- ই-বই
- বিভিন্ন কম্পিউটার গেমস
- বেতার অনুষ্ঠান এবং অডিও পডকাস্ট
ভাষা শিক্ষা এবং পুনরুজ্জীবিত করার জন্য প্রযুক্তি ব্যবহার করতে উদ্ভাবনীমূলক বিভিন্ন প্রিক্রিয়ার কিছু কেইস স্টাডির এই উদাহরণগুলোর বেশিরভাগই প্রতিবেদনটিতে তুলে ধরা হয়েছে।
ফার্স্ট ল্যাংগুয়েজেস অস্ট্রেলিয়া আশা করে যে প্রতিবেদনটি নীতিনির্ধারকদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তহবিল ঠিক করার পাশাপাশি ভাষা সম্প্রদায়গুলোর মাঝে আলোচনা সহজতর করার নির্দেশনা দিয়ে সাহায্য করবে। ফলে প্রযুক্তির ব্যবহারের সুবিধাগুলো বাড়াতে, দ্বিত্ব কমাতে এবং ডিজিটাল সম্পদ ব্যবহারের ক্ষেত্রে সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সাহায্য করবে।
প্রতিবেদনটির সারসংক্ষেপ এখান থেকে ডাউনলোড করুন।