এক নিখুঁত কিরগিজ বিজ্ঞাপনের মালমসলাঃ ঘোড়া, পাহাড়ের দৃশ্য এবং এক সুন্দরী রমণী

Screenshot from full-length advert uploaded on Shoro's Youtube channel.

সোহরোর ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করা সম্পূর্ণ বিজ্ঞাপন থেকে নেওয়া স্ক্রিনশট

প্রাক্তন সোভিয়েট ইউনিয়নের একটি রাজ্য কিরগিজস্তানের শীর্ষস্থানীয় কোমল পানীয় নির্মাতা সোহরো দ্বারা প্রস্তুতকৃত মাক্সিম সোহরো নামক কোমল পানীয় ঠিক প্রতিদিনের চা নয়, তার বদলে গ্যাঁজানো লবণাক্ত এক কোমল পানীয়। যারা এ ধরণের পানীয় পছন্দ করে তারা সত্যিই এই পানীয়কে ভালবাসে।

মধ্য এশীয় এই দেশটির বয়সের মতই পুরোনো এই পানীয়-স্থানীয় বাজারের প্রায় দুই দশকের সফলতার পর এখন প্রতিবেশী কাজাখস্তান এবং রাশিয়ায় প্রবেশ করতে যাচ্ছে, যে দুটি দেশে অন্তত দশ লাখের মত কিরগিজ নাগরিক বসবাস এবং কর্মে রত।

তবে সোহরো তার যাযাবর চরিত্র পুনরুদ্ধার করেছে যা তার স্বদেশের সঙ্গে যুক্ত, যেমনটা কোম্পানির সাম্প্রতিকতম বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করছে। নীচে সম্পূর্ণ বিজ্ঞাপন এবং সাথে এই বিজ্ঞাপনের আগমন উপলক্ষে কোম্পানি ফেসবুকে যে বার্তা প্রদান করেছে তার এক অনুবাদ নীচে তুলে ধরা হল:

Однажды рано утром смелый джигит на своем верном коне поскакал на соседнее джайлоо. Слышал он, что живет здесь прекрасная девушка, которая пленила сердца многих баатыров.

Есть у кыргызов старинная игра – кыз куумай. Если джигит догонит девушку, то сможет поцеловать ее. Если нет – девушка ударит его камчой. А всадник опозорится перед народом.

Но если джигит понравится девушке, она может сама незаметно поддаться ему. Ведь не зря твердили наши предки: не проси быстрого коня, а проси доброго пути.

“Максым Шоро” – напиток кочевников.

একদিন ভোরে, এক সাহসী কিরগিজ যুবা, তার বিশ্বস্থ ঘোড়ায় চেপে নিকটস্থ তৃণভূমিতে গিয়ে হাজির হয়। তার কানে এসেছিল এক সুন্দরী রমনীর গল্প, যে অনেক শিরোপাধারীর হৃদয় জয় করেছিল, সে এই তৃণভূমিতে বাস করে।

কিরগিজস্তানে এক পুরোনো খেলার প্রচলন আছে,যার নাম–ক্যাজ কূমাই, এই খেলায় যদি কোন পুরুষ তার কাঙ্খিত নারীকে ধরে ফেলতে পারে,তাহলে সেই নারীকে সে চুম্বন করতে পারবে। যদি সে তা না করতে পারে,তাহলে উক্ত নারী তাকে চাবুক দিয়ে বাড়ী মারবে,আর এক্ষেত্রে উক্ত অশ্বারোহী আর কারো সামনে মুখ দেখাতে পারবে না।

কিন্তু উক্ত যুবা যদি বালিকাকে সন্তুষ্ট করতে পারে, তাহলে সে নিরবে তাকে হৃদয় দেবে [বিজ্ঞাপনের বালিকাটি ধীর গতির হয়ে যায় এবং ঘোড়সাওয়ারকে জিজ্ঞেস করে, যে যুবক, তুমি কি এই প্রথম ঘোড়ায় চড়েছো]। সবচেয়ে বড় কথা,আমাদের পূর্ব পুরুষেরা সবসময় বলে এসেছেন, কখনো সেই ঘোড়া চেয়ো না যা খুব দ্রুতগতির, বরঞ্চ এক নিরাপদ যাত্রার কথা ভাব ।

মাক্সিম সোহরো-যাযাবরদের পানীয়।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .