ইউরোপের অন্যতম এক ব্যস্ত এবং বিশ্বের বিমান যাতায়াতের অন্যতম কে কেন্দ্র তুরস্কের ইস্তাম্বুলের কামাল আতাতুর্ক বিমান বন্দরে গুলি এবং তিনটি আত্মঘাতি বোমা হামলায় অন্তত ৪১ জন নাগরিক নিহত হয়েছে।
অন্তত তিনজন ব্যক্তি এই হামলা চালায় এবং এর শুরু হয় ২৯ জুনের রাতে, তুরস্কের প্রধান মন্ত্রী বিনালি ইলদিরিম এর বরাত দিয়ে বলা হচ্ছে প্রাথমিক ধারনায় এটা চরমপন্থী দল আইএস আইএস-এর চালানো হামলা।
বাস্তবতা হচ্ছে এই যে হামলাকারীরা বিশ্বের অন্যতম এক বিমান পরিবহনকারী বিমান বন্দরে হওয়ার মানে হচ্ছে বিশ্বের প্রচার মাধ্যম এবং সিটিজেন মিডিয়া ঘটনার প্রায় সাথে সাথে এর বিবরণ প্রদান করতে শুরু করা।
1st photo from Istanbul's Ataturk airport where 2 major blasts rocked int'l terminal, leaving multiple casualties.pic.twitter.com/xhu1uMfzTS [1]
— Mustafa Edib Yılmaz (@MustafaEdib) June 28, 2016 [2]
ইস্তাম্বুলের আতাতুর্ক বিমান বন্দরের প্রথম ছবি,যেখানে দুটি বড় ধরনের বিস্ফোরণ আন্তর্জাতিক টার্মিলাকে কাপিয়ে দেয়, যার ফলে বেশ কয়েক ধরনের ক্ষতি হয়।
TURKEY – Children & relatives embrace as they leave Ataturk airport after Istanbul suicide attack. By @ozannkosee [3] pic.twitter.com/nTGunVnOJe [4]
— Frédérique Geffard (@fgeffardAFP) June 28, 2016 [5]
তুরস্কের ইস্তাম্বুলের আতাতুর্ক বিমান বন্দরে আত্মঘাতী বোমা হামলার পর বিমান বন্দর ত্যাগ করা শিশু এবং আত্মীয়ারা আলিঙ্গনবন্ধ হয়ার জন্য এগিয়ে যাচ্ছে।
যেহেতু সঙ্কটের সময় তুরস্কে এটা একটা নিয়মে পরিণত হয়েছে, সেহেতু ঘটনা এগিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে কর্তৃপক্ষ স্থানীয় সংবাদ পত্রের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে এবং ফেসবুক ও টুইটার প্রবেশ বন্ধ করে দেয় এবং বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তা বজায় ছিল।
Text of the temporary gag order on Istanbul Ataturk twin suicide bomb attack issued by PM.https://t.co/N0sHNhKJ4l [6] pic.twitter.com/ph7zKFgzzd [7]
— efe kerem sozeri (@efekerem) June 28, 2016 [8]
ইস্তাম্বুলের আতাতুর্ক বিমান বন্দরে জোড়া বোমা হামলায় বার্তা পাঠানোর ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারী করেছে।
গ্লোবাল ভয়েসেস-এর লেখক এফে কারেম সোজেরি, ভোকাটিভ অনলাইন পত্রিকায় [9] সরকারের মিডিয়া এবং সোশ্যাল মিডিয়া বন্ধ করে দেওয়ার প্রচেষ্টার বিষয়ে তাৎক্ষণিক বিশ্লেষণ করেছে, এই বাস্তবতার প্রেক্ষাপটে যে সরকার বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ সময়ে নাগরিকদের তথ্য পাওয়ার বিষয়টি প্রতিহত করছে।
এদিকে যখন কয়েকজন ট্যাক্সি ড্রাইভার এই সংকটময় পরিস্থিতে দাম বাড়িয়ে মুনাফার সুযোগ খুজছে, তখন তুরস্কের সবচেয়ে বড় শহরে বিভিন্ন এলাকার হোটেল এবং সাধারণ ইস্তাম্বুলবাসী পৃথিবীর সকল দেশের যাত্রীর জন্য তাদের দরজা খুলে দিয়েছে।
16 guests are resting in their rooms. We have one room left! #taksim [10] #istanbul [11] #PrayForTurkey [12] #prayforistanbul [13] https://t.co/TvGt0okaz6 [14]
— Suite Begonia (@BegoniaIstanbul) June 29, 2016 [15]
Amazing: Turkish student living near airport offers to let stranded passengers stay at his home. #istanbulattack [16] https://t.co/EVoF9SjqxF [17]
— Borzou Daragahi (@borzou) June 28, 2016 [18]
অবিশ্বাস্যঃ বিমান বন্দরের কাছে বাস করা তুর্কী ছাত্রেরা আটকে পড়া যাত্রীদের নিজেদের ঘরে আশ্রয় দিতে চাইছে।
বিমান বন্দরে হামলা হচ্ছে এমন এক বীভৎস ঘটনার স্মরণ করা, কিছু কিছু মন্তব্যকারী যাকে উল্লেখ করছে “নতুন স্বাভাবিকতা”-দেশের সাধারণ নাগরিকদের লক্ষ্য করে চালানো চরমতম হামলা যা মাত্র দুই বছর আগে তুলনামূলক শান্তির সময় অকল্পনাতীত বলে মনে হত।
Major recent attacks.. And the conflict in Southeast #Turkey [19]… Hundreds… Hundreds died… https://t.co/nlJd4u1ZbU [20] pic.twitter.com/cArfrHOhO3 [21]
— Cagil M. Kasapoglu (@CagilKasapoglu) June 29, 2016 [22]
সাম্প্রতিক সময়ের ভয়াবহ সব হামলা…এবং তুরস্কের দক্ষিণপূর্বের সংঘর্ষ…শত…শত নাগরিক নিহত।
আইএসআইএস-এর নেতা আবু বাকার আল বাগদাদী ইরাকের নগর মোসুলে খেলাফাত ঘোষাণার ঠিক দুই বছর পর এই হামলা চালানো হল, যদি কোন দল আতাতুর্ক বিমান বন্দরের এই হামলার দায় স্বীকার করেনি।