- Global Voices বাংলা ভার্সন - https://bn.globalvoices.org -

গ্রীস এবং তুরস্কের ছবি প্রদর্শনীর এক যৌথ উদ্যোগ দুটি প্রতিবেশী দেশকে আরো কাছে এনেছে

বিষয়বস্তু: পশ্চিম ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য ও উ. আ., গ্রীস, তুরস্ক, ছবি তোলা, নাগরিক মাধ্যম, ভাল খবর, শিল্প ও সংস্কৃতি
afisa-12

ছবি প্রদর্শনীর পোস্টার। ছবি অনলাইনে শেয়ার করা হয়েছে।

উত্তর এজিয়ান সাগরের অবস্থিত গ্রীসের দুটি দ্বীপ রাজধানী চিওস [1] (যা চিওস আইল্যান্ড-এর রাজধানী) এবং মাইটিলেনে [2] (লেসবস দ্বীপের রাজধানী) এবং এশিয়া মাইনর উপকূলে অবস্থিত তুরস্কের দুটি শহর বারগামা [3] এবং ইজমিরের [4] ফটোগ্রাফাররা গ্রীষ্মকালের এক প্রকল্পে জন্য নিজেদের ক্যামেরাকে একত্রিত করছে।

ইজমির ফটোগ্রাফি ক্লাব [5], চিওস ফোটো ক্লাব [6] এবং বেরগামা ফোটোগ্রাফি গ্রুপের [7] সাথে মিলে মাইটিলেনে ফটোগ্রাফি এ্যাসোসিয়েশন [8] একসাথে মিলে “ প্রতিবেশীর আলো” ( গ্রীক ভাষায় ফস গেইটোনিকো এবং তুরস্কের ভাষায় কোমোসুনু ইসিগি) নামক এক যৌথ ছবি প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে নতুন নতুন চিন্তার বিনিময়, জ্ঞান থেকে অভিজ্ঞতা, আর এতে ফটোগ্রাফারদের স্বাধীনতা প্রদান করা হয়েছে তারা তাদের ইচ্ছেমত ছবি তুলতে পারবে, এতে প্রাকৃতিক দৃশ্যাবলী হোকে মানুষের মুখোচ্ছবি হতে জীবনের স্থির চিত্রের যে কোনটা হতে পারবে।

এই চারটি শহরের ফটো ক্লাব কয়েক বছর ধরে নিজেদের মধ্যে এক স্থায়ী বন্ধুত্ব এবং সহযোগীতা গড়ে তুলেছে। তারা বিশ্বাস করে যে শান্তি এবং বন্ধুত্ব সমস্যা এড়িয়ে যাওয়ার সেরা উপায় এবং শিল্প, বিশেষ করে ফটোগ্রাফি এমন এক মাধ্যম, যা নাগরিকদের কাছে আনে। এটা একটা গুরুত্বপুর্ন আবেগ, যা গ্রীস এবং তুরস্কের মাখে যুদ্ধ এবং দখলদারিত্বের ইতিহাসের মাঝে এক ভিন্নতা যোগ করে।

তুরস্কের সংবাদ পত্র হুরিয়াতের এক বিস্তারিত [9] সংবাদ অনুসারে ২৮ মে তারিখে তুরস্কের বারগামায় এই প্রদর্শনীর যাত্রা শুরু হয়। শহরের মেয়র মোহামেট গোনেসেন এই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন। ইজমিরে গ্রীসের কনসাল জেনারেল আরগাইয়ারো পাপোলিয়া [10] এই অনুষ্ঠান উপলক্ষে এক শুভেচ্ছা বার্তা [11] পাঠান।

এই প্রদর্শনীতে যে সমস্ত ব্যক্তি অংশগ্রহণ করেছে তারা বারগামা থেকে ফিরে এসে তাদের প্রদর্শিত ছবি শেয়ার করছে। ফেসবুকের এখানে [12], এখানে [13] এবং এখানে [14] আপনার এই প্রদর্শনীর কিছু ছবি দেখতে পাবেন।

এই যৌথ প্রদর্শনীর শেষ পর্ব অনুষ্ঠিত হবে ইজমিরে, যা উত্তর এজিয়ান সাগরে অবস্থিত। এই শহরটি সেই সমস্ত অনেক ব্যক্তির জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ স্থান, যারা ১৯২০ এর দশকে স্মার্নার (বর্তমানে যা ইজমির নামে পরিচিত ) ভয়াবাহ অগ্নিকান্ডে [15] পালিয়ে আসা উদ্বাস্তুদের বংশধর।

এই প্রদর্শনী অন্য দুটি শহরেও অনুষ্ঠিত হবে, কাজে আপনি যদি এই সময়ে এজিয়ান সাগরের উপকূলে অবস্থান করেন, তাহলে এই প্রদর্শনী দেখতে ভুলবেন না। ২ জুলাই চিওস, ২০ আগস্ট মাইটিলিনি এবং ৮ সেপ্টেম্বরে ইজমিরে এই প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে।