‘হিভিশাশা’ মোবাইল ওয়েবের জন্য কেনিয়ার এক মিডিয়া প্রকল্প

The logo of HiviSasa.

হিভিশাশার লোগো

হিভিশাশা, সোয়াহিলি ভাষায় যার মানে হচ্ছে “ঠিক এই মূহুর্তে”, এটি কেনিয়ার এক ডিজিটাল মিডিয়া প্রকল্প, যা একদল সিটিজেন রিপোর্টারের পাঠানো সংবাদ এবং ছবি প্রকাশ করে থাকে, যাদের প্রকাশিত প্রতিটি প্রবন্ধের জন্য এম পেসার মাধ্যমে সম্মানী প্রদান করে থাকে প্রতিষ্ঠানটি। উল্লেখ্য যে এম-পেসা হচ্ছে মোবাইলের মাধ্যমে টাকা প্রদানের এক মাধ্যম। এই সাইটের প্রদান করা সংবাদ অনুসারে এমনকি কয়েকজন সিটিজেন রিপোর্টার সপ্তাহে ৮৫ ডলার পর্যন্ত আয় করতে পারে।

প্রতি সপ্তাহে যার লেখা সবচেয়ে বেশী সংখ্যাক নাগরিক দেখ থাকে তাকে এই প্রকল্প নগদ পুরস্কার প্রদান করে

সম্প্রতি কেনিয়ার কয়েকটি অঞ্চলের নাগরিকেরা এই সাইট দেখতে পাচ্ছে, এই সমস্ত অঞ্চল হচ্ছে নাকুরু, কিয়াম্বু, মাচাকোস, কিসিই, এনইয়ামারিয়া, উয়াসিগিসুউ, গারিসা, মোম্বাসা এবং কিবেরা

HiviSasa

মোবাইলে হিভিশাশা দেখতে যেমন লাগে। ক্রিয়েটিভ কমন্স এই ছবি জ্যাকোববারনওয়েল-এর

হিভিশাশা তার নিজস্ব ওয়েবসাইটে নিজের দর্শন ব্যাখ্যা করেছে :

প্রবেশাধিকার, বৈচিত্র্যময়তা,তথ্যের স্বচ্ছতা একই সাথে সরকার এবং নাগরিকদের ক্ষমতাশালী করে। তথ্য সম্বন্ধে ভালভাবে অবহিত নাগরিক নিজেদের জীবন এবং সরকার সম্বন্ধে ভাল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে

হিভিশাশায় একজন কন্ট্রিবিউটর হিসেবে নিবন্ধিত হতে মাত্র এক মিনিটেরও কম সময় লাগে এবং হিভিশাশায় লেখার জন্য কাউকে প্রশিক্ষিত সাংবাদিক হতে হয় না। :

আপনি হতে পারেন একজন পেশাদার সাংবাদিক, একজন সংগঠন, একজন ছাত্র, একজন সরকারী কর্মকর্তা, রাজনীতিবীদ, এক সচেতন নাগরিক, কার্টুনিষ্ট, ব্যবসায়ী,পথিক ইত্যাদি। এছাড়াও অনেক প্রশিক্ষিত সাংবাদিক এতে সংবাদ প্রদান করছে, যা তাদের দক্ষতা প্রকাশ করছে এবং অনলাইনে নিজেদের তুলে ধরার মত বিষয়কে বৃদ্ধি করছে।

২০০ শব্দের মধ্যে একটি সংবাদ লিখুন (অথবা সংক্ষিপ্ত বিবরণ সহ একটি ছবি পাঠান)প্রশ্নের উত্তর দিনঃ কি ঘটেছে? কোথায় এবং কখন এটা ঘটেছে? কে বা কারা এর সাথে যুক্ত ছিল? কি ভাবে ঘটনা ঘটেছিল? কেন এটা উল্লেখযোগ্য?

এই সাইট নতুন লেখকদের মাঝ থেকে স্থানীয় ভাল লেখক হিসেবে তিনটি গল্পকে উদাহরণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এর মধ্যে লরেন্স গেকোঙ্গে নামক কেনিয়ার এক নাগরিকের গল্প রয়েছে, যে কিনা তাঁর স্ত্রীর মৃত্যুর পর স্ত্রীকে রান্নাঘরে কবর দেয়, কারণ তাঁর স্ত্রী বেশীর ভাগ সময় সেখানে কাটাতো। এই লোকটি জানাচ্ছে যে তাঁর মৃত্যুর পর যেন তাকে মূল বাসভবনের বসার ঘরে অবশ্যই কবর দেওয়া হয়।

দ্বিতীয় কাহিনীটি হচ্ছে একজন সিটিজেন রিপোর্টারের, যার নাম ডিকেন্স লুভান্ডা, যে কিনা প্রতি সপ্তাহে নিয়মিত ভাবে ৫০টি কাহিনী প্রকাশ করে থাকে। তৃতীয় কাহিনীটি হচ্ছে ভূমির অফিস থেকে ১২০০ দলিল সংগ্রহ না করার কাহিনী

এক ইমেইল আলাপচারিতায় গ্লোবাল ভয়েসেসকে এই প্রকল্পের প্রধান সম্পাদক এনোচ নায়ারিকি বলছেন যে ইতোমধ্যে এই সাইটে ৬১.০০০ টি কাহিনী ছাপা হয্যেছে। তিনি বলেন এর অন্যতম এক প্রধান চ্যালেঞ্জ হচ্ছে সিটিজেন রিপোর্টাররা বিনামূল্যে হিভিশাশা একাডেমির সুবিধা নিচ্ছে যা তারা স্থাপন করেছিল মৌলিক সংবাদ লেখার দক্ষতা আছে এমন সাংবাদিকদের আরো ক্ষমতাশালী করার উদ্দেশ্যে।

নিচের ইউটিউব ভিডিওতে শেহেং-এ অবস্থিত একাডেমিকে তুলে ধরা হয়েছে, এই ভিডিও নির্মাণ করা হয়েছে সোয়াহেলি এবং ইংরেজি ভাষা মিলিয়ে:

এই একাডেমি বিনামূল্যে বেশ কিছু প্রশিক্ষণ প্রদান করে যেমন কি ভাবে আদালতের ঘটনা নিয়ে সংবাদ করতে হবে, আইন আনুসারে লেখা- লেখা চুরি/ লেখার আইনগত অনুমদোন, আইনগত ভাবে লেখা- নিন্দা জানানো/ দায়, ঘৃণা সূচক লেখা ইত্যাদি।

৮৮ এমপিএইচ-এর সমর্থনে ২০১২ সালে এই প্রকল্প শুরু হয়, যা এর শুরুর জন্য বিনিয়োগ করেছিল, এই প্রকল্প আনুষ্ঠানিক ভাবে যাত্রা শুরু করে ২০১৪ সালে । অন্য যারা এই প্রকল্পে বিনিয়োগ করেছে, তাদের মধ্যে রয়েছে ওমিদাইয়ার নেটওয়ার্ক এবং নোভাস্টার ভেঞ্চারস

সম্পাদকের ভাষ্যঃ গ্লোবাল ভয়েসেসও ওমিদাইয়ার নেটওয়ার্ক থেকে সমর্থন পেয়ে থাকে।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .