সারাইয়াকুর তরুণ ফুটবলারদের সাথে ক্যানুতে করে আমাজান ঘুরে আসুন

প্রতিদ্বন্দ্বী এক দলের সাথে ম্যাচ খেলার জন্য মোটর চালিত এক ক্যানুতে করে ৬৭ কিলোমিটার ভ্রমণ করার কথা ভাবুন। ইকুয়েডোর-এর আমাজান অঞ্চলের সারাইয়াকুর কিচোয়া সম্প্রদায়ের একদল তরুণ ফুটবলার প্রতি সপ্তাহে নিয়মিত ফুটবল ম্যাচ খেলার জন্য এই কাজটি করে।

এই সকল কিশোরেরা ক্লাব ডেপার্টিভো সারাইয়াকুর ফুটবল একাডেমির ছাত্র, যা কেবল তরুণ কিচোয়া সম্প্রদায়ের কিশোরদের বল নিয়ন্ত্রণ করা, পাস দেওয়া এবং রক্ষণাত্মক খেলা খেলতে শেখায় না, একই সাথে তাদের সঠিক পথে পরিচালনা করা, দলগত ভাবে খেলা, এবং সম্ভাব্য বিপজ্জনক প্রলোভন থেকে রক্ষায় সাহায্য করছে। এই স্কুলের ওয়েব সাইট বলছে, “বিশ্বায়নের মত আগ্রাসনের” হাত থেকে আত্মরক্ষার এটি এক উপায়:

La niñez y la juventud de Sarayaku son poseedoras de  inteligencia, talentos y capacidades para vivir en el habitat de su territorio. Son hábiles en el bosque, cazadores, conocedores de la botánica, de los cosmos, de las montañas, de la lluvia, delas cascadas, del rayo, de las piedras, del árbol sagrado del Uchuputo y de la Pachamama. Hoy se van cayendo poco a poco ante la agresión visible e invisible de la globalización, por la postergación y abandono de los grandes ministerios, por los proyectos industriales y la falta de solidaridad que conlleva a un grave riesgo a temprana edad como el alcoholismo y migración de la juventud.

সারাইয়াকুর এই সব তরুণেরা বুদ্ধিমান, প্রতিভাবান এবং নিজেদের এলাকার মধ্যে যা আছে তাই নিয়ে তারা জীবন ধারন করে । বনের মাঝে তারা শিকারীর মত দক্ষ, উদ্ভিদ, মহাকাশ, পাহাড়, বৃষ্টিপাত, জলপ্রপাত, বজ্রপাত, পাথর, পবিত্র উচাপুতা গাছ এবং পাচামামা (এই পৃথিবী যা আমাদের মা) সম্বন্ধে তাদের যথেষ্ট জ্ঞান রয়েছে। আজ তারা বিশ্বায়নের মত এক অগ্রাসী থাবার শিকার হয়ে এর মাঝে ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে, তারা সরকারের বড় বড় মন্ত্রণালয়ের বাতিল এবং পরিত্যাগের শিকার, তাদের জন্য শিল্পায়ন এবং সংহতির অভাব রয়েছে, যার খুব অল্প বয়সে মদ্যপানের আসক্তি এবং তরুণ বয়সে অভিবাসনের মত ঝুঁকির মধ্যে তারা পড়ে যায়।

স্থানীয় তরুণ সংস্কৃতির মাঝে আত্মসম্মান এবং মর্যাদা গড়ে তুলতে সাহায্য করা এই ফুটবল স্কুলের আরেকটি লক্ষ্য, কারণ এই বিষয়টি দলের পরস্পরের মাঝে আস্থা গড়ে তোলে, যখন তারা তাদের সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব করে। যখন তারা পরবর্তী খেলা খেলতে ছয় ঘণ্টার নৌ যাত্রার জন্য তৈরি হয়, তখন তাদের এক ঘনিষ্ঠ বন্ধনে আবদ্ধ দল হিসেবে মজা করতে দেখা যায়।

এরিবের্তো গুয়ালিঙ্গা নামক এক চলচ্চিত্র নির্মাতা যে কিনা কিচোয়া সম্প্রদায়ের একজন, তিনি বোবোনাবজা নদী পথ ধরে এই যাত্রার দৃশ্য ধারণ করার জন্য এই দলের সাথে যুক্ত হয়েছেন, যার সাথে ৯০ মিনিটের এক বাস ভ্রমণও অর্ন্তভুক্ত। এই দলটি তাদের সাম্প্রতি্রতম প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হয়, যা পালোরা ক্যান্টন এলাকার এক ফুটবল দল।

জিওপ্রো নামক ক্যামেরা দ্বারা ভিডিও ধারণ করে গুয়ালিঙ্গা এই ঘটনার বিষয়ে জানাচ্ছেন যে তরুণদের প্রিয় এই খেলার জন্য নৌ ভ্রমণ করে:

En la Amazonia el clima es impredecible, se puede ver las cuatro estaciones del año en el mismo día, el sol en la mañana, lluvia en la tarde, fuerte viento, arboles con flores, arboles que pierden las hojas. Los pequeños viajeros se enfrentan a todas estas adversidades.

আমাজান অঞ্চলে আবহাওয়া নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করা অসম্ভব। একই দিনে আপনি চারটি ঋতুর সবকটাই দেখতে পাবেনঃ সকালে উজ্জ্বল সূর্য, দুপুরে বৃষ্টি, জোরালো বাতাস, গাছে ফোঁটা ফুল এবং সেই সকল গাছ, যেগুলোর পাতা ঝরে যাচ্ছে। এই সকল খুদে ভ্রমণকারীদের এই সকল প্রতিকূলতার মুখোমুখি হতে হয়।

সারাইয়াকুর নাগরিকদের কাছে এই নদী পবিত্র, কারণ এই নদী অন্য সম্প্রদায়ের সাথে যোগাযোগ এবং সংস্পর্শে আসার একমাত্র মাধ্যম, কিন্তু একই সঙ্গে এই নদী তাদের খাদ্য এবং জীবন ধারনের যে সকল সামগ্রী, তার এর একটি উৎস। আর এ কারনে সারাইয়াকুর জনগণ তাদের চারপাশের প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষায় সুপরিচিত, কারণ প্রকৃতির সাথে যে তাদের সম্পর্ক । আর এখন এই নদী প্রীতি ফুটবল ম্যাচ খেলার জন্য অন্য সম্প্রদায়ের সাথে যোগাযোগের অন্যতম এক মাধ্যম।

Escuela de Futbol Sarayaku. Pantallazo del video de YouTube "Viajando por el Bobonaza con la Escuela de Futbol Sarayaku".

সারাইয়াকু ফুটবল স্কুল। ভিয়াহানাদো পোর এল বোবোনানজা কন লা এসকুয়েলা দে ফুটবল সারাইয়াকু ( সারাইয়াকু ফুটবল দলের সাথে বোবোনানজা নদী পথে ভ্রমণ) নামক ভিডিওর ইউটিউব স্ক্রিনশট।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .