নীচের এই প্রবন্ধটি ইউরেশিয়ানেট.অর্গ এর একটি পোস্ট, যা অংশিদারিত্ব চুক্তির আওতায় অনুমতিক্রমে প্রকাশিত হয়েছে।
কিরগিজস্তান হচ্ছে মধ্য এশীয়ার প্রথম রাষ্ট্র যেখানে গুগল স্ট্রিট ভিউ চালু হয়েছে, যদিও সম্ভব্য দর্শনার্থীদের এভাবে ভাবার দরকার নেই যে এই বিষয়টি প্রকৃত স্থান দর্শনের এক উত্তম বিকল্প হয়ে এসেছে।
এই প্রকল্প যা কিরগিজস্তানের বিভিন্ন এলাকার দৃশ্য (স্ট্রিট ভিউ) তুলে ধরছে তা স্থানীয় এক অন্যতম আকর্ষণীয় পর্যটন এলাকা চোলপোন–আতায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল, যেটি ইসিক–কুল হৃদের পাশে অবস্থিত।
এখন সারা বিশ্বের গুগল ম্যাপ ব্যবহারকারীরা কিরগিজস্তানের সড়ক পরিদর্শন ও দেশটিতে ভার্চুয়াল ভাবে ভ্রমণ করতে পারবে, এবং তারা অনলাইনে গিয়ে আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্রগুলো আবিস্কার করতে পারবে। অন্য জিনিষের মধ্যে গুগল টেকনিসিয়ানরা ব্যতিক্রমধর্মী সংস্কৃতি কেন্দ্র এবং বুরানা টাওয়ার, দি মেইডেন টিয়ারস ওয়াটার ফল, সুলেইমান তো–এর পবিত্র পর্বত (ওশায় অবস্থিত), ফেইরি টেল ভ্যালি, চোলপোন আতা এবং অন্যান্য এলাকার মত ঐতিহাসিক স্থাপনার ছবি গ্রহণ করেছে, গুগলের প্রতিনিধি তিলিক মামুতভ তার ফেসবুক একাউন্টে এ কথা জানিয়েছেন।
এটি বাইরে থেকে কিরগিজস্তানের দেখার এক সুযোগ করে দিচ্ছে। আর এই বিষয়ে গুগল বলছে যে এই প্রকল্প দেশটির পর্যটন শিল্পকে বিকশিত করবে।
এর মাধ্যমে আপনি আবিস্কার করতে সক্ষম হবেন দেশটির কোন এলাকায় তেলের পাম্প রয়েছে, এর কোন একটি এলাকা দেখতে কেমন সেটি আপনি যাচাই করে দেখতে পাবেন। আর যখন এক বিদেশী একটি নির্দিষ্ট এলাকায় এসে হাজির হয়, তখন তারা তাদের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে একটি হোটেল বা রেস্তোরাঁ খুঁজে পাবে। তেনগ্রিনিউজে উদ্ধৃত করা এক সংবাদে গুগলের প্রতিনিধি ওলেগ ইয়াকিমাচুক এই কথাগুলো বলেন।
তারা যেভাবে বলছেন সেটা হয়ত সামান্য বাড়াবাড়ি মনে হতে পারে, তবে শহরের বাইরের খাবার স্থানগুলো এবং অনেক কম পরিচিত এলাকা মনে হয় গুগলে ম্যাপে অনুপস্থিত এবং এগুলো গুগল ম্যাপে তালিকাভুক্ত করার ধারণা এমুহূর্তে মনে হয় খানিকটা বাড়াবাড়ি। যতক্ষণ না ব্যবহারকারীরা নিজেরাই এ ধরণের তথ্য প্রদান করা শুরু করে, ততক্ষণ পরিস্থিতির উন্নয়ন হবে না।
ইয়াকিমচুক বলছেন কাজাখস্তানের এই স্ট্রিট ভিউ এর কাজ একসাথে সম্পূর্ন করতে এক থেকে দেড় বছর সময় লেগেছে। ইন্টারএ্যাটিভ ম্যাপে তুলে ধরা শত শত স্থানের জন্য দুই মাস ধরে ছবি তোলা হয়েছে।
তবে এই অর্জন দারুণ আকর্ষণীয়। মূল সড়ক সমূহ তুলে ধরা খুব বেশী চ্যালেঞ্জিং নয়। কিন্তু গুগল তুলনামূলক ভাবে এমন স্থানে গিয়েছে যেখানে সাধারণত কেউ যায় না, যেমন সং-কুল লেকের উঁচু উঁচু এলাকায়।
এই প্রকল্প সমাপ্ত করার ক্ষেত্রে গুগলকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় কাজাখ সরকার। ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী জুমার্ট অটারোবায়েভ আদেশ করেন কোন কোন স্থান সমূহ স্ট্রিট ভিউয়ে অর্ন্তভুক্ত হওয়ার তালিকায় থাকতে হবে, যা এই উদ্যোগের একটি স্বীকৃতি।