- Global Voices বাংলা ভার্সন - https://bn.globalvoices.org -

অধিবাসীদের সুনামি থেকে বাঁচার পথ শেখাতে জাপানি শহরে কম্পিউটার মডেল ব্যবহার

বিষয়বস্তু: পূর্ব এশিয়া, জাপান, দুর্যোগ, নাগরিক মাধ্যম, পরিবেশ, প্রচার মাধ্যম ও সাংবাদিকতা

জাপানের কামাকুরা শহরে কম্পিউটারভিত্তিক একটি সুনামি মডেল (সিমুলেশন) [2] তৈরি করা হয়েছে। অধিবাসীরা যেসব বিপদের মুখোমুখি হয় সেগুলো বুঝতে সাহায্য করা এবং নিরাপত্তা বাড়াতে পারে এমন একটি পরিত্রাণের পথ পরিকল্পনায় সক্ষম করা এই প্রযুক্তিগত মডেলের লক্ষ্য।

টোকিও শহরের কেন্দ্রস্থল থেকে ট্রেনে এক ঘন্টারও কম দূরত্বে প্রশান্ত মহাসাগরের উপকূলে অবস্থিত একটি ছোট শহর কামাকুরা। একেবারে সমুদ্রতলের উপরে একটি বাঁকা উপসাগর উপকূলে লোকেদের বসবাস। সেখানে সুনামি হলে এর জন্য প্রতিরক্ষার কোন ব্যবস্থা নেই।

এই পর্যটন শহরটি [3] প্রায়ই পর্যটকে পূর্ণ হয়ে ওঠে। যে কোনো সময় শহরটি কমপক্ষে দুইটি বিশাল ভূমিকম্প ঘটার হুমকির মুখে রয়েছে। সেখানে সাগামি খাদে [4]পরবর্তী ৩০ বছর ধরে ৮ মাত্রা পর্যন্ত ভূমিকম্প হওয়ার সম্ভাবনা শতকরা ৫ ভাগ [5]। একই সময়ে সেখানে ৭ মাত্রার ভূমিকম্প হওয়ার শতকরা ৭০ ভাগ সম্ভাবনা আছে।

কামাকুরার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থিত নানকাই মহাচাপ ত্রুটিতেও [6] যেকোন সময় উঁচু মাত্রার ভূমিকম্প হওয়ার ভবিষ্যৎবাণী করা হয়েছে।

এধরনের যেকোন ভূমিকম্প একটি বৃহদায়তন সুনামির সৃষ্টি করবে। যার ফলে কামাকুরা প্লাবিত এবং ধ্বংস হবে। ১৭০৩ সালে শক্তিশালী জেনরোকু ভূমিকম্পের [7] উপকেন্দ্রটি কামাকুরা শহরটির একেবারে পূর্বদিকে ছিল। এটি বিশাল বিশাল সুনামি ঢেউের সৃষ্টি করে যা কামাকুরা এবং জাপানের প্রশান্ত মহাসাগরের সমুদ্রতীরের অন্যান্য অংশ ধ্বংস করে।

শহরটিতে প্রকাশ করা সুনামির কম্পিউটার মডেলটির বিস্তারিত অংশে সতর্ক করা হয়েছে ভূমিতে আগমনের মতো সুনামিগুলো প্রতি ঘন্টায় ৩৬ কিলোমিটার বেগে পরিভ্রমণ করতে পারেঃ

তাই ঘনিয়ে আসা সুনামি থেকে পায়ে দৌড়ে পালান অসম্ভব। সুনামির এই ভয়াবহ প্রতাপের বিরুদ্ধে আমরা একেবারেই  ক্ষমতাহীন। একমাত্র বিকল্প পথ হল সুনামি আসার আগে লোকেদের সরিয়ে নেয়া।

এই মডেলটিতে শহরের বিভিন্ন অংশের জনবহুল জায়গা এবং পালাবার পথগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। ইংরেজি সাবটাইটেল সম্পন্ন সম্পূর্ণ ভিডিওটি এখানে দেখা যাবেঃ