‘পাপুয়াকে মুক্ত কর প্রচারাভিযানটি’ ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের #পশ্চিমপাপুয়াকেভোটদিন হ্যাশট্যাগটিকে সমর্থন জানিয়ে ছবি পোস্ট করতে আহ্বান জানিয়েছে।
পশ্চিম পাপুয়া বর্তমানে ইন্দোনেশিয়ার একটি প্রদেশ। তবে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে দেশটির ভিতরে এবং বাইরে আন্দোলন চলছে। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সম্প্রদায়ের সমর্থন আদায়ের লক্ষ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে #পশ্চিমপাপুয়াকেভোটদিন হ্যাশট্যাগটির প্রচারণা চালানো হচ্ছে। গত ৩ মে তারিখে যুক্তরাজ্য হাউজেজ অব পার্লামেন্টে পশ্চিম পাপুয়ার জন্য আন্তর্জাতিক সংসদ সদস্যদের (আইপিডব্লিউপি) একত্রিত করার জন্য যথাসময়ে প্রচারণা চালাচ্ছে।
প্রচারাভিযানটিতে ব্যাখ্যা করা হয়েছেঃ
এই দশকের শেষে পশ্চিম পাপুয়াতে আন্তর্জাতিকভাবে তত্বাবধান করা একটি ভোটের জন্য সভাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা এটি আনুষ্ঠানিক দাবি হিসেবে চিহ্নিত হবে।
পশ্চিম পাপুয়ার সংগ্রামের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস
পশ্চিম পাপুয়া ১৮৯৮ সালে নেদারল্যান্ডের উপনিবেশে পরিণত হয়। ৬২ বছর পর ডাচ সরকার স্বাধীনতার জন্য পশ্চিম পাপুয়াকে প্রস্তুত করতে শুরু করে। পশ্চিম পাপুয়ার জনগণ ১৯৬১ সালে নিজেদের স্বাধীনতা ঘোষণা করে এবং তাঁদের নতুন পতাকা “সকালের তারা” উত্তোলন করে।
ইন্দোনেশীয় সামরিক বাহিনী পরবর্তীকালে পশ্চিম পাপুয়া আক্রমণ করে। ১৯৬৯ সালে একটি গণভোট অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ইন্দোনেশিয়ার সামরিক বাহিনী দ্বারা নির্বাচিত ১ হাজার প্রতিনিধি সর্বসম্মতিক্রমে ইন্দোনেশিয়ার একটি অংশ হিসেবে থাকার সিদ্ধান্ত নেয়। এটিকে তাঁরা “মুক্ত নির্বাচন আইন” হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। যদিও পাপুয়ান জাতীয়তাবাদীরা এটিকে “নির্বাচন নয় আইন” আখ্যায়িত করে উপহাস করেছেন।
ইন্দোনেশিয়ার বিরুদ্ধে পশ্চিম পাপুয়ানদের নিয়মতান্ত্রিকভাবে লংঘনের অভিযোগ আনা হয়। এই অঞ্চলকে চরমভাবে সামরিকীকরণের কারনে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন সম্পর্কে বিভিন্ন প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। অন্যদিকে এই স্বাধীনতা আন্দোলনকে একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর অপতৎপরতা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। পশ্চিম পাপুয়া সম্পর্কে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবরাখবর কঠোরভাবে নজরদারিতে রাখা হয়, যেন সেই এলাকার লোকেদের বাস্তব অবস্থা সম্পর্কে সামান্য তথ্যই উঠে আসে। পশ্চিম পাপুয়া ইন্দোনেশিয়ার সম্পদ সমৃদ্ধ একটি প্রদেশ। যদিও এই অঞ্চলের দারিদ্র্যের হার খুব বেশি।
পশ্চিম পাপুয়াতে ইন্দোনেশীয় ‘দখল’ চলতে থাকায়, স্বাধীনতা সংগ্রামের আন্দোলন সমর্থন পাওয়ার পাশাপাশি প্রসার লাভ করেছে। সারা বিশ্ব থেকে কিছু আইনজীবী এবং সাংসদরা প্রচারণাটির অনুমোদন দিয়েছেন। তাঁরা পশ্চিম পাপুয়ার আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার সংক্রান্ত আরেকটি গণভোট আয়োজন করতে ইন্দোনেশিয়াকে সনির্বন্ধ অনুরোধ জানিয়েছেন।
#পশ্চিমপাপুয়াকেভোটদিন
ইন্দোনেশীয় সরকারের ওপর শক্ত চাপ সৃষ্টি করতে বর্তমান উদ্যোগ ‘ফ্রি পাপুয়া ক্যাম্পেইন অস্ট্রেলিয়া'র নেতৃত্বে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ছবি পোস্ট করে পশ্চিম পাপুয়া সংগ্রামের জন্য সমর্থন প্রকাশ করার কাজে নাগরিকদের উৎসাহিত করেছে। নীচে কিছু ব্যক্তিদের ছবি দেওয়া হল, যারা ইতিমধ্যে প্রচারণায় যোগদান করেছেন: