- Global Voices বাংলা ভার্সন - https://bn.globalvoices.org -

মিশরের বিমান ছিনতাই নাটকের অবসান; সকল যাত্রী উদ্ধার

বিষয়বস্তু: মধ্যপ্রাচ্য ও উ. আ., মিশর, সাইপ্রাস, তাজা খবর, নাগরিক মাধ্যম, ভ্রমণ
"#EgyptAir hijacker has explosives…. How did he get them on board? Don’t forget though…" tweets @Andy_Wirral, who shares the photograph above [1]

@এন্ডি_উইরাল টুইট করেছেন, “#মিশরেরবিমান ছিনতাইকারীর কাছে বিস্ফোরক রয়েছে… বিমানের ভিতরে কিভাবে তিনি বিস্ফোরক পেলেন? যদিও এইটা ভুলবেন না…” তিনি উপরের ছবিটি শেয়ার করেছেন।

একজন বিমান ছিনতাইকারীর কারণে সাত ঘন্টার অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়। আলেকজান্দ্রিয়া থেকে কায়রোগামী একটি মিশরীয় বিমানের বিমান চালককে তিনি সাইপ্রাসের লারনাকাতে জরুরী অবতরণ করতে বাধ্য করেন। [2] তিনি একটি বিস্ফোরক বেল্ট পরে আছেন বলে দাবি করেন। সব যাত্রীদের মুক্ত করার মাধ্যমে অবশেষে এই অচলাবস্থার সমাপ্তি হয়।

এমএস ১৮১ ফ্লাইটের যাত্রীরা কেউ এ ঘটনায় হতাহত হয়নি। বিমানটিতে ক্রুদের সহ ৮১ জন যাত্রী ছিল। মিশর বিমানের তথ্য অনুযায়ীঃ

মিশর বিমানের সরকারি সূত্র ঘোষণা করেছে, সব বন্দীদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে এবং ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

মিশরীয় নাগরিক সাইফ এলদিন মুস্তাফা [5] একাই বিমানটি ছিনতাই করেন। এমনকি তিনি আসল বিস্ফোরক বেল্ট [6] পড়ে ছিলেন না। তবে তিনি সম্ভবত তাঁর সাইপ্রোয়েট জাতীয়তার সাবেক স্ত্রীর সাথে যোগাযোগ করতে চেয়েছিলেন। [7]অথবা তিনি মিশরীয় মহিলা বন্দীদের মুক্তি দেওয়ার দাবি তুলছিলেন। যদিও তাঁর উদ্দেশ্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায়নি। নেটিজেনরা এই ভেবে স্বস্তি বোধ করছেন যে এই ঘটনাটি কোন সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সাথে সম্পৃক্ত নয়, বিশেষকরে মুসলিম সন্ত্রাসবাদের সাথে।

এই নাটকীয় ঘটনার শুরুর দিকে অন্য আরেকজন লোক বিমানটি ছিনতাই করেন বলে কর্তৃপক্ষ দাবি করে। তাঁরা তাঁর জাতীয়তা এবং ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্য নিয়ে বিভিন্ন অনুমান করার চেষ্টা করে।

সিরিয়ান ব্লগার এস রিফাই এই দ্বিধা-দ্বন্দ্ব সম্পর্কে টুইট করেছেনঃ

“দয়া করে সিরিয়ান হবেন না”

“দয়া করে লেবানিজ হবেন না”

“দয়া করে ফিলিস্তিনি হবেন না”

বর্তমানে আমার এফবি #মিশরবিমান

অবশেষে ছিনতাইকারী তাঁদের দেশীয় না হওয়ায় স্বস্তি বোধ করেছেন। সন্ত্রাসবাদ বা ইসলামের সাথে এই ঘটনাটির কোন সম্পৃক্ততা না থাকায় অনেকেই খুশি হয়েছেন। কর্মকর্তারা বলেছেন ছিনতাইকারীকে অস্থির হতে দেখা গেছে এবং তিনি সন্ত্রাসবাদের অনুমান উড়িয়ে দিয়েছেন।

ওমর ইমরান ঘোষণাটিকে “ঐতিহাসিক” বলে বর্ননা করেছেনঃ

ঐতিহাসিক কিছু ঘটল। মিশরীয় ছিনতাইকারীকে “মুসলিম সন্ত্রাসী” না বলে “মানসিক বিকারগ্রস্ত” বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

এবং ফটোসাংবাদিক পাট্রিক বাজ মজা করে টুইট করেছেনঃ

আমরা অবশেষে এই বলে উদযাপন করতে পারি যে প্রথমবারের মতো একজন মুসলিম ছিনতাইকারীকে সন্ত্রাসী বলে ঘোষণা না দিয়ে “মানসিক বিকারগ্রস্ত” বলা হয়েছে।

কিন্তু তারপরেও ইসলামের নামে কিছু রটানো হল। মোহাম্মদ আলআরাইমি অবাক হয়েছেনঃ

এটা কীভাবে সম্ভব যে একজন অজ্ঞ ব্যক্তি কিছু একটা করবে আর আপনার প্রথম কাজটিই হল সে জন্য ইসলামকে দোষারোপ করা?

এবং সাংবাদিক মোহাম্মদ এল দিশান এখনও সুবিচার দেখার প্রত্যাশী। তিনি টুইট করেছেনঃ

এই মুহূর্তে যদি সত্যিকার অর্থে বলিঃ তাঁর উদ্দেশ্য কি “সন্ত্রাসবাদ” ছিল না?? আমি আশা করবো তাঁকে সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদান করা হবে। কেননা তিনি একটি বিমান ছিনতাই করেছেন।