
কাঠমুন্ডুর ট্রায়াঙ্গোলিজম। ইতালিয় রাস্তা শিল্পী রিকার্ডো টেন কলম্বো ভূমিকম্পে ভেঙ্গে পড়া ভবনে সমবাহু ত্রিভুজ এঁকেছেন। ছবিঃ সুনিল শর্মা। অনুমতি নিয়ে ব্যবহৃত।
কাঠমুন্ডুর রাস্তাগুলো এখন একটি নতুন ধরণের শিল্পকর্মের জন্য ক্যানভাস হয়ে উঠেছে – আর তা হচ্ছে, এপ্রিল ২০১৫ তারিখে ভূমিকম্পে ভেঙ্গে পড়া জীর্ণ ভবনের সম্মুখে আঁকা সমবাহু ত্রিভুজ এর চিত্র।
নেপালের বিভিন্ন শিল্পী, চলচ্চিত্র নির্মাতা, আলোকচিত্রী, কর্মী এবং অন্যান্য সৃজনশীল মানুষের জন্য সত্য মিডিয়া কালেকটিভ আর্টস নামক একটি রিসোর্স সেন্টারের সহযোগিতায় ইতালিয় সড়ক চিত্রশিল্পী রিকার্ডো টেন কলম্বো কাঠমুন্ডুর থামেল, ফ্রিক স্ট্রিট এবং বসন্তপুর এলাকাগুলিতে সমবাহু ত্রিভুজের চিত্র অংকন করেছেন। স্থানীয় শিল্পী রুপক রাজ সানিয়ার, যিনি থুগুছিয়া নামেও পরিচিত, এ কাজে সহযোগিতা করেছেন।
রিকার্ডোর মতে, সমবাহু ত্রিভুজটি দৃঢ়তা ও শক্তির প্রতীক এবং প্রতিবেশীদের বলিষ্ঠ ভবিষ্যৎ নির্মাণের জন্য একটি অভিলাষও।
৭.৮ মাত্রার সেই ভূমিকম্পে প্রায় ৯,০০০ জন মানুষ নিহত হয় এবং অসংখ্য ভবন গুড়িয়ে যায়। রিকার্ডো বলেন, তিনি এই বিয়োগান্ত ঘটনায় নেপালি জনগণের স্থিতিস্থাপকতা দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিলেন। তিনি স্মরণ করেছেনঃ
এখানে, যেখানে বাসিন্দারা তাদের আত্মীয়, বন্ধু, তাদের ঘরবাড়ী ও সর্বস্ব হারিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে তাঁরা এখন পুনঃনির্মাণের কাজ করছেন। আমি কাছাকাছি আসতেই দেখলাম আর স্তব্ধ হয়ে গেলাম, আমি সত্যিই বুঝতে অক্ষম যে কি পরিমাণ সেটা নাড়া দিয়ে গেছে। একজন লোক আমাকে স্মিত হেসে কিছু গাদা করে রাখা ইঁট দেখিয়ে চিৎকার দিয়ে বললেন, “আমার বাড়িতে স্বাগতম।” সে সময় আমি ধ্বংসস্তুপের উপর প্রথম ত্রিভুজের ছবি আঁকি।
থুগুছিয়া বলেছেন, রিকার্ডোর সঙ্গে কাজ করা ছিল একটি “বিরাট” সুযোগ।
সত্য মিডিয়া আর্টস কালেকটিভ সেন্টারটি বর্তমানে কাঠমান্ডুকে একটি “খোলা গ্যালারীতে” রুপান্তর করতে কলর কাঠমান্ডু নামের একটি প্রকল্প চালিয়ে যাচ্ছে। তাই আরো রাস্তা শিল্পের জন্য নেপালের উপর নজর রাখুন।