
তিন টুকরো শুকরের মাংসের সাথে রামেন। ছবি নেয়া হয়েছে ফ্লিকার ব্যবহারকারী ইউকা০৩১০ থেকে। সিসি বিওয়াই ২.০ নিবন্ধনের আওতায় প্রকাশিত।
জাপানি খাবার হিসেবে বিশ্ববাসী জানে সুশির কথা। কিন্তু খোদ জাপানের সবচে’ জনপ্রিয় খাবার হচ্ছে রামেন।
রামেন হলো এক বাটি নুডলস, ফালি করে কাটা মাংস, সবজি এবং ধোঁয়া ওঠা ঝোলের সমন্বয়ে একটি খাবার। এটি দুপুরের প্রধান খাবার হিসেবে খাওয়া হয়ে থাকে। আবার রাতে আকণ্ঠ মদ পান করার পরেও খাওয়া হয়।
জাপানি খাদকরা নুডলসকে শিল্পের পর্যায়ে উন্নীত করেছে। দেশটিতে নানা ধরনের রামেন পাওয়া যায়। তবে এটা নির্ভর করে কীভাবে বানানো হচ্ছে এর উপর। আবার অঞ্চল ভেদেও রামেনের বৈচিত্র্য দেখতে পাওয়া যায়। যেমন হোক্কাইডোর উত্তরাঞ্চলের সাপ্পোরো এবং দক্ষিণ-পশ্চিাঞ্চলের ফুকুয়াকার নামের রামেন। তারা তাদের নিজেদের মতো করে রামেনের সংস্করণ করে নিয়েছে।
ইতোমধ্যে রামেন নিয়ে জাপানের অনেকগুলো ব্লগ এবং বইপত্র প্রকাশিত হয়েছে।
রামেন ওয়াকার সাময়িকী রামেনের নমুনা সংগ্রহ ও তালিকা তৈরি করে থাকে। তারা জাপানের কোথায় কোথায় রামেন রেস্টুরেন্ট আছে, তার একটি অনলাইন মানচিত্র তৈরি করেছে।
সাময়িকীটির টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে নিয়মিতভাবে রামেনের ছবি এবং রামেন রেস্টুরেন্টগুলো টুকরো রিভিউ প্রকাশ করে থাকে।
東京・日野市の「麺・DINING 毘沙門天」で、鶏そば 塩 並盛り680円。 pic.twitter.com/h9KdNocfKm
— ラーメンWalker (@ramenwalker) February 28, 2016
আজকে আমরা বিসোমেনটেন নুডলস অ্যান্ড ডাইনিং হাউস-এ নোনতা ঝোলসহ মুগরির রামেন খেলাম। দাম পড়লো ৬ মার্কিন ডলার। (হিনো সিটি, টোকিও)।
埼玉・朝霞「中華蕎麦 瑞山」にて、しおそば730円 pic.twitter.com/eRJE2SvvKV
— ラーメンWalker (@ramenwalker) February 27, 2016
বাকহোয়েট নুডলস হাউস “সিজনে” নোনতা ঝোলের মধ্যে রামেন। দাম পড়লো ৬.৫০ মার্কিন ডলার। (আসাকা, সাইতামা)।
埼玉「寿製麺 中華そば よしかわ」の、今年1月にオープンした川越店にて。中華そば750円 pic.twitter.com/lUbAnb8mJi
— ラーメンWalker (@ramenwalker) February 26, 2016
কাওয়াগোয়ের নতুন ঠিকানায় ইয়োশিকা রামেন। দাম পড়লো ৬.৫০ মার্কিন ডলার। (সাইতামা)।
রামেন খাদকের তালিকায় কারা নেই, সবাই আছেন- ব্যস্ত রেলস্টেশনের টং টাইপের দোকানের বাইরে দাঁড়িয়ে খাওয়া লোক যেমন আছেন, তেমনি আছেন পুরোদমে জমকালো রেস্টুরেন্ট বা চীনা রেস্তোরাঁয় খান এমন লোকও।
জাপানের অনেক শহরেই স্ট্রিট ফুড বা রাস্তার খাবার সংস্কৃতি রয়েছে। রাস্তার খাবারগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো রামেন।
কিছু রামেন রন্ধনশিল্পী রয়েছেন, যারা একটি ট্রাক প্রয়োজন অনুযায়ী পরিবর্তিত করে প্রতি রাতে সেটায় করে রামেন রান্না করে নিয়ে এসে বিক্রি করেন। অনেকটা ছবির এই ট্রাকের মতো। ট্রাকটি সরুগা রুটে নিয়মিত চলাচল করে:
[#ぷらっと静岡] 敦賀屋台ラーメン「池田屋ごんちゃん」なう(*´﹃`*) pic.twitter.com/ub3yexDYLi
— かわうそ@東京みのりんピック! (@kawauso100310) March 6, 2015
ফুকাইয়ের সরুগায় রামেন ট্রাক।
জাপানে ইযোকোহামা রামেন জাদুঘরও রয়েছে। জাদুঘরটি জাপানের রামেনের ইতিহাস তুলে ধরার পাশাপাশি ১৯৫৮ সালের রামেনও পুনরায় তৈরি করেছে। উল্লেখ্য, ১৯৫৮ সাল জাপানের রামেনের জন্য একটি স্মরণীয় সাল। ওই সালে নিশিন কোম্পানি পৃথিবীর প্রথম ইনস্ট্যান্ট রামেন বিক্রি শুরু করে।
১৯৫৮ সাল জাপানিদের জন্য একটা স্মৃতিবিজড়িত বছর। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর তখন জাপানের নবনির্মাণ শুরু হয়েছিল। মানুষজনও পুঁজিবাদী সমাজের সমৃদ্ধির সাধ পেতে শুরু করেছিল।
রামেন ওয়াকারের মতো টোকিও রামেন জাদুঘর টুইটারে অতটা সক্রিয় নয়। তবে তাদের ইনস্ট্রাগ্রাম অ্যাকাউন্টে ৩০টিরও বেশি ছবি আপলোড করেছে।
昭和33年の街並。レトロでノスタルジック! #ラーメン#ラーメン博物館 #レトロ #昭和30年代 #shouwa #retoro
A photo posted by 新横浜ラーメン博物館(ramen museum) (@ramenmuseum) on
জাপানের রাস্তার ছবি। এটা দেখতে অনেকটা ১৯৫৮ সালের মতো। বেশ পুরোনো। আমাদের স্মৃতিকাতর করে তোলে।
লেখটা পড়ে যদি আপনার ক্ষুধা বেড়ে যায় এবং চুকামেন বা চীনা নুড়লস সম্পর্কে আরো জানতে চান, তাহলে জাপানের সেরা রামেন ব্লগারদের লেখা পড়ে দেখতে পারেন।