কিস্তিমাতঃ সৌদি আরবের গ্রান্ড মুফতির দাবার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা

Chess pieces – left to right: king, rook, queen, pawn, knight and bishop. Photograph by Alan Light, from Wikipedia, used under CC BY-SA 3.0

দাবা খেলার গুটিসমূহ, বাম থেকেঃ রাজা, নৌকা, রানী, সৈন্য, ঘোড়া এবং হাতি। ছবি এ্যালান লাইটের, উইকিপিডিয়া থেকে নেওয়া, সিসি বাই-এসএ ৩.০ থেকে নেওয়া।

সৌদি আরবের গ্রান্ড মুফতি আব্দুলআজিজ আল শেখ দাবার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। টেলিভিশনে এক প্রশ্নোত্তর পর্বের অনুষ্ঠানে, যেখান এক দর্শকের করা প্রশ্নের জবাবে কৌশলের এই খেলাকে তিনি সময় নষ্ট করার খেলা যা জুয়াকে উৎসাহিত করে এবং খেলোয়াড়দের মাঝে ঘৃণা সৃষ্টি করে বলে উল্লেখ করেন।

এই ভিডিও, যা ইউটিউবে আপলোড করা হয়েছে,তা টুইটারে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার জন্ম দেয়, যেখানে নাগরিকেরা ফাতোয়া এবং সৌদি আরবের জীবন নিয়ে রসিকতা করে, যে দেশটিতে বিশ্বের অন্যান্য অনেক দেশের প্রতিদিনের দৈনন্দিন নিশ্চিত অধিকার নিষিদ্ধ, আর নিষিদ্ধের এই তালিকায় রয়েছে মেয়েদের গাড়ি চালানো থেকে শুরু করে সিনেমা দেখা পর্যন্ত।

#مفتي_المملكه_يحرم_لعبه_الشطرنج, আরবী এই হ্যাশট্যাগ, যার অর্থ হচ্ছে “সৌদি আরবের মুফতি দাবা খেলা নিষিদ্ধ করেছে”, এর মাধ্যমে সৌদি আরবের দীর্ঘ নিষিদ্ধের তালিকা নিয়ে মজা করছে:

নাসের আল সেহালি লিখেছে:

দাবা সম্বন্ধে তিনি কি জানেন? তিনি মনে করেন যে দাবা হচ্ছে এক জুয়া খেলা যেমন তার কাছে সিনেমা মানে ডিস্কো!!

মুনি টুইট করেছে:

তিনি নিষিদ্ধ উপাদানের তালিকাকে আরো বড় এবং দাবাকে আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ করার কথা ঘোষণা করবেন, কারণ দাবা খেলা সময়, পরিশ্রম, এবং অর্থের অপচয়। আমরা যদি মারা যাই তাহলে বিষয়টি আরও বেশী অর্থবহ হবে।

আর হাতেম রসকিতা করেছে:

মনে হচ্ছে ছোট বেলা থেকে সৌদি আরবের মুফতি এই খেলায় কেবল হেরেছেন, আর এই কারণে তিনি এই খেলা নিয়ে উদ্বিগ্ন, তাই তিনি এই খেলাটিকে নিষিদ্ধ করতে চান।

অন্যরা এক রক্ষণশীল রাজতান্ত্রিক শাসনের মাঝে বিনোদনের সুযোগ কমতে থাকার বিষয় নিয়ে অভিযোগ করেছে, যেখানে ওয়াহাবী মতবাদ হচ্ছে রাষ্ট্রীয় মতবাদ, জিহাদপন্থী দল আইএসআইএসও-একই মতের অনুসারী:

দেমা লিখেছে:

আমরা খেয়াল করে দেখেছি যে, এই দেশে সকল ধরণের বিনোদন নিষিদ্ধ। জীবনের জন্য যা যা উপভোগ্য, এখানে সে সব কাজ করার অনুমতি নেই। !

নুরা আল মোসাউয়ি এতে যোগ করেছে:

যে সমস্ত বিষয় হালাল, এখন একজন সব হিসেব করবে।

আর অন্যেরা আরো বড় পরিসরে আলোচনা করেছে, সেখানে জীবনের অন্য সব প্রেক্ষাপট নিয়ে তারা অভিযোগ করেছে, তারা বলছে ধর্মীয় নেতারা এই সমস্ত বিষয়ে চোখ বন্ধ করে রয়েছে :

কি কি নিষিদ্ধ হবে? দাবা অথবা দমন নিপীড়ন অথবা স্বৈরশাসন?

এবং এই টুইটার একাউন্টের একটি প্রশ্ন রয়েছে:

দাবা নিষিদ্ধ,কিন্তু ইয়েমেনের ৮,০০০ নিষ্পাপ সাধারণ নাগরিকের রক্ত, যাদের উপর বোমা বর্ষণ করা হয়েছে, সেটা …

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .