ক্রাউডসোর্স ভিত্তিক ফটোগ্রাফি ওয়েবসাইটে উঠে এলো মিয়ানমারের দৈনন্দিন জীবনের সৌন্দর্য

 Life of Ferry Boats Yangon, MMR. 2015 © Thet Paing Htay

ফেরি নৌকায় জীবন। ছবি তুলেছেন থেত পেইং হিতায়। ফিচারড কালেকটিভ থেকে নেয়া হয়েছে। ইয়াঙ্গুন, মিয়ানমার, ২০১৫। ক্রিয়েটিভ কমন্স লাইসেন্সের আওতায় প্রকাশিত।

সম্প্রতি মিয়ানমারে ফিচারড কালেকটিভ নামের একটি ফটো ব্লগিং ওয়েবসাইট চালু হয়েছে। সাইটটি মিয়ানমারের সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনের ছবি তোলার জন্য ফটোগ্রাফারদের উৎসাহিত করছে।

এই সাইটের পিছনের মানুষ হলেন ফটোগ্রাফার চিট মিং মং। গ্লোবাল ভয়েসেস-এর সাথে এক সাক্ষাৎকারে তিনি প্রজেক্টটির পিছনের কথা তুলে ধরেছেন। তিনি জানিয়েছেন, এরকম একটি অনলাইন ওয়েবসাইট করার কারণ হলো মিয়ানমারের ফটোগ্রাফারদের সৃজনশীলতা তুলে ধরা এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে তাদের যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা করা। তিনি বলেন:

In Myanmar, we usually shoot landscapes and portraits and we don't make much choices. So, my friend Thiha Soe and I wanted to show that we still have different types of photography other than those two.

মিয়ানমারে আমরা সাধারণত ল্যান্ডস্কেপ এবং পোট্রেট ছবি তুলি। এর বাইরে আমাদের তেমন কোনো পছন্দ নেই। তাই আমি আর আমার বন্ধু থিহা সয়ি মিলে পরিকল্পনা করি, আমরা দুজনে ভিন্ন ধরনের ছবি তুলবো, যা অন্যরা তোলেনি।

মিয়ানমার আগে বার্মা নামে পরিচিত ছিল। দেশটি গত ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে সামরিক শাসনের অধীনে ছিল। ২০১০ সাল থেকে গণতন্ত্রের দিকে যাত্রা শুরু করে। সামরিক শাসনামলে দেশটির কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও জীবনযাত্রার সাথে বাকি বিশ্বের যোগাযোগ ছিল না। গত বছরে মিয়ানমারে ঐতিহাসিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে বিরোধী দল সেনা সমর্থিত সরকারি দলকে পরাজিত করে। মিয়ানমারের সাধারণ মানুষ আশা করছেন, এই নির্বাচনী ফলাফলের মধ্যে দিয়ে দেশটি নতুন যুগে প্রবেশ করবে।

আগামী কয়েক মাসের মধ্যে মিয়ানমার আরো সংস্কারের আশা করছে। এজন্য তারা প্রস্তুতিও নিচ্ছে। আর এজন্যই ফিচারড কালেকটিভ-এর মতো ওয়েবসাইটের দরকার; যেখানে সাধারণ মানুষের জীবনে যে পরিবর্তন আসছে, তার তথ্যচিত্র সংগ্রহ করে রাখবে।

এই ফটো ব্লগের বৈশিষ্ট্য হলো, দেশ এবং দেশের বাইরের ফটোগ্রাফারা এখানে ছবি ব্লগ ও ছবি প্রকাশ করে থাকেন। উদাহরণ হিসেবে একটি ফটো ব্লগের কথা বলা যায়, যেখানে কাঠের পুঁতির কাজ করছেন এমন একজন মানুষের সিরিজ ছবি প্রকাশিত হয়েছে।

Myanmar photography 1

ছবি তুলেছেন থুওয়েন। ফিচারড কালেকটিভ থেকে নেয়া হয়েছে। স্বত্ত্ব: থুওয়েন। ক্রিয়েটিভ কমন্স লাইসেন্সের আওতায় প্রকাশিত।

ফটো প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে:

ပုတီးဟာ မြန်မာလူမျိုးတွေရဲ့ မရှိမဖြစ်အသုံးအဆောင်ပစ္စည်းဖြစ်ပါတယ်။ အမျိုးသမီးများရဲ့ အဆင်တန်ဆာအဖြစ် အသုံးပြုခဲ့ကြခြင်းကတော့ အထင်အရှားပါပဲ။ လွန်ခဲ့တဲ့ နှစ်ပေါင်း ၂၀၀၀ ကျော် ပျူခေတ်က ပျူပုတီးတွေဟာ ထင်ရှားတယ်။… အဆင်တန်ဆာပုတီးကိုသာ ကင်းအောင်နေနိုင်သူရှိချင်ရှိမယ်။ စိပ်ပုတီးကိုတော့ မြန်မာလူမျိုးတိုင်း မကင်းနိုင်ကြပါဘူး။… စိပ်ပုတီးကို အများဆုံးပြုလုပ်တာကတော့ သစ်သားနဲ့ပါ။ အထွတ်အမြတ်အနေနဲ့မို့ မွှေးရနံ့သင်းတဲ့ နံ့သာဖြူ၊ နံ့သာနီ၊ ကရမက်အသားတွေနဲ့လည်း ပြုလုပ်တယ်။… တစ်ပြည်လုံးအတွက် စိပ်ပုတီးတွေကို မန္တလေးက ပြုလုပ်ဖြန့်ချိတာများပါတယ်။… ပုတီးစေ့တွေကို ပန်းပွတ်စက်နဲ့ပြုလုပ်ပြီး ကျလာတဲ့ လွှစာမှုန့်တွေ ပုတီးဖောက်ပြီး အသားပြားလေးတွေကလည်း ပစ်စရာမလိုဘူး။ တစ်နှစ်လုံးစာစုထားပြီး တပို့တွဲလ မဟာမုနိဘုရားကြီးပွဲတော်ရောက်တော့ တပို့တွဲလဆန်း ၁၄ ရက်က လပြည့်အကူး အရုဏ်တက်မှာ ရုပ်ရှင်တော်မြတ်ကြီးကို မီးပုံးထင်းပူဇော်တော့ ဒီပစ္စည်းတွေနဲ့ မီးပုံးထင်းအဖြစ်ပူဇော်ကြတာပါ။…”

মিয়ানমারের মানুষদের কাছে কাঠের পুঁতি একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। এটি নারীদের এক ধরনের অলংকার। প্রায় দু'হাজার বছর আগে থেকেই এটি বিখ্যাত। […] যদিও সবাই কাঠের অলংকার পরেন না, তবে মিয়ানমারের বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের প্রতিটি মানুষের কাছে মেডিটেশন পুঁতি গুরুত্বপূর্ণ। […] মেডিটেশন পুঁতি সাধারণত কাঠ দিয়ে বানানো হয়। এটাকে পবিত্র বস্তু হিসেবে গণ্য করা হয়। এজন্য এতে সুগন্ধি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। […] মান্দালয় দেশটির প্রধান পুঁতি শিল্প কেন্দ্র। এখানকার উৎপাদিত পুঁতি সারাদেশে বিক্রয়ের জন্য সরবরাহ করা হয়। […] শুধুমাত্র জপমালার জন্য সুগন্ধি কাঠের পুঁতি বানানো হয় না। পবিত্র উৎসব হিসেবে পরিচিত দ্য পো টিউই-এর সময়ে এটি ব্যবহার করা হয়।

আমাদের কিছু প্রিয় ছবি আছে, যেখানে মিয়ানমারের রাস্তার দৈনন্দিন চিত্র ফুটে উঠেছে। এর বাইরেও আরো চমৎকার সব ছবি রয়েছে। সেগুলো দেখতে ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারেন।

ছবি তুলেছেন হেইন কিয়াও। ফিচারড কালেকটিভ থেকে নেয়া হয়েছে। শৈশব, মান্দালয়, মিয়ানমার ২০১৫। ক্রিয়েটিভ কমন্স লাইসেন্সের আওতায় প্রকাশিত।

Myanmar photography 3

ছবি তুলেছেন থান্ট মিন টান। ফিচারড কালেকটিভ থেকে নেয়া হয়েছে। মান্দালয়, মিয়ানমার ২০১৬। ক্রিয়েটিভ কমন্স লাইসেন্সের আওতায় প্রকাশিত।

tumblr_nzpqi0LV2v1ug1uzyo1_1280

ছবি তুলেছেন থান্ট জাও। ফিচারড কালেকটিভ থেকে নেয়া হয়েছে। কফি শপ। ইয়াঙ্গুন, মিয়ানমার ২০১৫। ক্রিয়েটিভ কমন্স লাইসেন্সের আওতায় প্রকাশিত।

Myanmar photography 5

ছবি তুলেছেন মায়াট থু। ফিচারড কালেকটিভ থেকে নেয়া হয়েছে। রাখাইন রাজ্য, মিয়ানমার ২০১৫। ক্রিয়েটিভ কমন্স লাইসেন্সের আওতায় প্রকাশিত।

Myanmar Photography 7

ছবি তুলেছেন জারনি ফিও। ফিচারড কালেকটিভ থেকে নেয়া হয়েছে। নবিস। লাসিও, শান রাজ্য, মিয়ানমার ২০১৫। ক্রিয়েটিভ কমন্স লাইসেন্সের আওতায় প্রকাশিত।

Myanmar photography 6

ছবি তুলেছেন জারনি ফিও। ফিচারড কালেকটিভ থেকে নেয়া হয়েছে। ইয়াঙ্গুন, মিয়ানমার ২০১৫। ক্রিয়েটিভ কমন্স লাইসেন্সের আওতায় প্রকাশিত।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .