
কুয়েতের এক দম্পতির তোলা সেলফি, যা তারা ইনস্টগ্রামে তুলে ধরে, সেটিকে বর্ণনা করা হয়েছে এভাবে যে এখন পর্যন্ত তোলা এটাই “এটি সবচেয়ে কাণ্ডজ্ঞানহীন সেলফি”। অন্য যে দুজন ব্যক্তি একই হোটেলের সামনে দাঁড়িয়ে নিজেদের ছবি তুলেছিল তাদের প্রথমে আটক করা হয় এবং পরে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
যে দুজন ব্যক্তি দুবাই-এর আগুনে জ্বলতে থাকা ৬৩ তলা দি এ্যাড্রেস হোটেলের সামনে তোলা সেলফির ছবি স্যোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিল, প্রথমে তাদের গ্রেফতার করা হয়-এরপর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়, এই সংবাদটি প্রদান করছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের নিজস্ব সংবাদ সংস্থা ডাব্লিউএএম-এ।
ডাব্লিউএএম-এর সংবাদ অনুসারে :
দুবাই-এর এটর্নী জেনারেল বলেছেন যে দেশটির আইন রক্ষকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা এক বিস্তারিত তদন্ত এবং পোস্ট করা ছবি পর্যালোচনা করে এই দুই তরুণকে ছেড়ে দেয় এবং সকল প্রত্যক্ষদর্শীর কথা শোনার পর এক মামলা দায়ের করা হয়।
এই দুই তরুণের বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘঠনের উদ্দেশ্যে এই কাজ করার কোন প্রমাণ না পাওয়ায় তদন্ত কর্মকর্তা এই মামলার সমাপ্তি টানেন।
এটর্নী জেনারেলে ব্যক্তিগত ভাবে সবাইকে সতর্কতার অনুশীলন করতে বলেছেন, তিনি বলেন সোশ্যাল মিডিয়ায় কোন কিছু পোস্ট করার ক্ষেত্রে সবাই বিবেচনার পরিচয় দেয় এবং যেন গুজব না ছড়ায়, কারো বিরুদ্ধে নিন্দা অথবা অন্য নাগরিকদের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ না করে, যাতে তাদের আইন ভাঙ্গার মত ঘটনার মুখোমুখি হতে না হয়।
গ্রেফতারকৃত ঐ দুই বাক্তি অথবা এ সব ছবি, যা তারা শেয়ার করেছিল তাদের সম্বন্ধে আর কোন সংবাদ পাওয়া যাচ্ছে না।
নববর্ষের আগের দিনের সন্ধ্যয়, একটি ৩০০ মিটার (১,০০০ ফুট) উচু হোটলে আগুন লেগে যায়, যা বিশ্বের সবচেয়ে উচু ভবন বুর্জ আল খলিফার কাছে অবস্থিত। এই আগুনের ঘটনায় অন্তত ১৬ জন ব্যক্তি আহত হয়েছেঃ
ইউটিউবের একজন ব্যবহারকারী কিরিল নেইঝামাকভ এই আগুনের ঘটনার দৃশ্য শেয়ার করেছে :
পেছনে জলন্ত হোটেলের সামনে দাঁড়িয়ে সেলফি তুলে নীচের বার্তা সহ তা ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করার পর কুয়েতের এক দম্পতিকে সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করার কারণে থানায় ডাকা হয়:
আমার প্রিয় দুবাই, শুভ নববর্ষ। পরম করুণাময়ের কাছে তোমার জন্য দোয়া করছি তুমি যেন নিরাপদে থাক। তুমি আমাদের সব সময় বিশাল আগুনের ফুলঝুরি দিয়ে আমাদের বিস্ময় উপহার দাও।
এই পোস্টে যে সমস্ত মন্তব্য ছিল তার মধ্যে ছিল “এটি সবচেয়ে কাণ্ডজ্ঞানহীন সেলফি” নামক এই মন্তব্য।
এই অগ্নিকাণ্ড সত্ত্বেও বুর্জ আল খলিফার কাছে বেশ বড় রকমের আতশবাজীর প্রদর্শন দেখা যায়।