মিয়ানমারে বিকল্প সংবাদ বিষয়ক ওয়েবসাইট হিসেবে পরিচিত ইরাবতীতে হেইন টেট-এর এই লেখাটি প্রকাশিত হয়েছে। গ্লোবাল ভয়েসেস-এর সাথে কনটেন্ট শেয়ারিং চুক্তির আওতায় পুনর্প্রকাশ করা হয়েছে।
আপনি যদি কখনো থানব্যায়ুজায়াত শহরতলির রোড ধরে পিছনের দিকে যান, তাহলে রূপালি আলোর ঝলকানিতে আপনার চোখ ধাঁধিয়ে যাবে। বলছি মিয়ানমারের মন (Mon) রাজ্যের পাঙ্গা খামারের লবণ চাষের কথা। প্রায় ১ হাজার একর ভুমি নিয়ে লবণ চাষের এই এলাকা। সমুদ্রের তটরেখা ধরে বিস্তৃত এই এলাকায় সমুদ্রের পানি ব্যবহার করে চাষীরা অপেক্ষাকৃত কম প্রথাগত ভাবে লবণ চাষ করে থাকেন।
রাজ্যের রাজধানী শহর থেকে মাত্র দু’ঘণ্টার রাস্তা। তারপরেই দেখা মিলবে এই লবণ চাষীদের। তারা গর্তে সমুদ্রের পানি জমিয়ে রেখে বাষ্পীভূত করার মাধ্যমে লবণ উৎপাদন করে থাকেন। ডিসেম্বর থেকে মে, এই কয় মাস লবণ উৎপাদনের মৌসুম। কারণ পানি বাষ্পীভূত করার জন্য পর্যাপ্ত সূর্যের আলো শুধুমাত্র এই সময়েই পাওয়া যায়।
দিগন্ত রেখা ধরে সারি সারি যে লবণ পুকুরের দেখা মেলে, স্থানীয় অধিবাসীরা একটা সময় এগুলো পরিচালনা করেছেন। কিন্তু এখন পরিস্থিতি ভিন্ন। স্থানীয় অধিবাসীরা আরো ভালো কাজের খোঁজে পার্শ্ববর্তী দেশ থাইল্যান্ডে চলে গেছেন। এখন লবণ চাষের সাথে যুক্ত হয়েছেন মিয়ানমারের ইরাবতী এলাকার চাষীরা।