আগ্নেগিরির অগ্নুৎপাতের ফলে জাপানে একটি নতুন দ্বীপের সৃষ্টি হয়েছে। এর অবস্থান প্যাসিফিক সাগরে। জাপানের দক্ষিণের দ্বীপগুলো থেকে অনেক অনেক দূরে। গত দুই বছর ধরে জাপানের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দ্বীপটি আগ্রহের কেন্দ্রস্থলে রয়েছে।
প্রকৃতপক্ষে নিশিনোশিমার অবস্থান ওগাসাওয়ারা দ্বীপে; টোকিও থেকে ১ হাজার কিলোমিটারের মতো দক্ষিণে। দ্বীপটির নিচে সাগরতলে বেশ বড়সড়ো আগ্নেয়গিরি রয়েছে। যা সমুদ্র সমতল থেকে ৩ হাজার মিটার পর্যন্ত বেড়ে যায়।
২০১৩ সালের নভেম্বর মাসে অগ্নুৎপাতের কারণে দুটো দ্বীপ জোড়া লাগে। এতে করে দ্বীপের আয়তন চারগুণ বেড়ে ২.৭ বর্গকিলোমিটারে দাঁড়ায়। তাছাড়া অগ্নুৎপাতের ফলে যে ছাই ভস্মের স্তুপ তৈরি হয়, তা সমুদ্র সমতল থেকে ১১০ মিটার পর্যন্ত উঁচু হয়।
জাপানের কোঅর্ডিনেটিং কমিটি ফর আর্থকোয়েক প্রটেকশন (জিএসআই) নিচের টুইটটি করেছে। গত দু’বছরে দ্বীপ কতটা বেড়েছে তা দেখা যাচ্ছে।
সাদা রেখায় মূল দ্বীপের সীমানা দেখা যাচ্ছে। আগ্নেয়গিরি’র অগ্নুৎপাতের কারণে ২০১৩ সালের ডিসেম্বর মাসে সৃষ্ট নতুন দ্বীপ নীল রেখা দিয়ে দেখানো হয়েছে। সময়ের সাথে সাথে দ্বীপ দুটো একত্রে মিশে যায়।
西之島の計測結果を公開しました 国土地理院は、平成27年12月9日に西之島周辺の空中写真を撮影し、面積、体積、最高標高を計測してそれらの結果等を公開します。 https://t.co/ggC8QGSNXq pic.twitter.com/nUMhzfP5uH
— 国土地理院地理地殻活動研究センター (@GSI_Research) January 8, 2016
নিশিনোশিমার নতুন সীমারেখার তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। ২০১৫ সালের ৯ ডিসেম্বর জিএসআই আকাশ থেকে দ্বীপটির একটি ছবি তুলেছে। সেখানে দেখা গেছে, গত দু’বছরে দ্বীপটি আয়তনে বেশ বেড়েছে।
অগ্নুৎপাতের নৈসর্গিক ছবি, দ্বীপের বেড়ে যাওয়া আয়তন এসব কিছু জাপানের মানুষদের কল্পনাশক্তিকে উসকে দিয়েছে।
নিশিনোশিমাকে নিয়ে একটি পেইজ বানানো হয়েছে। পেইজটি ইতোমধ্যে ২ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে। জাপানিজ সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং এবং মিম অ্যাগ্রিগেটর সাইট মাতোমি নেভারে আপডেট দেয়ার জন্য ডজনখানেক পেইজ রয়েছে।
গত দু’বছরের অগ্নুৎপাত কিছু অসাধারণ দৃশ্য উপহার দিয়েছে:
NHKの西之島のやつすげー! pic.twitter.com/YFj2jsUXbU
— ステフ (@iri_kazu3) December 30, 2015
এনএইচকের তোলা নিশিনোশিমার কিছু ছবি সত্যি অসাধারণ!
একবার যদি ২০১৩ সালের প্রথম অগ্নুৎপাতের সময়ে ফিরে যাই, তাহলে সেসময়ের জনপ্রিয় হওয়া একটি মিম দেখতে পাবো, যেখানে দ্বীপের নতুন আকারের সাথে কমিক ক্যারেক্টার স্নোপি’র তুলনা করা হয়েছে।
完全に一致 小笠原の新島、隣の西之島とつながった 上空から確認 – 朝日新聞デジタル (http://t.co/VrLcRhYhoH) http://t.co/SnjvuNNDYY pic.twitter.com/EGFJbOGFyT
— てっけん / Hayato Ikeya (@tekken8810) December 26, 2013
বর্তমানে দ্বীপ দু’টি (নিজিমা ও নিশিনোশিমা) একত্রিত হয়ে নতুন দ্বীপ গঠন করেছে। আপনি আকাশ থেকে এর প্রতিচ্ছায়া দেখতে পারবেন।
যদিও স্নোপি আকৃতি মাত্র কয়েক সপ্তাহ ছিল। ২০১৪ সালের জুলাই ও আগস্ট মাসে লাভা নির্গতের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।এরফলে দ্বীপটির পূর্ব দিকের আয়তন দ্রুত বেড়ে যায়।
কিছু দিন পর পরই আগ্নেয়গিরি’র অগ্নুৎপাতের অসাধারণ ছবি মিডিয়াতে প্রকাশিত হয়েছে।
প্রতিটি মুহূর্তে ঢেউয়ে, পানির তোড়ে দ্বীপের তটরেখা ভেঙ্গে পড়ে। ফলে দ্বীপের আয়তন হ্রাস পায়।
西之島、ちょっとスリムに 火山活動一段落で溶岩減る https://t.co/fHQ94JX4C1 今後は陸と海の生物がどのように増えていくか楽しみですね。
— 海洋環境研究室@鹿児島大学 (@kaiyou_kadai) January 9, 2016
অগ্নুৎপাতের পরে ভুমিধসের কারণে নিশিনোশিমাকে খানিকটা সরু মনে হচ্ছে […]। সবচে’ মজার ব্যাপার হবে, দ্বীপে কোন ধরনের উদ্ভিদ ও সামুদ্রিক জীবনধারা তৈরি হয় সেটা দেখা।
ডিসেম্বরের ২৯ তারিখের ছবিতে দেখা যাচ্ছে, নিশিনোশিমা’র উপরের অংশ লাভা প্রবাহ এবং ভস্মে ভরে আছে। সামনের কোনো একটা সময়ে অগ্নুৎপাত বন্ধ হলে এগুলো দ্বীপের আয়তন বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে।
【西ノ島の火山活動小康状態】 海上保安庁h発表によると、2年もの間噴火し続け,約4億トン以上の溶岩を噴き出していた西之島はその活動を休止している模様だとしています。 12月22日の西之島 11月17日の西ノ島 pic.twitter.com/77pDR1PVnl
— 八坂 類 (@SAREMUNOOKA) December 29, 2015
জাপানের কোস্ট গার্ডের ভাষ্যমতে, আশা করা হচ্ছে, একটা সময়ে আগ্নেয়গিরি ঠাণ্ডা হয়ে আসবে, তখন নিশিনোশিমার চার টনের মতো বিশাল বিশাল ভস্মের বোল্ডার সরানো সম্ভব হবে।