- Global Voices বাংলা ভার্সন - https://bn.globalvoices.org -

সামাজিক মাধ্যমগুলোতে ‘চরমপন্থার আহ্বান’ জানানোয় মানবাধিকার কর্মীর দু'বছরের সাজা

বিষয়বস্তু: পূর্ব ও মধ্য ইউরোপ, রাশিয়া, আইন, ডিজিটাল অ্যাক্টিভিজম, তাজা খবর, নাগরিক মাধ্যম, প্রতিবাদ, বাক স্বাধীনতা, সেন্সরশিপ, রুনেট ইকো, জিভি এডভোকেসী
Darya Polyudova at a single-person picket. Image from her VKontakte page.

একক-ব্যক্তির সমাবেশে দারিয়া পলিউদোভা। ছবি তার ভিকন্টাক্টের পাতা থেকে।

ক্রাসনোদার জেলার একটি আদালত দারিয়াকে সামাজিক মাধ্যমগুলোতে ‘বিচ্ছিন্নতাবাদ ও চরমপন্থার গণ আহ্বান’-এর দায়ে দোষী সাব্যস্ত করেছে এবং একটি বন্দীশালায় দু'বছরের শাস্তি প্রদান করেছে।

একটি ওভিডিইনফোডটঅর্গ প্রতিবেদন [1] অনুযায়ী বাদীপক্ষ প্রথমে পলিউদোভাকে ৩.৫ বছরের আটকাদেশের দাবী করেছিল।

তার আগে, পলিউদোভাকে রুশ ফেডারেশনের আঞ্চলিক অখণ্ডতা বিনষ্ট করার লক্ষ্য কাজ করতে গণ আহ্বান (২০১৪ সালে যুক্ত করা রুশ ফৌজদারী আইনের একটি নতুন ধারা ২৮০.১-এর অধীনে) এবং সামাজিক নেটওয়র্কগুলোতে চরমপন্থার আহ্বানসহ চরমপন্থার আহ্বানের অভিযোগে (ফৌজদারী আইনের ধারা ২৮০ এর খণ্ড ১ ও ২) অভিযুক্ত করা হয়।

এপ্রিলের ৪ তারিখে পলিউদোভা একক-ব্যক্তির সমাবেশে একটি ঝাণ্ডা নিয়ে যান যাতে লেখা ছিল ‘ইউক্রেইন-এর সাথে যুদ্ধ নয়, কিন্তু রাশিয়ার অভ্যন্তরে বিপ্লব! যুদ্ধ নয়, কিন্তু বিপ্লব!’ এবং পরে তিনি তার ভিকন্টাক্টের পাতায় ঐ ঝাণ্ডাসহ তার একটি ছবি প্রকাশ করেন। জুলাইয়ের ১৬ তারিখে পলিউদোভা তার ভিকে পাতায় একটি বার্তা পুনর্প্রকাশ করেন যার মধ্যে ‘জনগণ, জেগে উঠুন!… আমরা কেন পুতিনকে অপসারণ করতে পারছি না, এবং তারপর একটি সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব ঘটাতে পারছি না?!!! যথেষ্ট ঘুমিয়েছি! চত্বরে গিয়ে এই সরকারকে উৎখাত করার সময় এসেছে!’ জাতীয় কথাগুলো ছিল। পলিউদোভা নিজে বলেছেন যে তিনি শুধুমাত্র অন্যের কথাগুলো পুনর্প্রকাশ করেছেন এবং তার নিজের কোন মন্তব্য প্রকাশ করেন নি।

২০১৪ সালের ৫ই আগষ্ট তিনি ‘পুতিনের সাথে তার নিজের অস্ত্র দিয়েই লড়াই করার’ আহ্বান জানিয়ে এবং রাশিয়ার কুবান অঞ্চলটিকে ঐতিহাসিকভাবে একটি জাতিগত ইউক্রেনীয় অঞ্চল হিসেবে উল্লেখ করে তার ভিকন্টাক্টের পাতায় আরেকটি বার্তা প্রকাশ করেন।

২০১৪ সালের আগষ্ট-এ পলিউদোভা ‘কুবান রাষ্ট্রভূক্তকরণ পদযাত্রা’ বিক্ষোভ সমাবেশ-এ অংশ নেয়ার পর তার বিরুদ্ধে একটি ফৌজদারী মামলা দায়ের করা হয় [2]। কিন্তু দেখে মনে হচ্ছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কোবান অঞ্চলে জাতিগত ইউক্রেনীয়দের ভাগ্যের ব্যাপারে সামাজিক মাধ্যমগুলোতে পলিউদোভার প্রকাশ করা মন্তব্যগুলোর বিষয়েই প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। চরমপন্থার অভিযোগগুলো পরে যুক্ত করা হয়, এবং পলিউদোভাকে আনুষ্ঠানিকভাবে ২০১৫ সালের জানুয়ারী মাসে অভিযুক্ত করা হয়।

ক্রাসনোদারের এই মানবাধিকার কর্মী ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে ৬ মাসের প্রাক-বিচার সাজা ভোগ করেছেন, এবং ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারীতে তিনি ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার অধীনে মুক্তি লাভ করেন। তিনি পূর্বেও সামাজিক মাধ্যমগুলোতে তার অন্যান্য প্রকাশিত বার্তাগুলোর জন্য প্রশাসনিক দণ্ডে দণ্ডিত হয়েছিলেন।

মানবাধিকার আইনজীবি পাভেল চিকভ পলিউদোভাকে একটি রাজনৈতিক বন্দী হিসেবে উল্লেখ করেন এবং বলেন যে তার রায়টি ছিল রাশিয়াতে ভিন্নমতাবলম্বীদের বিরুদ্ধে কঠোর সাজা প্রদানের ঝোঁকের একটি অংশ যা শুরু হয়েছিল ইলদার দাদিনকে দিয়ে যাকে সম্প্রতি অননুমোদিত বিক্ষোভের জন্য তিন বছরের [3] কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।

আদালত দারিয়া পলিউদোভাকে দু'বছরের জন্য একটি বন্দীশিবিরে প্রেরণ করেছে। রাশিয়াতে আর একজন রাজনৈতিক বন্দী।

ফৌজদারী আইনের নতুন অনুচ্ছেদটির কল্যাণে প্রথম রায়েই সত্যিকার কারাদণ্ডের সাজা হয়ে যাচ্ছে। দাদিন ও পলিউদোভা।

রায়টি ঘোষণার পূর্বে, পলিউদোভা নিজেই একজন রেডিও লিবার্টীির সাংবাদিককে বলেছেন [6] যে তিনি খালাস পাবেন তা আশা করেন না এবং কারাগারে যেতে তিনি ভীত নন।