
২০১৫ সালের ৮ নভেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ঐতিহাসিক বিজয়ের পর বিরোধী দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির সমর্থকদের উল্লাস। ছবি তুলেছেন জে পেইং। সংবাদ বিষয়ক ওয়েবসাইট ইরাবতীর সৌজন্যে প্রাপ্ত।
মিয়ানমারে বিকল্প সংবাদ বিষয়ক ওয়েবসাইট হিসেবে পরিচিত ইরাবতীতে প্রকাশিত লেখার পরিমার্জিত সংস্করণ এটি। গ্লোবাল ভয়েসেস-এর সাথে কনটেন্ট শেয়ারিং চুক্তির আওতায় পুনর্প্রকাশ করা হয়েছে।
২০১৫ সাল ছিল মিয়ানমারের জন্য একটি ঘটনাবহুল বছর। দেশজুড়ে ব্যাপক বন্যা হয়েছে, জাতিগত দাঙ্গা ছিল বছরজুড়ে। তারপর নির্বাচনে ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি দলের ঐতিহাসিক বিজয়। ইরাবতীতে প্রকাশিত ছবিতে উঠে এসেছে মিয়ানমানের সারা বছরের ঘটনার পালাবদল।
১. জাতীয় শিক্ষা নীতির বিরুদ্ধে ছাত্রদের বিক্ষোভ। বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, এই নীতি কার্যকর হলে দেশটির স্বৈরশাসক আরো শক্তিশালী হবে।

দমনমূলক শিক্ষা নীতির প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করছে। ছবি তোলা হয়েছে ২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি মান্দালয়ের তুয়াংথা থেকে। আর ছবি তুলেছেন জে পেইং। সংবাদ বিষয়ক ওয়েবসাইট ইরাবতীর সৌজন্যে প্রাপ্ত।

২০১৫ সালের ১০ মার্চ পেগু বিভাগের লেতপাদানে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ আক্রমণ করে। ছবি তুলেছেন জে পেইং। সংবাদ বিষয়ক ওয়েবসাইট ইরাবতীর সৌজন্যে প্রাপ্ত।
২. শান্তি আলোচনা, যুদ্ধবিরতি চুক্তি সত্ত্বেও দেশটিতে জাতিগত দাঙ্গা অব্যাহত ছিল। গত কয়েক দশক ধরেই মিয়ানমারে গৃহযুদ্ধ চলছে। আর এই যুদ্ধে হাজার হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।

মো খিয়াও থেইন রেডক্রসে কাজ করেন। ২০১৫ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি কোকাং অঞ্চলে যুদ্ধের মাঝখানে পড়ে আহত হন। তাকে ধরাধরি করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ছবি তুলেছেন জে পেইং। সংবাদ বিষয়ক ওয়েবসাইট ইরাবতীর সৌজন্যে প্রাপ্ত।

মিয়ানমারের সেনাবাহিনী জোর করে এই নারীদের ঘরবাড়ি থেকে উচ্ছেদ করেছে। সরকারের যুদ্ধবিরতি চুক্তি প্রত্যাখান করায়, সেনাবাহিনী আদিবাসী কাচিন এবং শনদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করছে। ছবি তুলেছেন স্টিভ টিকনার। সংবাদ বিষয়ক ওয়েবসাইট ইরাবতীর সৌজন্যে প্রাপ্ত।
৩. বন্যা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ। বন্যার্তরা অভিযোগ করেছেন, সরকার খুব ধীরগতিতে সাহায্য পাঠিয়েছে। গত আগস্টে দেশটিতে ভয়াবহ বন্যা হয়েছিল।

চিন রাজ্যের লান থোক গ্রামের কাছে গানগাও-হাখা রাস্তা ধরে স্থানীয় অধিবাসীরা ত্রাণসামগ্রী বহন করে নিয়ে যাচ্ছেন। এই রাজ্যে ভয়াবহ বন্যা ও ভুমিধ্বসের ঘটনা ঘটেছিল। ছবিটি ২৮ আগস্ট ২০১৫-এ তোলা। ছবি তুলেছেন সাই জাও। সংবাদ বিষয়ক ওয়েবসাইট ইরাবতীর সৌজন্যে প্রাপ্ত।

বন্যায় ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়েছে। ইরাবতী বিভাগের ইয়াংডনের শহরের বাসিন্দারা নৌকায় করে যাতায়াত করছেন। ছবিটি সেপ্টেম্বর ২০১৫-এ তোলা। ছবি তুলেছেন হেইন টেট। সংবাদ বিষয়ক ওয়েবসাইট ইরাবতীর সৌজন্যে প্রাপ্ত।
৪. জাতি, ধর্ম বিষয়ক আইন স্বাক্ষর। মিয়ানমারে বৌদ্ধরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। দেশটির সংস্কৃতি ও জীবনাচরণ রক্ষায় ৪টি আইন স্বাক্ষরিত হয়েছে। তবে সমালোচকরা দাবি করছেন, ওই আইনগুলোতে মুসলিম এবং সংখ্যালঘুদের প্রতি সুবিচার করা হয়নি।

২০১৫ সালের ৪ অক্টোবরে জাতি ও ধর্ম রক্ষার দাবিতে মা বা থা নামে পরিচিত একটি সংগঠনের বৌদ্ধ ভিক্ষুরা রেঙ্গুনের থুয়ান্না স্টেডিয়ামে জড়ো হয়েছিলেন। আইন প্রনীত হওয়ায় তারা উৎসব করে সেটা বরণ করেন। কিছু সমালোচকদের মতে, ওই আইনে মুসলিমদের প্রতি বৈষম্য রয়েছে। ছবি তুলেছেন হেইন টেট। সংবাদ বিষয়ক ওয়েবসাইট ইরাবতীর সৌজন্যে প্রাপ্ত।
৫. সাধারণ নির্বাচনে ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি দলের ঐতিহাসিক বিজয়। সেনা সমর্থিত দলের বিরুদ্ধে বিরোধী দল নির্বাচনে ভূমিধ্বস বিজয় পেয়েছে। মজার ব্যাপার হলো, নির্বাচনে সাবেক রাজনৈতিক বন্দী, এনএলডি নেত্রী এবং নোবেল পুরস্কার বিজয়ী অং সান সু চি বিজয়ী হয়েছেন।

২০১৫ সালের ২৭ সেপ্টেম্বরে রিক্সাচালকরা এনএলডি দলের সমর্থনে রেঙ্গুনের মিনগালার তাওয়াং ইয়ান্টে প্রচারাভিয়ান চালায়। ছবি তুলেছেন জে পেইং। সংবাদ বিষয়ক ওয়েবসাইট ইরাবতীর সৌজন্যে প্রাপ্ত।

নভেম্বরে ৮ তারিখে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে নাইপাইদাও জাবুথিরি শহরের একটি ভোট কেন্দ্রে একজন নাগরিক ভোট দিচ্ছেন। ছবি তুলেছেন জে পেইং। সংবাদ বিষয়ক ওয়েবসাইট ইরাবতীর সৌজন্যে প্রাপ্ত।

নির্বাচনে ভোট দেয়ার পর একজন নারী হাতের কালির দাগ দেখাচ্ছেন। রেঙ্গুনের বাহন শহরে তোলা হয়েছে ছবিটি। ছবি তুলেছেন স্টিভ টিকনার। সংবাদ বিষয়ক ওয়েবসাইট ইরাবতীর সৌজন্যে প্রাপ্ত।
৬. সেনাপ্রধান ও অং সান সু চির মধ্যে ঐতিহাসিক বৈঠক অনুষ্ঠিত। অনেকে আশা করছেন, এই বৈঠক হওয়ার শান্তিপূর্ণ উপায়ে ক্ষমতা হস্তান্তর সম্পন্ন হবে।