[1]মিয়ানমার এখন খুবই সুন্দর একটি সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। কারণ, একটি আধুনিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত হবার জন্য যে সংস্কারের [2] প্রয়োজন সেটা তাঁরা অনুধাবন করছে। তবে মিয়ানমারের জন্য এই রূপান্তর প্রক্রিয়া বেশ কঠিন হবে, যেখানে দেশটি গত পাঁচ দশক ধরে সামরিক শাসনের অধীনে রয়েছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিৎ এই সংস্কারের জন্য দেওয়া চাপ অব্যাহত রাখা।
নভেম্বর মাসে সেখানে কি একটি অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচন সম্ভব হবে? সেনা পরিচালিত সেদেশের সরকার কি বিদেশি বিনিয়োগকে স্বাগত জানাবে? জাতিগত ও ধর্মীয় সংঘাতের মধ্যেই সেখানে ঐক্য ও শান্তি অর্জনের পরিকল্পনা কি?
আজ মিয়ানমারে কী ঘটছে সে সম্পর্কে আমাদের কভারেজ আরও উন্নত করার জন্য সে দেশের বিকল্প সংবাদ সরবরাহকারি নেতৃস্থানীয় মিডিয়া প্রতিষ্ঠান ইরাবতীর [3]সঙ্গে গ্লোবাল ভয়েসেস যৌথভাবে কাজ করার উদ্যোগ নিয়েছে।
১৯৯৩ সালে থাইল্যান্ডে নির্বাসিত বার্মিজ সাংবাদিকেরা ইরাবতী প্রতিষ্ঠা করেন। তাদের মধ্যে অনেকেই ১৯৮৮ সালের ঐতিহাসিক গণতন্ত্র বিপ্লবের নথিভুক্ত, সাক্ষী এবং সেই বিপ্লবে যোগদানকারী।
ইরাবতী পত্রিকাটি প্রথম স্বাধীন সংবাদ প্রকাশনা, যেটি বর্মি রাজনৈতিক ভিন্নমতাবলম্বী গ্রুপের অননুমোদিত। এর সমালোচনাধর্মী প্রতিবেদনের কারণে মিয়ানমারের সেনা শাসকগোষ্ঠী পত্রিকাটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে এবং কারও কাছে এর একটি কপি পাওয়া গেলে তাকে তাঁরা গ্রেফতার এবং কারারুদ্ধ করতে পারত।
২০০০ সালে ইরাবতী ওয়েবসাইটটি চালু হলে অবিলম্বে মিয়ানমারে তা অবরুদ্ধ করা হয়। পরবর্তী ১১ বছর যাবত দেশটিতে সাইটটিতে বন্ধ ছিল। ২০১১ সালে মিডিয়া নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হলে মিয়ানমারের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের কাছে অবশেষে ইরাবতী খুলে দেওয়া হয়। এদিকে, ২০১৩ সালে সারা দেশে পত্রিকাটির মুদ্রণ কপিও চালু করা হয়।
প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই নাগরিকদের গণতান্ত্রিক অবস্থার অংশ হিসেবে বিকল্প সংবাদ পরিবেশনে ইরাবতী প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। গণতন্ত্রের জন্য মুক্ত সংবাদপত্রের অপরিহার্যতায় এটি বিশ্বাসী:
গণতন্ত্রের প্রতি আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস রয়েছে এবং ফ্রি মিডিয়া ছাড়া একটি গণতান্ত্রিক সমাজ অসম্পূর্ণ বলে আমরা বিশ্বাস করি। পক্ষপাত ও প্রভাব থেকে মুক্ত থেকে স্বাধীন মিডিয়ার বিকাশে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষা ও সংরক্ষণ করা আমাদের কর্তব্য।
গ্লোবাল ভয়েসেস-এর সাথে অংশীদারিত্ব গ্রহণ করে আমরা অত্যন্ত খুশি। মিয়ানমার সম্পর্কে আরো ভালো এবং উদ্দীপক গল্প আমরা পাঠকদের কাছে তুলে ধরব বলে আশা রাখি।