পেরুতে জাকারুভাষীদের লক্ষ্য, তাদের এই বিপন্নপ্রায় ভাষাকে রক্ষা করা

Provincia de Yauyos. Imagen en Flickr del usuario Toni Fish (CC BY-NC-ND 2.0).

পেরুর ইয়াইয়োস প্রদেশ, জাকারু ভাষায় কথা বলা সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠীর বাসস্থান। ছবি ফ্লিকার ব্যবহারকারী টোনী ফিশ-এর (সিসি ২.০)।

লিমার টুপে জেলায়, রাস্তার চিহ্ন এবং সঙ্কেত গুলো দুটি ভাষায় লেখা হয়েছে, স্প্যানিশ এবং জাকারু ভাষায় লেখা- দ্বিতীয় ভাষাটি হচ্ছে আইমারা ভাষাগোষ্ঠীর একটি শাখা। বর্তমানে কেবল ৫৮০ জন ব্যক্তি এই ভাষায় কথা বলে, যাদের বেশীর ভাগ নারী।

নিজেদের মাতৃভাষা সংরক্ষণের জন্য জাকারুভাষীরা বেশ কিছু উদ্যোগ গ্রহন করেছে, ফেসবুকের একটি দল যারা নিজেদের পোর্টাল ইয়াইয়োস বলে দাবি করে, তারা যেমনটা নথিভুক্ত করেছে :

La comunidad de hablantes de este idioma está asentados principalmente en la provincia de Yauyos, en los centros poblados de Tupe, Aiza y Colca. Los letreros fueron colocados en las calles y en la municipalidad, las escuelas de Tupe, la I.E. Integrado San Bartolomé, la iglesia y el puesto de salud.

যে সম্প্রদায় এই ভাষায় কথা বলে তারা মূলত ইয়াওইয়াস প্রদেশে ঘাঁটি গড়েছে, টুপে, আইজা এবং কোলার কাছের গ্রামগুলোতে তাদের বাস । এই সঙ্কেতগুলো শহরের রাস্তায় এবং নগর পরিষদে, টুপের সান বার্তোলেম সংযুক্ত বিদ্যালয়, গির্জা, এবং গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে টাঙ্গানো হয়েছে।

একটি ওয়েবসাইট, যার নামও পোর্টাল ইয়াইয়োস, সেটি জাকারু ইউনিভার্সে এ সম্বন্ধে আরো বিস্তারিত জানাচ্ছে। :

Tupe, ubicado en la provincia de Yauyos, encierra un sinfín de saberes ancestrales, donde destacan su forma de vestir y el jaqaru, el idioma propio de este pueblo.
[…]
Lo más resaltante de Tupe es su idioma: el jaqaru, un legado para la humanidad que nació durante los primeros siglos de nuestra era. Etimológicamente significa “lengua humana”, puesto que proviene de los vocablos Jaqi (hombre o humano) y Aru (hablar o lengua).
En la actualidad el jaqaru posee una gramática que se enseña en la escuela. Así se asegura la continuidad de un idioma ancestral que ha sobrevivido de manera oral y que tiene 36 consonantes y tres vocales. Más sonidos que el quechua y el aimara juntos.

টুপে, যা ইয়াইয়োস প্রদেশে অবস্থিত, সেখানে রয়েছে পূর্বপুরুষদের কাছ থেকে পাওয়া অসীম জ্ঞান, তারা যেভাবে পোষাক পড়ে এবং স্থানীয় ভাষা জাকারু কথা বলে, তা এক উল্লেখযোগ্য বিষয় […]

টুপের সবচেয়ে অসাধারণ বিষয় হচ্ছে এর ভাষা, যার নাম জাকারু মানবতার এক ঐতিহ্য, এর উদ্ভব আমাদের সময়ের বিকাশের সাথে, প্রথম শতকে। উৎপত্তিগত ভাবে, এর মানে হচ্ছে মানব ভাষা, যা এসেছে মানব (জাকি) এবং কথা বলা অথবা ভাষা (আরু) থেকে।

বর্তমানে, জাকারু ভাষায় একটি ব্যাকরণ তৈরি করা হয়েছে, যা বিদ্যালয়ে পড়ানো হয়। এভাবে পূর্বপুরুষদের এই ভাষা, এক যা মৌখিক রূপে টিকে গেছে এখন নিশ্চিত ভাবে নিজেকে এক ভাষা হিসেবে পরিচয় দিতে পারে, যার রয়েছে ৩৬টি ব্যঞ্জনবর্ণ এবং তিনটি স্বরবর্ণ ( কেচুয়া এবং আইমারা দু'টি সম্মিলিত ভাষার চেয়ে বেশী)।

ডিসট্রিওটো ডে টুপে নামক ব্লগ অনুসারে এই শহরের নামের উৎপত্তিও জাকারু এক শব্দ থেকে :

Tupe proviene de la palabra Jaqaru, “Txupi”, que significa “juntos, tupido, pegado”, en este caso los cerros de Tupinachaka, Pupr´e, Wuaqaña y Kurgnichi, están juntos, pegados.

জাকারু শব্দ টুক্সপি থেকে টুপে নামের শব্দের উৎপত্তি, যার মানে হচ্ছে, “এক সাথে, ঘন হয়ে থাকা, অথবা চিন্তা করা”। এই এলাকার ক্ষেত্রে, টুপিনাচাকার তিনটি পর্বত পুপের, ওয়াকুয়ানিয়া এবং কুরগিনিচি একসাথে অবস্থান করছে –ঠিক একে অন্যের পাশে।

টুইটারে, জাকারু এবং যেভাবে জাকারু ভাষায় কথা বলা নাগরিকরা এই ভাষা সংরক্ষণ করছে সে সম্বন্ধে প্রায়শ তাজা সংবাদ প্রদান করা হয় :

এখানে জাকারু ভাষায় তৈরি করা সঙ্কেত ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা টুপে গ্রাম সম্বন্ধে আরো কিছু তথ্য পাব।

লিমার পার্বত্য এলাকা, টুপেতে সড়ক এবং সরকারি বিপনী বিতানে জাকারু ভাষায় লেখা সঙ্কেত ব্যবহার করা হয়েছে।

বার্তেলোমেয়া হোরেরা স্কুলের এক ছাত্র জাকারু ভাষায় লেখা একটা কবিতা আবৃত্তি করছে।

টুপে মানে জাকারু বিশ্ব। এখানে এলে সব জানতে পারবেন।

উত্তম বুদ্ধি বৃত্তিক চর্চা বিষয়ে আরো জানতে পাঠ করুন “রেজিস্ট্রো সিভিল বাইলিঙ্গুয়ে; পেরুর সরকারি নিবন্ধন জাকারু ভাষাকে উদ্ধার করেছে ”

ভাষাগত মানচিত্রের যে পটভূমিও সদা পরিবর্তনশীল এবং জাকারু ভাষা আমাদের ভাবাতে বাধ্য করেছে আইমারা গোষ্ঠীর অবস্থান ঠিক সেখানে নয়, যেখানে আমরা তাকে ভেবেছিলাম।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .