আমেরিকান বোমার কারণে যাওয়া অসম্ভব হলেও ড্রোনের দৌলতে এখন দেখা সম্ভব লাওসের এই ঐতিহাসিক জায়গা

Plain of jars in north Laos. Photo from the Flickr 

page of damien_farrell (CC License)

উত্তর লাওসের দ্য প্লেইন অফ জারস (কলসে ভরা সমতল)। ফটো ড্যামিয়েন_ফ্যারেল এর ফ্লিকার পৃষ্ঠা থেকে (সিসি লাইসেন্স)।

নতুন ড্রোন ফুটেজ থেকে পাওয়া উত্তর লাওসের রহস্যময় দ্য প্লেইন অফ জারসের (কলসে ভরা সমতলভূমি) উপর থেকে তোলা দুর্লভ ছবি

জিয়েং খোউয়াং প্রদেশ জুড়ে ছড়িয়ে আছে ২০০০ এরও বেশি পাথরের কলসি যেগুলো ২০০০ বছর পুরনো বলে মনে করা হয়। বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞের ধারণা যে এগুলি কোনও এক অজ্ঞাত সভ্যতার রেখে যাওয়া শবের ভস্মাধার। এই পুরাতাত্ত্বিক স্থানটি দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার জন্য একটি প্রাসঙ্গিক ও অনন্য জায়গা হলেও এটিতে তেমন ভাবে কখনো কোনও অনুসন্ধানের কাজ করা হয়নি কারণ এই এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে আছে ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় আমেরিকানদের ফেলে যাওয়া অসংখ্য অবিস্ফোরিত প্রাণঘাতী বোমা।

ভিয়েতনামের প্রতিবেশী লাওস ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বোমাবর্ষণ করা দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষস্থান দখল করেছিল। ১৯৬৪ থেকে ১৯৭৩ সালের মধ্যে প্রায় ২০ লক্ষ বোমা লাওসে ফেলা হয়েছিল কিন্তু তার মধ্যে ৩০ শতাংশ ফাটেনি। আজও এই অবিস্ফোরিত বোমাগুলো লাওসের কৃষকদের আহত ও নিহত করে।

লাওসের আরও বহু প্রদেশের মত দ্য প্লেইন অফ জারসেও অসংখ্য ল্যান্ডমাইন ও বোমা ছড়িয়ে থাকায় এই রহস্যময় প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলো প্রত্নতাত্ত্বিকরা পরীক্ষা করে দেখতে পারেননি।

দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার প্রত্নতত্ত্বের নিউজব্লগ এই কলসিগুলির তাৎপর্য কি এবং কেন বৈজ্ঞানিকরা এই প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান আরও ভালোভাবে অনুসন্ধান করতে পারছেন না সেটা বিশদ করেছে :

The mysterious plain of jars in Northeastern Laos is still one of the biggest uninvestigated archaeological sites in Southeast Asia—largely uninvestigated because of the huge amount of cluster bombs dropped there by US forces 40 years ago. From what little that has been investigated, it seems that the jars were places of transition in the funerary rite where bodies were left to decompose before going through a final burial.

উত্তরপূর্ব লাওসের রহস্যময় দ্য প্লেইন অফ জারস এখনো দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার বৃহত্তম অপরীক্ষিত প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানগুলির অন্যতম – অপরীক্ষিত থাকার মূল কারণ হল ৪০ বছর আগে মার্কিন শক্তির সেখানে বর্ষণ করা অসংখ্য ক্লাস্টার বোমা। যেটুকু পরীক্ষা করা হয়েছে তাতে মনে হয় সেগুলি অন্ত্যেষ্টি ক্রিয়ার রূপান্তরের স্থান হিসাবে ব্যবহার করা হত যেখানে চূড়ান্তভাবে সমাধিস্থ করার আগে দেহ পচনের জন্য রেখে দেওয়া হত।

কিন্তু এখন অত্যাধুনিক প্রযুক্তির দৌলতে ড্রোন আমাদের আকাশ থেকে তোলা সেই সমস্ত ছবি এনে দিতে পারছে যা আনা মানুষয়ের পক্ষে বিপদজনক। এই তিন মিনিটের ভিডিও থেকে আমরা লাওসের এই রহস্যে ভরা প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানের একটা ঝলক দেখতে পাই। এই ভিডিওতে অসংখ্য বোমার গর্ত এবং খাতও দেখা যায় – ভিয়েতনাম যুদ্ধের দুঃখজনক স্মৃতিচিহ্ন:

আশা করা যায় এগুলি থেকে এই কলসগুলো সম্বন্ধে আরও বেশি সচেতনতা তৈরি হবে এবং এগুলো সংরক্ষণের জন্য আরও বেশি করে চেষ্টা করা হবে। স্কলার লিয়া জেনোভিস যেমন বলেছেন যে এই কলসগুলো সংরক্ষণ করার প্রচেষ্টা অনেক প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হচ্ছে:

…conservation efforts are being largely hampered by other factors, such as rapid urbanization, farming activities, looting and neglect.

… সংরক্ষণের প্রচেষ্টাকে অন্যান্য বিষয়ও ব্যাহত করছে যেমন দ্রুত নগরায়ন, কৃষিকাজ, লুঠপাট এবং অবহেলা।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .