- Global Voices বাংলা ভার্সন - https://bn.globalvoices.org -

ভারতীয় এক নারীর কাছে আর্থিক স্বাধীনতার পথ সংগীত

বিষয়বস্তু: দক্ষিণ এশিয়া, পশ্চিম ইউরোপ, ফ্রান্স, ভারত, নাগরিক মাধ্যম, লিঙ্গ ও নারী, সঙ্গীত

দ্য ওয়ার্ল্ড [1] অনুষ্ঠানের জন্য এই প্রতিবেদনটি তৈরি করেছেন এপ্রিল পিয়াভি [2]। প্রথম প্রকাশিত হয়েছে পিআরআই ডট অর্গে [3], ৫ নভেম্বর ২০১৫-এ। কনটেন্ট শেয়ারিং চুক্তির আওতায় এখানে প্রকাশ করা হলো।

তৃথা সিনহা এমন একজন নারী, যিনি সবসময় জানতেন তিনি কী চান। তিনি বলেন, আমি কখনোই কারো ওপর নির্ভরশীল থাকতে চাইনি। হাত খরচের জন্য বাবা, ভাই, এমনকি ছেলেবন্ধুর কাছেও হাত পাততে চাইনি কখনো।

এই প্রতিবেদনটি পিআরআইডটঅর্গে পড়ুন [3]

নয়া দিল্লি এবং প্যারিস ভিত্তিক গানের দল তৃথা ইলেক্ট্রিক [4]-এর পিছনের মূল কারিগর হলেন এই তৃথা সিনহা। তিনি বেড়ে উঠেছেন কলকাতায়। তিনি বলেন, ভারতে তার চারপাশে যেসব নারীরা ছিলেন, তারা সুখী ছিলেন না। তাদের দমিয়ে রাখা হয়েছিল। মা-খালাদের চোখে কান্না লুকিয়ে থাকতে দেখেছি। এগুলো আমাকে সবসময়ই মনে করিয়ে দিত, কোথাও কোনো গলদ আছে।

আর তাই তৃথা সংগীতকেই গলদ দূর করার রাস্তা হিসেবে বেছে নেন। যা তাকে আর্থিক স্বাধীনতা এবং মুক্তির পথে নিয়ে যায়।

তবে মুক্তির পথে যাত্রা শুরু হয়েছিল অনেক আগেই, সেই বালিকা বয়সেই। তৃথার বয়স তখন মাত্র ৫ বছর। তখনই তিনি গান গাওয়া শুরু করেছিলেন।

Credit: April Peavey. Used with PRI's permission

ছবি কৃতজ্ঞতা: এপ্রিল পিয়াভি। অনুমতি নিয়ে ব্যবহার করা হয়েছে।

কলেজে পড়ার সময়ে বলিউডের সিনেমায় গান গাইতেন। সেখান থেকে পাওয়া টাকা থেকেই কলেজের খরচ হয়ে যেত। কিন্তু অন্যদের লেখা গান গেয়ে তৃপ্তি মিটতো না। তাই তিনি নিজেই গান লেখা শুরু করেন। নিজের একটা গানের দল গঠন করেন।

এভাবেই তৃথা ইলেক্ট্রিকের আত্মপ্রকাশ ঘটে।

তৃথা ইলেক্ট্রিকের গানের যে ধারা সিনহা একে এথনো-পাঙ্ক মিউজিক [5] বলে অভিহিত করেছেন।

এথনো অংশটুকু হলো তার ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতের শিকড়। আর পাঙ্ক হলো আজকের দিনে স্বাধীন নারী হিসেবে ভারতীয় নারীদের যে সংগ্রাম সেটার প্রকাশ ভঙ্গি।

তৃথা ইলেক্ট্রিকের সর্বশেষ অ্যালবামের নাম পাগলি [6]। ইংলিশে এর মানে দাঁড়ায় ক্রেজি উইমেন। গানে এমন নারীদের কথা উঠে এসেছে, যারা প্রচলিত সংস্কারের মধ্যে বন্দি। তবে তিনি নিয়ম ভাঙ্গতে চেয়েছেন, মুক্তি খুঁজেছেন। অনেকটা যেন তার নিজের জীবনের গল্প।

তিনি বলেন, স্বাধীনতা পেতে চাইলে কখনো কখনো পাগলাটে মুহূর্তের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। কখনো কখনো স্বাধীনতা কী সেটা বুঝতেই গণ্ডগোল পাকিয়ে যায়। আমাদের নিজস্ব গভীর স্বতন্ত্র যে সত্ত্বা আছে, স্বাধীনতা তার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আর এগুলোই আমার কাছে স্বাধীন সংগীত জীবনের দরজা খুলে দিয়েছে।