- Global Voices বাংলা ভার্সন - https://bn.globalvoices.org -

ঘূর্ণিঝড় কপ্পুর কারণে ফিলিপাইনে বন্যা এবং ‘খাদ্য ভাণ্ডার’ হিসেবে পরিচিত এলাকা লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে

বিষয়বস্তু: পূর্ব এশিয়া, ফিলিপাইনস, খাদ্য, দুর্যোগ, নাগরিক মাধ্যম, পরিবেশ
Monitoring the path of Typhoon Koppu as it battered the northern part of the Philippines. Image from @govph [1]

ঘূর্ণিঝড় কপ্পুর গমন পথ। এটা ফিলিপাইনের উত্তরাঞ্চলে আঘাত হানে। ছবি নেয়া হয়েছে @জিওভিপিএইচ থেকে।

ঘূর্ণিঝড় কপ্পু (স্থানীয় নাম ল্যান্ডো) ফিলিপাইনের উত্তরাঞ্চলে আঘাত হেনেছে। এতে করে দেশটির সবচে’ বড় দ্বীপ হিসেবে পরিচিত লুজনের ৬টি অঞ্চলের প্রায় ৩০০,০০০ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত [2] হয়েছেন।

ঘূর্ণিঝড় কপ্পুর কারণে ব্যাপক বৃষ্টিপাত [3] হয়েছে। এর ফলে ফিলিপাইনের কয়েকটি প্রদেশে বন্যা দেখা দিয়েছে এবং খাদ্য ভাণ্ডার হিসেবে পরিচিত কাগায়ান ভ্যালির ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। উল্লেখ্য, এই এলাকায় উৎপাদিত ফসল থেকেই মেট্রো ম্যানিলা এবং লুজনের শহরগুলোর খাদ্য চাহিদা পূরণ করা হয়ে থাকে।

কপ্পুর কারণে অনেক এলাকার কমিউনিকেশন সিগন্যাল [4] বিপর্যস্ত হয়। এ কারণে ঘূর্ণিঝড়ে প্রত্যন্ত অঞ্চলসমূহে কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে, তার ভিডিও, ছবি এবং অন্যান্য তথ্য প্রত্যক্ষদর্শীরা শেয়ার করতে পারেননি। এ সমস্যার পরেও ঘূর্ণিঝড় কবলিত এলাকার বন্যা, ত্রাণের খোঁজখবর জানতে #ল্যান্ডোপিএইচ [5] হ্যাশট্যাগ একটি ভালো উপায় হতে পারে।

কপ্পুর কবলে পড়ে ফিলিপাইনে কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে, নিচের ছবিগুলো থেকে কিছুটা আন্দাজ করা যাবে।

সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হয়েছে আরোরা প্রদেশের কাসিগুরান এলাকা:

ল্যান্ডোর কারণে আরোরা প্রদেশের কাসিগুরানের ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে।

ঘূর্ণিঝড় ল্যান্ডোতে কাসিগুরানের জেলা হাসপাতাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় কপ্পুর কবলে পড়ে শস্য ক্ষেত ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এর ফলে দেশটির কৃষকরা দ্বিতীয়বার দুর্যোগের কবলে পড়লেন। কয়েক মাস আগেও খরার কারণে সেখানে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় ল্যান্ডো এবং তৎপরবর্তী বন্যার কারণে ইসাবেলা এলাকার জমির ফসল নষ্ট হয়ে গেছে।

সান্তিয়াগো ইসাবেলা এলাকার কৃষকরা জানিয়েছেন, তারা ঘূর্ণিঝড় ল্যান্ডোর হাত থেকে ফসল রক্ষা করার জন্য সব ধরনের চেষ্টা করেছেন।

অ্যান্তোনিও ফ্লোরেস নামের একজন কৃষক নেতা কৃষকদের জন্য দ্রুত সহযোগিতা কর্মসূচি নেয়ার জন্য সরকারের কাছে জোর আহ্বান জানিয়েছেন [17]:

To immediately help farmers, a moratorium to the payment of land rent and land amortization in typhoon-affected areas and waiving of irrigation service fees are just and necessary relief at this time of calamity.

The National Food Authority should also be ready to buy farmers’ palay (unhusked rice) irregardless of classification, wet or dry, for them to recover the cost of production. At the same time, we demand government to extend full subsidy to the next production season.

অবিলম্বে ঘূর্ণিঝড় আক্রান্ত এলাকার কৃষকদের জন্য জমির খাজনা প্রদান স্থগিত রাখতে হবে। তাছাড়া জমি সেচ ব্যবস্থার ফি’ও মওকুফ করে দিতে হবে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের কাছে যথাশীঘ্রই ত্রাণ পৌঁছাতে হবে।

জাতীয় খাদ্য কর্তৃপক্ষের উচিত কোনো শ্রেণিবিন্যাস ছাড়াই সেটা ভেজা কিংবা শুকনো যাই হোক ধান কৃষকদের কাছ থেকে কিনে নেয়া। যাতে তারা উত্পাদন খরচ তুলে নিতে পারে। একই সাথে সামনের ঋতুতে ফসল বোনার সময়ে কৃষকদের যেন ভর্তুক্তি প্রদান করা হয়, তার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি।

বন্যায় কাগায়ান এলাকা ডুবে গেছে। এটি লুজন প্রদেশের সর্বউত্তরে অবস্থিত:

ড্রোন ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, তুগিউজারাও এলাকায় ব্যাপক বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। #ল্যান্ডোপিএইচ

ল্যান্ডোর আগে পরে কাগায়ানের তুগিউজারাও শহর।

ঘূর্ণিঝড় কপ্পুর প্রভাব পড়েছে মেট্রো ম্যানিলাতেও। মারিকিনা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ম্যানিলার পূর্বে অবস্থিত উপশহর মারিকিনার লোকদের সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় কপ্পুর কারণে মান্দালয়ের মারিকিনার ৮৫ পরিবারকে (৩৯০ জন) বুলেরাক জিমে স্থানান্তর করা হয়েছে।