- Global Voices বাংলা ভার্সন - https://bn.globalvoices.org -

পুতিনের সমালোচনাকারীর রায়ের বিরুদ্ধে ক্রেমলিনের বাইরে অনুমোদনহীন প্রতিবাদ সমাবেশে হাজির হওয়ার ঘোষণা

বিষয়বস্তু: পূর্ব ও মধ্য ইউরোপ, রাশিয়া, আইন, তাজা খবর, নাগরিক মাধ্যম, প্রতিবাদ, রুনেট ইকো
Images edited by Kevin Rothrock.

ছবি সম্পাদনা কেভিন রথরক।

এই কিছুদিন আগে রাশিয়ার পত্রপত্রিকা এবং সামাজিক মাধ্যমগুলোতে হরহামেশায় অ্যালেক্স নেভালনির নাম দেখা যেত। ২০১১ সালের শেষদিকে রাজপথের আন্দোলনে তিনি যেন বিপ্লবের মুখচ্ছবি হয়ে উঠেন। এই আন্দোলনের কারণে ইয়েলৎসিন প্রশাসনের পরে প্রথমবারের মতো ক্রেমনিলের অবস্থান নড়বড়ে হয়ে পড়ে। ২০১৩ সালে তিনি দুর্নীতিবিরোধী ব্লগার ও প্রতিবাদী নেতা থেকে একজন খাঁটি রাজনীতিবিদে পরিণত হন। এবং মস্কোর মেয়র নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিপুল পরিমাণ ভোট পান।

২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে থেকে নেভালনির জনসমুখে উপস্থিতি কমে যায়। কারণ এ সময়ে ইউভেস রোচার মামলায় মস্কোর একটি আদালত তাকে গৃহবন্দি করার আদেশ দেয়।

২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসের ১৫ তারিখে মস্কোর আদালত মামলাটির রায় ঘোষণা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। রায়ে নেভালনি এবং তার ভাইয়ের সাজা হবে, এমনটাই মনে করছে সবাই। নেভালনির ভাইয়ের বিরুদ্ধে একটি ফরাসি প্রসাধনী কোম্পানির সাথে প্রতারণার অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলার বাদী তাদের বিরুদ্ধে এক যুগের কাছাকাছি সাজার দাবি জানিয়েছেন। নেভালনি এবং বেশিরভাগ স্বাধীন পর্যবেক্ষকদের মতে, ইউভেস রোচারের অভিযোগ ভিত্তিহীন এবং রাষ্ট্রপক্ষের মামলাটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোধিত।

এদিকে নেভালনির পরামর্শক লিয়োনিড ভলকোভ যেকোনো গ্রেফতার কিংবা দেশত্যাগের আশংকা করছেন। সেজন্য তিনি দ্রুততার সাথে রায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবা জানাতে ফেসবুকে একটি ইভেন্ট পেজ [1] খুলেছেন। ইতোমধ্যে তিন হাজারের বেশি মানুষ ক্রেমলিন গেটের বাইরে মানেজ স্কোয়ারে প্রতিবাদ সমাবেশে যোগ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। প্রতিবাদ সমাবেশ জানুয়ারির ১৫ তারিখে অনুষ্ঠিত হবে। পেজ খোলার মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তিন হাজার মানুষ যোগ দেয়ায় আশা করা হচ্ছে প্রতিবাদ সমাবেশে বিপুল সংখ্যক মানুষ উপস্থিত হবেন। তাছাড়া সমাবেশে যোগ দেয়ার জন্য ১৩০০০ মানুষকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

Leonid Volkov's invitation to the January 15, 2015, protest against Navalny's verdict.

লিয়োনিড ভলকোভ ১৫ জানুয়ারি ২০১৫-এর নেভালনির রায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশে সবাইকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।

ফেসবুক পেজটিতে কিছু কিছু মানুষ রায়ের পরে সমাবেশ ডাকা নিয়ে ভলকোভের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলেছেন। জার্মানিতে বসবাসকারী রাশানভাষী জুলিয়া সেইলার ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত অপেক্ষা ভুল বার্তা দেবে বলে সতর্ক [2] করে দিয়ে লিখেছেন:

Надо 14-го собираться. Собрание после приговора означает: мы ждём милости от Путина, если её не будет – выйдем на улицу. Собрание 14-го означает: мы навязываем Путину нашу повестку дня.

জানুয়ারির ১৪ তারিখে আমাদের সমাবেশ করা উচিত। ১৫ তারিখে রায়ের পরে প্রতিবাদ করলে মানে দাঁড়াবে আমরা পুতিনের ক্ষমার জন্য অপেক্ষা করছি। এবং সেটা যদি না পাই, সেজন্য রাস্তায় নামার হুমকি দিয়ে রেখেছি। ১৪ তারিখে সমাবেশ করলে বোঝা যাবে আমরা পুতিন নয়, এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য মাঠে নেমেছি।

তবে প্রতিবাদ সমাবেশ ১৪ কিংবা ১৫ যে তারিখেই হোক মস্কোর পুলিশের সাথে সংঘর্ষ হবেই। কারণ, ভলকোভ সমাবেশ করার জন্য শহর কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমতি নেননি। তিনি তার ফেসবুকে অনুমতি না নেয়ার কথা লিখেছেন [3]

পুলিশ যদি চায় তাহলে জানুয়ারির ১৫ তারিখে অনুমোদন ছাড়াই সমাবেশ ডাকার জন্য ভলকোভ কিংবা ফেসবুকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে। কারণ রাশিয়ায় অনুমোদনহীন সমাবেশে অংশ নেয়ার জন্য মানুষকে আহবান করা বেআইনী। এদিকে রাশিয়ার অ্যার্টনি জেনারেল ইতোমধ্যে অনলাইন চরমপন্থার কারণে ৫৮৯টি ওয়েব পেজ [4] নিষিদ্ধ করেছেন।